১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় শব্দ, অবাক বিজ্ঞানীরা!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 34

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় শব্দ শনাক্ত করেছেন  বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার স্যান্ডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ওপরে থাকা  স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে একটি ৬.৭ মিটার লম্বা সৌর-চালিত বেলুন পাঠানো হয়েছিল। সেই বেলুনে লাগানো মাক্রোফোনই ওই শব্দগুলো রেকর্ড  করেছে। এই শব্দগুলো কোথা থেকে এসেছে তা স্পষ্ট জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। গত বৃহস্পতিবার শিকাগোতে অ্যাকোস্টিক্যাল সোসাইটি অফ  আমেরিকার ১৮৪তম সভায় এসব তথ্য জানান বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা বলেন, বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে যে শব্দ শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো ‘ইনফ্রাসাউন্ড’ অর্থাৎ তা মানুষের শ্রবণযোগ্যতার সীমার অনেক নিচের ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ যাকে ‘রহস্যময়’ বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষ যেমন ইনফ্রারেড আলো খালি চোখে দেখতে পায় না, এই শব্দও ঠিক তেমন, সরাসরি শোনা যায় না। ঘোলা বা ফিসফিসের মতো শুনতে লাগে।

ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষণা প্রযুক্তিবিদ সিদ্ধার্থ কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, ‘শব্দগুলো কোথা থেকে, কেন সৃষ্টি হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

আরেক গবেষক ড্যানিয়েল বোম্যান বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমিও রহস্যময় শব্দগুলো বুঝতে পারছি না।’ প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীদের পাঠানো সোলার বেলুনগুলি সূর্যের আলো দ্বারা চালিত ও তা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ হাজার ফুট ওপরে উঠে নানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় শব্দ, অবাক বিজ্ঞানীরা!

আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় শব্দ শনাক্ত করেছেন  বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার স্যান্ডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ওপরে থাকা  স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে একটি ৬.৭ মিটার লম্বা সৌর-চালিত বেলুন পাঠানো হয়েছিল। সেই বেলুনে লাগানো মাক্রোফোনই ওই শব্দগুলো রেকর্ড  করেছে। এই শব্দগুলো কোথা থেকে এসেছে তা স্পষ্ট জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। গত বৃহস্পতিবার শিকাগোতে অ্যাকোস্টিক্যাল সোসাইটি অফ  আমেরিকার ১৮৪তম সভায় এসব তথ্য জানান বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা বলেন, বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে যে শব্দ শনাক্ত করা হয়েছে সেগুলো ‘ইনফ্রাসাউন্ড’ অর্থাৎ তা মানুষের শ্রবণযোগ্যতার সীমার অনেক নিচের ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ যাকে ‘রহস্যময়’ বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষ যেমন ইনফ্রারেড আলো খালি চোখে দেখতে পায় না, এই শব্দও ঠিক তেমন, সরাসরি শোনা যায় না। ঘোলা বা ফিসফিসের মতো শুনতে লাগে।

ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষণা প্রযুক্তিবিদ সিদ্ধার্থ কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, ‘শব্দগুলো কোথা থেকে, কেন সৃষ্টি হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

আরেক গবেষক ড্যানিয়েল বোম্যান বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমিও রহস্যময় শব্দগুলো বুঝতে পারছি না।’ প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীদের পাঠানো সোলার বেলুনগুলি সূর্যের আলো দ্বারা চালিত ও তা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ হাজার ফুট ওপরে উঠে নানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।