অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সর্বদল বৈঠক, নেতত্বে শাহ-রাজনাথ, অনুপস্থিত মোদি

- আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 75
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় সেন। তারপর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সর্ববদল বৈঠক ডাকে সরকার। এর আগে পহেলগাঁও হামলার পরও সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠক অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকের বদলে তিনি বিহারে গিয়েছিলেন সরকারি কর্মসূচির নামে ভোটপ্রচারের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর বিরোধীদের নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। এবারের বৈঠকেও বিরোধীদের সম্মুখীন হলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না মোদি। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ফের প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সর্বদল বৈঠক ডাকে সরকার। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এই সময় গোটা দেশ যে একত্রিত সেই বার্তাটা দেওয়া দরকার। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই ঐক্যের বার্তা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারের সর্বদল বৈঠকে সংসদ ভবনে বিরোধী শিবিরের বহু শীর্ষনেতা উপস্থিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই বৈঠকে ছিলেন না।
এদিনের বৈঠকে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা। আর কেন্দ্রর তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া প্রথম সারির প্রায় সব মন্ত্রীই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও উপস্থিত ছিলেন। সুত্রের খবর, বিরোধীদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে সব তথ্য দেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকলেও তিনি নিজের বার্তা পাঠিয়েছেন রাজনাথ সিংয়ের মাধ্যমে। সূত্রের দাবি, বৈঠকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সে কথা জানিয়েছেন। বৈঠকের আগেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী । বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে বলে জানানো হয়।