২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ৫০ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 25

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দেশটিতে নিত্য  প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আগুন লেগেছে। দিন দিন বাড়ছে মূল্যস্ফীতি।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভোক্তা মূল্য সূচক বা মূল্যস্ফীতি ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে লাফ দিয়েছে যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে খাবার, পানীয় এবং পরিবহন ব্যয় ৪৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।

এর আগে ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে দেশটিতে গড় মুল্যস্ফীতি ছিল ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর গত ৫ দশকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি ইসলামাবাদকে। পাক পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় পানীয় ও তামাকজাত পণ্যের মূল্য বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

খাবার ও নন-অ্যালকোহলিক পানীয়র মূল্য গত এক বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সরকার সম্পূরক আইন পাস করে। এর মাধ্যমে পণ্যের ওপর আরোপিত কর ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়। চলমান অর্থ বছরে আরও ১৭০ বিলিয়ন রুপি কর আদায়ের লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয় শাহবাজ সরকার।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৬৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ১০০ কোটি ডলার পেতে কর, জ্বালানিসহ সব কিছুর মূল্য বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার।

এছাড়া গত কয়েক মাস ধরে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের রুপির যে দরপতন চলছে সেটিও অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানে ৫০ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দেশটিতে নিত্য  প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আগুন লেগেছে। দিন দিন বাড়ছে মূল্যস্ফীতি।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভোক্তা মূল্য সূচক বা মূল্যস্ফীতি ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে লাফ দিয়েছে যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে খাবার, পানীয় এবং পরিবহন ব্যয় ৪৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।

এর আগে ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে দেশটিতে গড় মুল্যস্ফীতি ছিল ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর গত ৫ দশকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি ইসলামাবাদকে। পাক পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় পানীয় ও তামাকজাত পণ্যের মূল্য বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

খাবার ও নন-অ্যালকোহলিক পানীয়র মূল্য গত এক বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সরকার সম্পূরক আইন পাস করে। এর মাধ্যমে পণ্যের ওপর আরোপিত কর ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়। চলমান অর্থ বছরে আরও ১৭০ বিলিয়ন রুপি কর আদায়ের লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয় শাহবাজ সরকার।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৬৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ১০০ কোটি ডলার পেতে কর, জ্বালানিসহ সব কিছুর মূল্য বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার।

এছাড়া গত কয়েক মাস ধরে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের রুপির যে দরপতন চলছে সেটিও অব্যাহত রয়েছে। বুধবারও ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।