২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলের গেটে সিসোদিয়ার সমর্থনে ব্যানার, রুজু মামলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 37

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পূর্ব দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক এলাকায় দিল্লি বোর্ডের এক স্কুলের গেটে ঝুলছে ‘আই লাভ মনীশ সিসোদিয়া’ ব্যানার লাগানো নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। এই ব্যানার স্থানীয় মানুষের চোখে পড়লে তারা বিক্ষোভ দেখায় এবং তারাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় বাসিন্দা দিবাকর পাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক পুলিশ স্টেশনে ‘দিল্লি প্রিভেনশন অফ ডিফেসমেন্ট অফ প্রপারটি’  আইনে মামলা রুজু হয়।

স্থানীয়দের বিক্ষোভের পর অবশ্য ব্যানার সরিয়ে নেওয়া হয়।  নিউজ এজেন্সি এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিযোগকারী জানান, ৩ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ৮.৩০-র মধ্যে আম আদমি পার্টির কয়েকজন কর্মী শাস্ত্রী পার্কের সরকারি স্কুলের গেটে এই ব্যানার ঝোলায়। তিনি জানান, স্কুলের   ভিতর থেকে আপ কর্মীরা একটি ডেস্ক বের করে এনে তার উপর দাঁড়িয়ে ‘আই লাভ মনীষ সিসোদিয়া’ ব্যানার ঝোলায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, শিক্ষার মন্দিরকেও রাজনীতির রং দিয়ে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

তাঁরা কার অনুমতিতে এ কাজ করেছে প্রশ্ন করা হলে, আপ কর্মীরা নিজেদের  বিধায়ক আবদুল রহমানের লোক বলে দাবি করেন। এরপর বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করে নেন। দিবাকর জানান, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের অনুমতি কখনও দেওয়া উচিত নয়। তাঁর আরও অভিযোগ স্কুলের ছাত্রদের দিয়ে এই ব্যানার লেখানো হয়েছে এবং তাঁদের ব্রেনওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং বেআইনি কাজ।

আমরা প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা  দুর্গেশ তেওয়ারি এএনআইকে জানান, আপ কর্মীরা স্কুলের গেটে ‘আই লাভ ইউ সিসোদিয়া’ ব্যানার ঝুলিয়ে সেখানে স্কুলের পড়ুয়াদের একত্রিত করার  চেষ্টা করে।

তিনি জানান, আমি আপ কর্মীদের বলি এটা ঠিক কাজ হচ্ছে না, তারা উত্তরে বলে, কেন্দ্র সরকারও ঠিক কাজ করছে না, আমাদের শিক্ষামন্ত্রীকে ভুয়ো মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। তিওয়ারি বলেন, পড়ুয়াদের সাহায্যে, আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত এক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে এটা কি ঠিক? আপ কর্মীরা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং পড়ুয়াদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই অনৈতিক কাজে বাধ্য করছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কুলের গেটে সিসোদিয়ার সমর্থনে ব্যানার, রুজু মামলা

আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পূর্ব দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক এলাকায় দিল্লি বোর্ডের এক স্কুলের গেটে ঝুলছে ‘আই লাভ মনীশ সিসোদিয়া’ ব্যানার লাগানো নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। এই ব্যানার স্থানীয় মানুষের চোখে পড়লে তারা বিক্ষোভ দেখায় এবং তারাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় বাসিন্দা দিবাকর পাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক পুলিশ স্টেশনে ‘দিল্লি প্রিভেনশন অফ ডিফেসমেন্ট অফ প্রপারটি’  আইনে মামলা রুজু হয়।

স্থানীয়দের বিক্ষোভের পর অবশ্য ব্যানার সরিয়ে নেওয়া হয়।  নিউজ এজেন্সি এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিযোগকারী জানান, ৩ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ৮.৩০-র মধ্যে আম আদমি পার্টির কয়েকজন কর্মী শাস্ত্রী পার্কের সরকারি স্কুলের গেটে এই ব্যানার ঝোলায়। তিনি জানান, স্কুলের   ভিতর থেকে আপ কর্মীরা একটি ডেস্ক বের করে এনে তার উপর দাঁড়িয়ে ‘আই লাভ মনীষ সিসোদিয়া’ ব্যানার ঝোলায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, শিক্ষার মন্দিরকেও রাজনীতির রং দিয়ে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

তাঁরা কার অনুমতিতে এ কাজ করেছে প্রশ্ন করা হলে, আপ কর্মীরা নিজেদের  বিধায়ক আবদুল রহমানের লোক বলে দাবি করেন। এরপর বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করে নেন। দিবাকর জানান, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের অনুমতি কখনও দেওয়া উচিত নয়। তাঁর আরও অভিযোগ স্কুলের ছাত্রদের দিয়ে এই ব্যানার লেখানো হয়েছে এবং তাঁদের ব্রেনওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং বেআইনি কাজ।

আমরা প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেননি। পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা  দুর্গেশ তেওয়ারি এএনআইকে জানান, আপ কর্মীরা স্কুলের গেটে ‘আই লাভ ইউ সিসোদিয়া’ ব্যানার ঝুলিয়ে সেখানে স্কুলের পড়ুয়াদের একত্রিত করার  চেষ্টা করে।

তিনি জানান, আমি আপ কর্মীদের বলি এটা ঠিক কাজ হচ্ছে না, তারা উত্তরে বলে, কেন্দ্র সরকারও ঠিক কাজ করছে না, আমাদের শিক্ষামন্ত্রীকে ভুয়ো মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। তিওয়ারি বলেন, পড়ুয়াদের সাহায্যে, আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত এক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে এটা কি ঠিক? আপ কর্মীরা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং পড়ুয়াদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই অনৈতিক কাজে বাধ্য করছে।