Migrant worker: অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে রহস্যমৃত্যু মুর্শিদাবাদের বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের

- আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
- / 51
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে আক্রান্ত বাংলা ও বাঙালি (Migrant worker)। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। সে সব রাজ্যে বাংলা কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া এখন রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছি। এছাড়া পিছনে বন্দুক ঠেকিয়ে ওপার বাংলা পাঠাতেও দ্বিধাবোধ করছে না বিজেপি চালিত পুলিশ আধিকারিকরা। নির্মম অত্যাচার তো রয়েছেই এবার একের পর এক বাঙালি মুসলিম পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি কেরলে ফালাকাটার এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। যাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একদিন নিখোঁজ থাকার পর রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার দেহ। জানা গেছে, অন্ধ্রপ্রদেশের এক রেললাইনের ধারে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পরিবারের। স্থানীয় এক ঠিকাদারের উপর সন্দেহ বলে জানিয়েছে পরিবার।
মৃতের নাম কাদির শেখ। বয়স ৩২ বছর। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে ইমামনগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইমামনগর এলাকার বাসিন্দা কাদির। পেশায় রাজমিস্ত্রী। ২০-২২ দিন আগে সেই কাজে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন। গত ৮-৯ বছর ধরে তিনি ভিন রাজ্যে কাজ করছিলেন। বর্তমান ঠিকাদারের অধীনে বছর তিনেক ধরে কাজ করছিলেন। তার কাছ লক্ষাধিক টাকা পেতেন বলে দাবি পরিবারের। এমন অবস্থায় একদিন আগে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান কাদির। শনিবার রাতে পরিবারের কাছে খবর আসে রেললাইনের ধার থেকে কাদিরের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
কাদিরের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে রেললাইনের ধারে দেহ ফেলে দিয়েছে ঠিকাদার ও তাঁর দলবল।
ঘটনাপ্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৃতের ভাইপো বলেন, ‘আমার কাকাকে পিটিয়ে খুন করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’
এক সময় কাদিরের সঙ্গেই কাজ করা এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমি নিজেও ওই ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করেছি। কাদির ঠিকাদারের কাছ থেকে অনেক টাকা পেত। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’
এদিকে কাদির শেখের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের দেহ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার। তারা চায়, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।