প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বরের সঙ্গে আলোচনায় বসলে তাঁকেও বিভ্রান্ত করবেন : রাহুল

- আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, বুধবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মনে করা হয়েছিল, ঝাঁঝ কমবে। কিন্তু তা তো হলই না। উল্টে আগের থেকেও বেশি জোর গলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপিকে বিদেশের মাটিতে তুলোধনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দশ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়ে,ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের বর্তমান রাজনৈতিকন ‘কালচার’-র কথা তুলে ধরেন রাহুল।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতকে এমন কিছু লোকজন পরিচালনা করছে, যারা ‘সবজান্তা’। তারা মনে করে, তারা সবকিছু জানে। এমনকি ঈশ্বরের সামনে বসলেও তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করবে, তারা ঈশ্বরের থেকেও বেশি জ্ঞানী। ‘নমুনা’ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা বলা যায়।
রাহুল বলেন, আমার মনে হয়, আপনারা যদি মোদিজিকে ঈশ্বরের পাশে বসিয়ে দেন, তাহলে তিনি ঈশ্বরকেও বোঝানোর চেষ্টা করবেন, মহাবিশ্ব কিভাবে কাজ করে। ঈশ্বরও নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন।
বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের কটাক্ষ করে সোনিয়া পুত্র বলেন, একদল লোক আছে, যারা সবকিছু বোঝে। তারা বিজ্ঞানীদের সামনে বিজ্ঞান, ইতিহাসবিদদের সামনে ইতিহাস, সেনাবাহিনীর সামনে যুদ্ধের ব্যাখ্যা দিতে পারেন। কিন্তু এর আসল কারণ হচ্ছে, তাদের অজ্ঞানতা। এরা আসলে কোনওটাই বোঝে না।
‘ভারত জোড়ো’ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, মোদি সরকার এজেন্সির অপব্যবহার করে বিরোধীদের রোখার চেষ্টা করছিল বলেই এই যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। ভারত জোড়ো যাত্রাতেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিজেপির হিন্দুত্ববাদের নিন্দা করে রাহুল বলেন, কংগ্রেস সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতায় বিশ্বাসী। কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে জাতিশুমারির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু বিজেপি জাতিশুমারির তথ্য প্রকাশে নারাজ। কারণ সেই তথ্য প্রকাশ করলে দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের প্রতি সুবিচার করতে হবে। রাহুল বলেন, মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্বের মত বিষয় নিয়ে কথা বলতে নারাজ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে মাথা ঘামাতে ভালোবাসে।
উল্লেখ্য, দশ দিনের আমেরিকা সফরে গেছেন রাহুল গান্ধি। সান ফ্রান্সিসকো, ওয়াশিংটন ডিসি হয়ে নিউ ইয়র্কে যাবেন তিনি। গতবার ইংল্যন্ড সফরে গিয়ে ভারতের বিপন্ন গণতন্ত্র ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুললে রাহুলকে ভারত বিরোধী তকমা দেয় বিজেপি। এরপরই মোদি পদবী সংক্রান্ত মামলার সাজা হিসেবে সাংসদ পদের পাশাপাশি খোয়াতে হয় সরকারি বাসভবন।
এসব ঘটনার পরে দমে না গিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও বেশি সুর চড়ালেন প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধি।