০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার শিশুর বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য হতে পারে মুখ্য প্রতিবন্ধক !

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, সোমবার
  • / 47

প্লাস্টিক ব্যবহার শিশুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির অন্যতম প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে আগামী প্রজন্মের শিশুদের কাছে। তাই চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। পৃথিবী কি থাকবে শিশুদের বাস যোগ্য ভূমি হিসেবে? এমন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা।

সকালের টুথব্রাশ থেকে শুরু করে ব্যবহার করা খেলনা– স্কুলের টিফিন বক্স সবাই প্লাস্টিকের।

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত দিবস ও বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক আলোচনা সভা হয়ে গেল বহড়ুতে

ছোটরা বেশি খেতে পছন্দ করে ফাস্ট ফুড। রুটি– বিস্কুট– কেক– কোক– প্লাস্টিকের বোতলে জল– রাতের শোয়ার সময় নাইলন মশারি। সবই প্লাস্টিক। বৈজ্ঞানিকরা এক গবেষণায় জানিয়েছেন– প্রতিটি মানুষ নানা অছিলায় ব্যবহার করে প্লাষ্টিক। আর এই প্লাস্টিক থেকে ৭০০০ মাইক্রো পার্টিকেল ঢুকছে মানব শরীরে। যার পরিণামে খাদ্য খেলে আমাদের শরীরে হচ্ছে বদহজম এমনকী ক্যনসার ও।

আরও পড়ুন: গরুর পেট থেকে উদ্ধার ৬৫ কেজির প্লাস্টিক, অবাক  চিকিৎসকরা 

একটা শিশুর দুধের বোতল থেকে সফট টয়েজ– সবেতেই প্রধান উপাদান প্লাস্টিক। আমাদের বালিশ– বিছানা– কার্পেট– স্মার্টফোন পর্যন্ত তৈরি হয় সিন্থেটিক থেকে। আর সেসব থেকে প্লাস্টিকের অনু কণা ঢুকে পড়ছে শরীরে। অন্য একটি গবেষণা বলছে– একটি বাচ্চার বেডরুমে প্রতি মিনিটে ২৮ প্লাস্টিক পার্টিকেল পাওয়া যায়। যেখানে রান্নাঘরে প্রতি মিনিটে ২ প্লাস্টিক পার্টিকেল মেলে। সুতরাং বাচ্চাদের যে কতটা ক্ষতি হচ্ছে– তা স্পষ্ট। প্লাস্টিক ৫০০ বছরেও নষ্ট হয় না। বলা হয় শধ দূষণ– বায়ু দূষণের চেয়েও ভয়ংকর প্লাস্টিক।

আরও পড়ুন: মায়ের বুকের দুধে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব! উদ্বিগ্ন গবেষকরা

২০১৬ সালে পৃথিবীর বুকে মোট ১৮৮ মিলিয়ন টন (১৮ কোটি ৮০ লক্ষ টন) প্লাস্টিক ছিল। ২০৪০ সালে সেই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৩৮০ মিলিয়ন টনে (৩৮ কোটি টন)। সুতরাং এখনই যদি প্লাস্টিক উৎপাদনে লাগাম পরানো না হয়– তাহলে সমস্যা জটিল হবে।

তাহলে জন্মদিন– বিবাহ বার্ষিকী– আচার অনুষ্ঠানে আমরা কি ফিরে যাব পুরাতন আমলে। কলাপাতা বা শালপাতায় ভাত– লাঠি লজেন্স– হাওয়াই মিঠাই– মোয়া পাটালির যুগে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার শিশুর বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য হতে পারে মুখ্য প্রতিবন্ধক !

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

প্লাস্টিক ব্যবহার শিশুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির অন্যতম প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে আগামী প্রজন্মের শিশুদের কাছে। তাই চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। পৃথিবী কি থাকবে শিশুদের বাস যোগ্য ভূমি হিসেবে? এমন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা।

সকালের টুথব্রাশ থেকে শুরু করে ব্যবহার করা খেলনা– স্কুলের টিফিন বক্স সবাই প্লাস্টিকের।

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত দিবস ও বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক আলোচনা সভা হয়ে গেল বহড়ুতে

ছোটরা বেশি খেতে পছন্দ করে ফাস্ট ফুড। রুটি– বিস্কুট– কেক– কোক– প্লাস্টিকের বোতলে জল– রাতের শোয়ার সময় নাইলন মশারি। সবই প্লাস্টিক। বৈজ্ঞানিকরা এক গবেষণায় জানিয়েছেন– প্রতিটি মানুষ নানা অছিলায় ব্যবহার করে প্লাষ্টিক। আর এই প্লাস্টিক থেকে ৭০০০ মাইক্রো পার্টিকেল ঢুকছে মানব শরীরে। যার পরিণামে খাদ্য খেলে আমাদের শরীরে হচ্ছে বদহজম এমনকী ক্যনসার ও।

আরও পড়ুন: গরুর পেট থেকে উদ্ধার ৬৫ কেজির প্লাস্টিক, অবাক  চিকিৎসকরা 

একটা শিশুর দুধের বোতল থেকে সফট টয়েজ– সবেতেই প্রধান উপাদান প্লাস্টিক। আমাদের বালিশ– বিছানা– কার্পেট– স্মার্টফোন পর্যন্ত তৈরি হয় সিন্থেটিক থেকে। আর সেসব থেকে প্লাস্টিকের অনু কণা ঢুকে পড়ছে শরীরে। অন্য একটি গবেষণা বলছে– একটি বাচ্চার বেডরুমে প্রতি মিনিটে ২৮ প্লাস্টিক পার্টিকেল পাওয়া যায়। যেখানে রান্নাঘরে প্রতি মিনিটে ২ প্লাস্টিক পার্টিকেল মেলে। সুতরাং বাচ্চাদের যে কতটা ক্ষতি হচ্ছে– তা স্পষ্ট। প্লাস্টিক ৫০০ বছরেও নষ্ট হয় না। বলা হয় শধ দূষণ– বায়ু দূষণের চেয়েও ভয়ংকর প্লাস্টিক।

আরও পড়ুন: মায়ের বুকের দুধে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব! উদ্বিগ্ন গবেষকরা

২০১৬ সালে পৃথিবীর বুকে মোট ১৮৮ মিলিয়ন টন (১৮ কোটি ৮০ লক্ষ টন) প্লাস্টিক ছিল। ২০৪০ সালে সেই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৩৮০ মিলিয়ন টনে (৩৮ কোটি টন)। সুতরাং এখনই যদি প্লাস্টিক উৎপাদনে লাগাম পরানো না হয়– তাহলে সমস্যা জটিল হবে।

তাহলে জন্মদিন– বিবাহ বার্ষিকী– আচার অনুষ্ঠানে আমরা কি ফিরে যাব পুরাতন আমলে। কলাপাতা বা শালপাতায় ভাত– লাঠি লজেন্স– হাওয়াই মিঠাই– মোয়া পাটালির যুগে।