৬০ ঘণ্টা পর বিবিসি’র দিল্লি-মুম্বাই অফিসে আয়কর অভিযানের ‘রুটিন মাফিক সমীক্ষা’ সমাপ্ত

- আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
- / 9
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অবশেষে তিনদিন ধরে চলা বিবিসির দিল্লি-মুম্বাই অফিসে আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান শেষ হল। প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে চলা এই তল্লাশি অভিযান শেষ হয় বৃহস্পতিবার রাতে। এই অভিযানে দুই অফিসে আটকে পড়েন একজন ব্রিটিশ সঞ্চালক সহ বিবিসির প্রায় ১০ জন কর্মী। প্রায় তিনদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরতে পারলেন তারা।
আয়কর দফতরের পোশাকি ভাষায় একে সার্ভে (সমীক্ষা) নাম দেওয়া হলেও বিরোধীদের অভিযোগ এই অভিযান তল্লাশির থেকে কোনও অংশে কম নয়। তাদের মতে, পরিকল্পিতভাবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)-এর দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের অফিসে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় অভিযান শুরু হয়। এই ‘সার্ভে’ চলাকালীন বেশ কিছু ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। সংস্থাটির অফিসে থাকা সব কম্পিউটার এবং ল্যাপটপও স্ক্যান করা হয় এবং সেখানে কর্মরত বিবিসির কর্মচারীদের তাড়াতাড়ি অফিস ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। কর্মীদের দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
তখন বিবিসির তরফ থেকে বলা হয়, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব এবং আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়গুলো সমাধান হবে।’
বিবিসি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করেছিল এবং এর কয়েক সপ্তাহ পরেই এমন সমীক্ষা শুরু হয়। তথ্যচিত্রে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা কেমন ছিল, তা নিয়ে সম্প্রতি দু’খণ্ডের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে সম্প্রচার করে বিবিসি। তার পরেই আয়কর বিভাগের এই তল্লাশি অভিযান।
বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি শেষে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা চলে গেলে একটি ট্যুইট করে বিবিসি কর্তৃপক্ষ লেখে, আয়কর বিভাগের কর্তারা দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাব। আশা করছি, দ্রুত এর নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
ট্যুইটে আরও লেখা হয়েছে, আমাদের কর্মী যারা এত ক্ষণ অফিসে রয়েছেন বা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন তাদের খেয়াল রাখা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। আমরা ভারত এবং ভারতের বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের খবর পরিবেশন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিবিসি একটি বিশ্বস্ত স্বাধীন মিডিয়া সংস্থা। আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি যারা ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই প্রতিবেদন করতে থাকবে।’