১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পায়ে হেঁটে ব্রিটেন থেকে মক্কায় আদম

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 42

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ১১ মাস হেঁটে পবিত্র মক্কা শরীফে পৌঁছলেন ব্রিটিশ হজযাত্রী আদম মুহাম্মদ (৫২)। গত রবিবার মক্কার আয়েশা (রা.) মসজিদে এসে পৌঁছন তিনি। এ সময় স্থানীয়দের উষ্ণ অভ্যর্থনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন কুর্দ বংশ উদ্ভুত হজযাত্রী আদম মুহাম্মদ। মক্কায় তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

এই হজযাত্রী বলেন, ‘২৫ বছর ধরে আমি ব্রিটেন বসবাস করছি। করোনা মহামারি রোধে তখন চারদিকে সবার চলাচল বন্ধ ছিল। তখন আমি পবিত্র কুরআন পাঠে ব্যস্ত সময় পার করি। দীর্ঘ দেড় বছর পড়াশোনার পর একদিন ঘুম ভেঙে হঠাৎই আমার মধ্যে অন্য অনুভূতি তৈরি হয়। তখন আমার মনে হয়, কেউ যেন আমাকে বলছে তুমি হেঁটে মক্কায় যাও।’ এরপর তিনি মাত্র দুই মাসে দীর্ঘ ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে পায়ে হেঁটে মক্কায় গেলেন যুবক

অবশ্য এই সময় একটি ব্রিটিশ সংস্থা তাঁকে নানাভাবে সাহায্য করে। এই সফরে প্রতিকূল আবহাওয়া-সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়লেও কোনও বড় বাধার মুখোমুখি হননি। নতুন নতুন দেশে প্রবেশ করলে পুলিশ তাঁকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে সবাই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। হজযাত্রা শুরুর কথা জানিয়ে আদম বলেন, ২০২১ সালের ১ আগস্ট হেঁটে তিনি ব্রিটেনের উলভারহ্যাম্পটন শহরের নিজ বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য দিন-রাত জমজমের পানি

 

৯টি দেশ পাড়ি দিয়ে মক্কায় পৌঁছতে তাঁকে ৬,৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। এতে সময় লেগেছে ১০ মাস ২৬ দিন। সউদি প্রবেশের আগে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, চেক, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডন-সহ মোট ৯টি দেশ পাড়ি দেন আদম মুহাম্মদ। বলেন, ‘আমার দীর্ঘ হজ ভ্রমণের একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।’ রেকর্ড ভাঙা বা অন্য কোনও ধরনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তাঁর নেই বলে জানান।

 

মক্কায় পৌঁছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘হজ পালন আমার জীবনের বড় ইচ্ছা ছিল। এ বছর তা পূরণ হচ্ছে বলে আমি আনন্দিত।’ সউদিতে প্রবেশের পরই স্থানীয়দের ভালোবাসা ও অভ্যর্থনা পেয়ে অভিভূত হন তিনি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি এই দীর্ঘ ভ্রমণের নাম দিয়েছেন, ‘দ্য পিস জার্নি’ বা শান্তিভ্রমণ। দীর্ঘ ভ্রমণে তাঁর সঙ্গী ছিল প্রায় ২৫০ কেজি ওজনের তিন চাকার ট্রলি। এখানেই তিনি বিশ্রাম নিতেন এবং প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখতেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পায়ে হেঁটে ব্রিটেন থেকে মক্কায় আদম

আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ১১ মাস হেঁটে পবিত্র মক্কা শরীফে পৌঁছলেন ব্রিটিশ হজযাত্রী আদম মুহাম্মদ (৫২)। গত রবিবার মক্কার আয়েশা (রা.) মসজিদে এসে পৌঁছন তিনি। এ সময় স্থানীয়দের উষ্ণ অভ্যর্থনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন কুর্দ বংশ উদ্ভুত হজযাত্রী আদম মুহাম্মদ। মক্কায় তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

এই হজযাত্রী বলেন, ‘২৫ বছর ধরে আমি ব্রিটেন বসবাস করছি। করোনা মহামারি রোধে তখন চারদিকে সবার চলাচল বন্ধ ছিল। তখন আমি পবিত্র কুরআন পাঠে ব্যস্ত সময় পার করি। দীর্ঘ দেড় বছর পড়াশোনার পর একদিন ঘুম ভেঙে হঠাৎই আমার মধ্যে অন্য অনুভূতি তৈরি হয়। তখন আমার মনে হয়, কেউ যেন আমাকে বলছে তুমি হেঁটে মক্কায় যাও।’ এরপর তিনি মাত্র দুই মাসে দীর্ঘ ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে পায়ে হেঁটে মক্কায় গেলেন যুবক

অবশ্য এই সময় একটি ব্রিটিশ সংস্থা তাঁকে নানাভাবে সাহায্য করে। এই সফরে প্রতিকূল আবহাওয়া-সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়লেও কোনও বড় বাধার মুখোমুখি হননি। নতুন নতুন দেশে প্রবেশ করলে পুলিশ তাঁকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে সবাই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। হজযাত্রা শুরুর কথা জানিয়ে আদম বলেন, ২০২১ সালের ১ আগস্ট হেঁটে তিনি ব্রিটেনের উলভারহ্যাম্পটন শহরের নিজ বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য দিন-রাত জমজমের পানি

 

৯টি দেশ পাড়ি দিয়ে মক্কায় পৌঁছতে তাঁকে ৬,৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। এতে সময় লেগেছে ১০ মাস ২৬ দিন। সউদি প্রবেশের আগে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, চেক, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডন-সহ মোট ৯টি দেশ পাড়ি দেন আদম মুহাম্মদ। বলেন, ‘আমার দীর্ঘ হজ ভ্রমণের একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।’ রেকর্ড ভাঙা বা অন্য কোনও ধরনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তাঁর নেই বলে জানান।

 

মক্কায় পৌঁছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘হজ পালন আমার জীবনের বড় ইচ্ছা ছিল। এ বছর তা পূরণ হচ্ছে বলে আমি আনন্দিত।’ সউদিতে প্রবেশের পরই স্থানীয়দের ভালোবাসা ও অভ্যর্থনা পেয়ে অভিভূত হন তিনি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি এই দীর্ঘ ভ্রমণের নাম দিয়েছেন, ‘দ্য পিস জার্নি’ বা শান্তিভ্রমণ। দীর্ঘ ভ্রমণে তাঁর সঙ্গী ছিল প্রায় ২৫০ কেজি ওজনের তিন চাকার ট্রলি। এখানেই তিনি বিশ্রাম নিতেন এবং প্রয়োজনীয় সব জিনিস রাখতেন।