১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভক্তকে ধর্ষণ করে গ্রেফতার বাবা বিনোদ কাশ্যপ

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  স্বপ্নে ঈশ্বর তাকে মানুষের স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের ফর্মুলা দিয়েছেন। আর তাই দিয়ে তিনি দূর করতে পারবেন ভক্তদের যে কোনও সমস্যা। এসব প্রচার করে ভালো ফলও পায় স্বঘোষিত গুরু বাবা বিনোদ কাশ্যপ (৩৩)। কাকরোলা এলাকায় নিজের বাড়িতেই চেম্বার খুলে দিব্যি চলছিল ‘মাতা মাসানি চৌকি দরবার’। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার দরবার চালিয়ে মোটা টাকা রোজগারও করত সে। সপ্তাহে অন্তত ৪০০ জন তার দরবারে আসতো। ছিল নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। সেখানে প্রায় ৯০০-র বেশি ভিডিয়ো। সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার। দরবারের সঙ্গে চলছিল মহিলা ভক্তদের যৌন নির্যাতন। গুরু সেবার নামে মহিলা ভক্তদের গায়ে হাত দিত কাশ্যপ। আবার নির্যাতনের পরে তাদেরকে চুপ থাকার হুমকিও দিত। স্বঘোষিত গুরুর দুই মহিলা ভক্ত ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর কাশ্যপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে।

এক মহিলা ভক্ত পরিবারের শান্তি-সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ‘বাবা’র আশীর্বাদ নিতে গেছিলেন। তাকে ও তার স্বামীকে দিয়ে অনেক কিছু করানোর পর একসময় কয়েক লক্ষ টাকা চেয়ে বসে কাশ্যপ। ওই মহিলা ভক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে দরবারে ডেকে গুরুসেবার নামে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। এরপর প্রসাদ খাইয়ে অজ্ঞান করে দেওয়ার পর চলে ধর্ষণ।

পুলিশ জানতে পেরেছে। বছর কয়েক আগেও পাশের একটি হাসপাতালে সহায়কের কাজ করত কাশ্যপ। সেখানে মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পেত সে। পরে নিজেকে ভগবানের আশীর্বাদপ্রাপ্ত বলে প্রচার করে বুজরুগি শুরু করে কাশ্যপ। চলতে থাকে শ্লীলতাহানী। পুলিশ জানিয়েছে কাশ্যপ বিবাহিত। তার তিনটি সন্তানও রয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভক্তকে ধর্ষণ করে গ্রেফতার বাবা বিনোদ কাশ্যপ

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ  স্বপ্নে ঈশ্বর তাকে মানুষের স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের ফর্মুলা দিয়েছেন। আর তাই দিয়ে তিনি দূর করতে পারবেন ভক্তদের যে কোনও সমস্যা। এসব প্রচার করে ভালো ফলও পায় স্বঘোষিত গুরু বাবা বিনোদ কাশ্যপ (৩৩)। কাকরোলা এলাকায় নিজের বাড়িতেই চেম্বার খুলে দিব্যি চলছিল ‘মাতা মাসানি চৌকি দরবার’। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার দরবার চালিয়ে মোটা টাকা রোজগারও করত সে। সপ্তাহে অন্তত ৪০০ জন তার দরবারে আসতো। ছিল নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। সেখানে প্রায় ৯০০-র বেশি ভিডিয়ো। সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার। দরবারের সঙ্গে চলছিল মহিলা ভক্তদের যৌন নির্যাতন। গুরু সেবার নামে মহিলা ভক্তদের গায়ে হাত দিত কাশ্যপ। আবার নির্যাতনের পরে তাদেরকে চুপ থাকার হুমকিও দিত। স্বঘোষিত গুরুর দুই মহিলা ভক্ত ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর কাশ্যপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে।

এক মহিলা ভক্ত পরিবারের শান্তি-সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ‘বাবা’র আশীর্বাদ নিতে গেছিলেন। তাকে ও তার স্বামীকে দিয়ে অনেক কিছু করানোর পর একসময় কয়েক লক্ষ টাকা চেয়ে বসে কাশ্যপ। ওই মহিলা ভক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে দরবারে ডেকে গুরুসেবার নামে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। এরপর প্রসাদ খাইয়ে অজ্ঞান করে দেওয়ার পর চলে ধর্ষণ।

পুলিশ জানতে পেরেছে। বছর কয়েক আগেও পাশের একটি হাসপাতালে সহায়কের কাজ করত কাশ্যপ। সেখানে মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পেত সে। পরে নিজেকে ভগবানের আশীর্বাদপ্রাপ্ত বলে প্রচার করে বুজরুগি শুরু করে কাশ্যপ। চলতে থাকে শ্লীলতাহানী। পুলিশ জানিয়েছে কাশ্যপ বিবাহিত। তার তিনটি সন্তানও রয়েছে।