০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৩ বছর পর কারামুক্তি, তরুণ প্রজন্মকে অপরাধ থেকে দূরে থাকার আবেদন কুখ্যাত ডাকাতের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার
  • / 54

প্রতিকি ছবি

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২৩ বছর পর জেল থেকে মুক্তি। তারপর মন্দিরে গিয়ে ১০১ কেজি ওজনের ঘণ্টা দান করে তরুণ প্রজন্মকে অপরাধ থেকে দূরে থাকার আবেদন করলেন ৫৮ বছর বয়সী নাজ্জু।

 

আরও পড়ুন: ভোটের আগে ফের চমক, উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মোদির

প্রসঙ্গত, নাজ্জু ওরফে রাজু শাহজাহানপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছিল। মানুষ খুন থেকে ডাকাতি সবের প্রধান ছিলেন নাজ্জু। তাঁর অত্যাচারে প্রায় ১২ বছর মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেনি। এছাড়াও, বেরেলি, ফারুখাবাদ, বুদাউন, ইটা এবং হারদোই জেলায় নাজ্জু প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। ১৯৯৯ সালে নাজ্জু তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং একজন পুলিশকে হত্যা করে। এই ঘটনার পর সে নিজেই পুলিশে আত্মসমর্পণ করেন। হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২৩ বছর পর বেল মঞ্জুর হলে বেরেলি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।

 

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, নাজ্জু তার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হন। তরুণ প্রজন্মকে অপরাধ থেকে দূরে থাকতে এবং তাদের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

 

সোমবার স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল নাজ্জু। বিধায়ক বীর বিক্রম সিং বলেন, নাজ্জু অনেক সংগ্রাম করেছে। সে যে অপরাধগুলি করেছিল তাঁর জন্য সে ২৩ বছর জেল খেটেছে। আজ মুক্ত পেল। আমি তাকে এই মাটিতে স্বাগত জানাই এবং তাকে সম্মান জানাই।তিনি আরও বলেছেন, যদি কেউ অপরাধ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে চাই, আমি তাকে সাহায্য করব। তিনি আমার সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং তিনি যে অপরাধ করেছেন তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। তিনি কথা দিয়েছেন, বাকিদিনগুলিতে একজন সাধারণ মানুষের মত জীবনযাপন করবেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২৩ বছর পর কারামুক্তি, তরুণ প্রজন্মকে অপরাধ থেকে দূরে থাকার আবেদন কুখ্যাত ডাকাতের

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২৩ বছর পর জেল থেকে মুক্তি। তারপর মন্দিরে গিয়ে ১০১ কেজি ওজনের ঘণ্টা দান করে তরুণ প্রজন্মকে অপরাধ থেকে দূরে থাকার আবেদন করলেন ৫৮ বছর বয়সী নাজ্জু।

 

আরও পড়ুন: ভোটের আগে ফের চমক, উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মোদির

প্রসঙ্গত, নাজ্জু ওরফে রাজু শাহজাহানপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছিল। মানুষ খুন থেকে ডাকাতি সবের প্রধান ছিলেন নাজ্জু। তাঁর অত্যাচারে প্রায় ১২ বছর মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেনি। এছাড়াও, বেরেলি, ফারুখাবাদ, বুদাউন, ইটা এবং হারদোই জেলায় নাজ্জু প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। ১৯৯৯ সালে নাজ্জু তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং একজন পুলিশকে হত্যা করে। এই ঘটনার পর সে নিজেই পুলিশে আত্মসমর্পণ করেন। হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২৩ বছর পর বেল মঞ্জুর হলে বেরেলি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।

 

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, নাজ্জু তার অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হন। তরুণ প্রজন্মকে অপরাধ থেকে দূরে থাকতে এবং তাদের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

 

সোমবার স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল নাজ্জু। বিধায়ক বীর বিক্রম সিং বলেন, নাজ্জু অনেক সংগ্রাম করেছে। সে যে অপরাধগুলি করেছিল তাঁর জন্য সে ২৩ বছর জেল খেটেছে। আজ মুক্ত পেল। আমি তাকে এই মাটিতে স্বাগত জানাই এবং তাকে সম্মান জানাই।তিনি আরও বলেছেন, যদি কেউ অপরাধ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে চাই, আমি তাকে সাহায্য করব। তিনি আমার সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং তিনি যে অপরাধ করেছেন তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। তিনি কথা দিয়েছেন, বাকিদিনগুলিতে একজন সাধারণ মানুষের মত জীবনযাপন করবেন।