জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র
- আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 349
পুবের কলম প্রতিবেদক : জিএসটি কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক বদল প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র জিএসটি কাঠামোয় যে পরিবর্তন এনেছে, তার ফলে রাজ্যগুলির রাজস্বের যে ক্ষতি হবে, তা পূরণের কোনো স্পষ্ট দিশা নেই।
অমিত মিত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লা থেকে জিএসটি কাঠামোর বদল ঘোষণা করলেও এর আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ১১টি রাজ্যের মন্ত্রীরা এই পরিবর্তনের কারণে হওয়া আর্থিক ক্ষতি পূরণের দাবি জানিয়েছিলেন, যা মানা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন যে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জিএসটি চালুর সময়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার ওপর ভিত্তি করে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে, তা নিয়ে কেন্দ্র নীরব।
অমিত মিত্রের বক্তব্য, জিএসটি’র এই পরিবর্তনের ফলে রাজ্যগুলির মৌলিক দাবি খর্ব করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘নারী সুরক্ষা, এসসি-এসটিদের কল্যাণ এবং স্বাস্থ্য খাতে রাজ্যগুলি কীভাবে খরচ চালাবে? যদি রাজস্ব ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয়, তাহলে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলিতে রাজ্যের ব্যয় করার ক্ষমতা কমে যাবে।’
কেন্দ্র ৪৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির কথা বললেও অমিত মিত্রের দাবি, ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ অনেক বেশি হবে। কারণ, সাপ্লাই চেনের ওপর এই পরিবর্তনের কী প্রভাব পড়বে, তা কেন্দ্র এখনও সঠিকভাবে খতিয়ে দেখেনি। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয় বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার ওপর জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা করার পর তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন যে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরব হয়েছিলেন। কেন্দ্র চাপের মুখে এই পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে বলে তাঁদের মত। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও অমিত মিত্রের মূল উদ্বেগ হল, এই পরিবর্তনের ফলে রাজ্যগুলির ওপর যে আর্থিক বোঝা চাপবে, তা কীভাবে সামাল দেওয়া হবে।





















































