০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে ১৩.৫ কোটি দেশবাসী: নীতি আয়োগ রিপোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 17

পুবের কলম, প্রতিবেদন:  ভারতে ২০১৫-’১৬ ও ২০১৯-’২১ অর্থবর্ষের মধ্যে দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে ১৩.৫ কোটি ভারতীয়। দেশের রাজ্যগুলি খুব দ্রুততার সঙ্গে এই দারিদ্র  কাটিয়ে উঠতে পেরেছে তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা ও রাজস্থান। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।

নীতি আয়োগ ২০২৩-এর বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৫-’১৬ থেকে ২০১৯-’২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রেকর্ড ১৩.৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র থেকে মুক্ত হয়েছে। দারিদ্রের সংখ্যা সব থেকে বেশি কমেছে উত্তরপ্রদেশে। এরপরই এসেছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশের স্থান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বহুমাত্রিক দারিo সংখ্যা ২৪.৮৫ শতাংশ থেকে ব্যাপক হ্রাস পেয়ে ১৪.৯৬ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। নীতি আয়োগের তরফে ‘জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক একটি অগ্রগতি পর্যালোচনা ২০২৩’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই এমনটা জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: দারিদ্র্যেরে অন্ধকারে ১০০ কোটি ভারতীয়!

দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে ১৩.৫ কোটি দেশবাসী: নীতি আয়োগ রিপোর্ট

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় বেড়েছে ভর্তির হার, নীতি আয়োগের রিপোর্টে পঞ্চম স্থানে বাংলা

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে,  দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও দ্রুততার সঙ্গে দারিদ্র  কাটিয়ে ওঠার পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রাম্য এলাকায় দারিদ্র ৩২.৫৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯.২৮ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। ভারত ২০৩০ সালের সময়সীমার অনেক আগে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বা দীর্ঘকালীন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১.২৫ অর্জনের পথে রয়েছে।

আরও পড়ুন: আরব বিশ্বের ১৩ কোটি  মানুষ দারিদ্র্যের শিকার!

অর্থাৎ, ২০৩০ সাল পর্যন্ত যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল তার আগেই দেশের সমস্ত মানুষের জন্য চরম দারিদ্র (প্রতিদিন ১.২৫ ডলারের কম আয়ে জীবনযাপন) নির্মূল করতে সক্ষম হবে। রিপোর্ট বলছে, দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক ৩.৪৩ কোটি মানুষ দারিo কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তারপরই রয়েছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশ। পুষ্টির উন্নতি, পড়াশোনা,  স্যানিটেশন দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।

জাতীয় এমপিআই হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা একই সাথে স্বাস্থ্য,  শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান এই তিনটি জিনিসের উপর ভিত্তি করে তিনটি ক্ষেত্রেই সমমাত্রায় বঞ্চনা পরিমাপ করে, যা ১২টি এসডিজি সূচক দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করে।

এর মধ্যে রয়েছে—পুষ্টি, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর মৃত্যুহার, মাতৃস্বাস্থ্য,  স্কুলে পড়ার বছর,  স্কুলে উপস্থিতির হার,  রান্নার গ্যাস, স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আবাসন, সম্পদ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই সব ক্ষেত্রে উন্নতির মাপকাঠিতে দারিদ্র  দূরীকরণ নির্নয় করা হয়।

মনে করা হচ্ছে—মহিলা ও শিশুদের পুষ্টির মাপকাঠি ‘পোষণ অভিযান’ ও ‘অ্যানিমিয়া মুক্ত ভারত’-এর মতো প্রধান কর্মসূচিগুলি স্বাস্থ্যের ফাঁক-ফোঁকরগুলি কমাতে অবদান রেখেছে। যেখানে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ এবং ‘জল জীবন মিশন’-এর মতো উদ্যোগগুলি সারা দেশে স্যানিটেশনে সংস্কার এনেছে। স্যানিটেশন বঞ্চনার ক্ষেত্রে এই প্রচেষ্টার ফলে ২১.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’র মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা জীবনকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করেছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে ১৩.৫ কোটি দেশবাসী: নীতি আয়োগ রিপোর্ট

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম, প্রতিবেদন:  ভারতে ২০১৫-’১৬ ও ২০১৯-’২১ অর্থবর্ষের মধ্যে দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে ১৩.৫ কোটি ভারতীয়। দেশের রাজ্যগুলি খুব দ্রুততার সঙ্গে এই দারিদ্র  কাটিয়ে উঠতে পেরেছে তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা ও রাজস্থান। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।

নীতি আয়োগ ২০২৩-এর বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৫-’১৬ থেকে ২০১৯-’২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রেকর্ড ১৩.৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র থেকে মুক্ত হয়েছে। দারিদ্রের সংখ্যা সব থেকে বেশি কমেছে উত্তরপ্রদেশে। এরপরই এসেছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশের স্থান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বহুমাত্রিক দারিo সংখ্যা ২৪.৮৫ শতাংশ থেকে ব্যাপক হ্রাস পেয়ে ১৪.৯৬ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। নীতি আয়োগের তরফে ‘জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক একটি অগ্রগতি পর্যালোচনা ২০২৩’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই এমনটা জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: দারিদ্র্যেরে অন্ধকারে ১০০ কোটি ভারতীয়!

দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে ১৩.৫ কোটি দেশবাসী: নীতি আয়োগ রিপোর্ট

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় বেড়েছে ভর্তির হার, নীতি আয়োগের রিপোর্টে পঞ্চম স্থানে বাংলা

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে,  দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও দ্রুততার সঙ্গে দারিদ্র  কাটিয়ে ওঠার পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রাম্য এলাকায় দারিদ্র ৩২.৫৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯.২৮ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। ভারত ২০৩০ সালের সময়সীমার অনেক আগে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বা দীর্ঘকালীন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১.২৫ অর্জনের পথে রয়েছে।

আরও পড়ুন: আরব বিশ্বের ১৩ কোটি  মানুষ দারিদ্র্যের শিকার!

অর্থাৎ, ২০৩০ সাল পর্যন্ত যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল তার আগেই দেশের সমস্ত মানুষের জন্য চরম দারিদ্র (প্রতিদিন ১.২৫ ডলারের কম আয়ে জীবনযাপন) নির্মূল করতে সক্ষম হবে। রিপোর্ট বলছে, দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক ৩.৪৩ কোটি মানুষ দারিo কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তারপরই রয়েছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশ। পুষ্টির উন্নতি, পড়াশোনা,  স্যানিটেশন দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।

জাতীয় এমপিআই হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা একই সাথে স্বাস্থ্য,  শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান এই তিনটি জিনিসের উপর ভিত্তি করে তিনটি ক্ষেত্রেই সমমাত্রায় বঞ্চনা পরিমাপ করে, যা ১২টি এসডিজি সূচক দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করে।

এর মধ্যে রয়েছে—পুষ্টি, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর মৃত্যুহার, মাতৃস্বাস্থ্য,  স্কুলে পড়ার বছর,  স্কুলে উপস্থিতির হার,  রান্নার গ্যাস, স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আবাসন, সম্পদ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই সব ক্ষেত্রে উন্নতির মাপকাঠিতে দারিদ্র  দূরীকরণ নির্নয় করা হয়।

মনে করা হচ্ছে—মহিলা ও শিশুদের পুষ্টির মাপকাঠি ‘পোষণ অভিযান’ ও ‘অ্যানিমিয়া মুক্ত ভারত’-এর মতো প্রধান কর্মসূচিগুলি স্বাস্থ্যের ফাঁক-ফোঁকরগুলি কমাতে অবদান রেখেছে। যেখানে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ এবং ‘জল জীবন মিশন’-এর মতো উদ্যোগগুলি সারা দেশে স্যানিটেশনে সংস্কার এনেছে। স্যানিটেশন বঞ্চনার ক্ষেত্রে এই প্রচেষ্টার ফলে ২১.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’র মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা জীবনকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করেছে।