৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালিবানের সঙ্গে আগেই বার্তালাপের প্রয়োজন ছিল ভারতের : প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটওয়ার সিং

নয়াদিল্লি : পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের প্রাক্তন মন্ত্রী কে নটওয়ার সিং বললেন, আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের দখলে আসার আগে তাদের সঙ্গে বার্তালাপের পথ আগেই খুলে রাখা উচিত ছিল ভারতের। তালিবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন তিনি। তবে পাশাপাশি বলেছেন, যদি তালিবান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দায়িত্বের সঙ্গে সরকার চালায় তবেই এই সম্পর্ক। ইউপিএর প্রথম দফায় সিং ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন। পাশাপাশি বহু কূটনৈতিক দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি জানালেন, ভারতের এখন ‘অপেক্ষা করা ও নজর রাখা’ নীতি নিতে হবে এই সময়ে দাঁড়িয়ে। ভারতের কি আগেই তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দরকার ছিল? এই প্রশ্নে তিনি জানান যে, দরকার ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে এই সংগঠনের সঙ্গে বার্তালাপ চালিয়ে গিয়েছে, ভারতেরও সেইরকম সংযোগ বজায় রাখা প্রয়োজন ছিল বলে জানান তিনি। সিং বলেন,”আমি যদি বিদেশ মন্ত্রী হতাম, আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম এবং আমার ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে বলতাম শান্তভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ রাখতে।” এই বর্ষীয়ান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ২০০৪ সালের মে মাস থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। এর কয়েক বছর পর তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। আমেরিকাকে দোষারোপ করে সিং বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে তালিবানদের আগ্রাসনের পথকে মসৃণ করে দিয়েছেন।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

ইয়েমেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের, সৌদি আল্টিমেটামের আগেই ঘোষণা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তালিবানের সঙ্গে আগেই বার্তালাপের প্রয়োজন ছিল ভারতের : প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটওয়ার সিং

আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার

নয়াদিল্লি : পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের প্রাক্তন মন্ত্রী কে নটওয়ার সিং বললেন, আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের দখলে আসার আগে তাদের সঙ্গে বার্তালাপের পথ আগেই খুলে রাখা উচিত ছিল ভারতের। তালিবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন তিনি। তবে পাশাপাশি বলেছেন, যদি তালিবান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দায়িত্বের সঙ্গে সরকার চালায় তবেই এই সম্পর্ক। ইউপিএর প্রথম দফায় সিং ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন। পাশাপাশি বহু কূটনৈতিক দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি জানালেন, ভারতের এখন ‘অপেক্ষা করা ও নজর রাখা’ নীতি নিতে হবে এই সময়ে দাঁড়িয়ে। ভারতের কি আগেই তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দরকার ছিল? এই প্রশ্নে তিনি জানান যে, দরকার ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে এই সংগঠনের সঙ্গে বার্তালাপ চালিয়ে গিয়েছে, ভারতেরও সেইরকম সংযোগ বজায় রাখা প্রয়োজন ছিল বলে জানান তিনি। সিং বলেন,”আমি যদি বিদেশ মন্ত্রী হতাম, আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম এবং আমার ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে বলতাম শান্তভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ রাখতে।” এই বর্ষীয়ান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ২০০৪ সালের মে মাস থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। এর কয়েক বছর পর তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। আমেরিকাকে দোষারোপ করে সিং বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে তালিবানদের আগ্রাসনের পথকে মসৃণ করে দিয়েছেন।