১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
  • / 334

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা এবং অবমাননার অভিযোগ খারিজ করে দিল বেঙ্গালুরুর এক নিম্ন আদালত।

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, আর এস এস এবং বজরং দলের মতো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বেশি অপরাধ করে। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কে এন শিবকুমার বলেছেন, আর এস এস কোনও ধর্মীয় সংগঠন নয়।

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

তাই এই বিবৃতিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে কোনও আঘাত করা বোঝায় না। কিরণ এন নামে এক আইনজীবী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তিনি আর এস এসের সঙ্গে যুক্ত, এই দাবি করে তিনি আদালতে আবেদনে বলেন, রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

বিরোধীরা আইনশৃঙ্খলায় অবনতির কথা তুললে তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বেশিরভাগ অপরাধের জন্য দায়ী বজরং দল এবং আর এস এস। আবেদনকারী আবেদনে বলেন, আর এস এসের মতো এক পবিত্র সংগঠনকে অপরাধী সংগঠন বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এই সংগঠনের সদস্যদের অপরাধী বলে অভিহিত করেছেন।

আরও পড়ুন: দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চান রাহুল , বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত’র

বিচারক বলেছেন, এই বক্তব্যে আর এস এসের মর্যাদা এবং খ্যাতি বিঘ্নিত হবে বলে তিনি মনে করেন না। তাছাড়া অভিযোগকারী যে অভিযোগ করেছেন তা ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ২৯৯, ৩৫২ বা ৩৫৬(২) ধারার সঙ্গে সাযুজ্য মেনে করা হয়নি। বিচারক বলেছেন, আর এস এসকে ধর্মীয় সংগঠন বলে কেউ জানে না। আর এস এস তাদের ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্ম বলে কোথাও উল্লেখও করে না।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যা বলেছেন তা ভারতীয় সংবিধানের ১৯৪(২) ধারা অনুযায়ী তাঁর অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তাছাড়া আর এস এস যদি মনে করে তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে তাহলে আর এস এসকে আবেদন করতে হবে। সংগঠনের কোনও সমর্থক মামলা করলে তা গ্রাহ্য হবে না।

বিচারক বলেন, বিরোধী নেতা আর অশোক পর্যন্ত স্বীকার করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কোনও অবমাননাকর কথা বলেননি। এই প্রতিবেদন তিনি হিন্দু কাগজে পড়েছেন। গত ১৭ মার্চ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিতর্কের সময়ে বলেন, রাজ্যে বেশিরভাগ অপরাধ আর এস এস এবং বজরং দল করছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা এবং অবমাননার অভিযোগ খারিজ করে দিল বেঙ্গালুরুর এক নিম্ন আদালত।

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় কথাপ্রসঙ্গে বলেছিলেন, আর এস এস এবং বজরং দলের মতো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বেশি অপরাধ করে। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কে এন শিবকুমার বলেছেন, আর এস এস কোনও ধর্মীয় সংগঠন নয়।

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

তাই এই বিবৃতিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে কোনও আঘাত করা বোঝায় না। কিরণ এন নামে এক আইনজীবী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তিনি আর এস এসের সঙ্গে যুক্ত, এই দাবি করে তিনি আদালতে আবেদনে বলেন, রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনার সময় মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

বিরোধীরা আইনশৃঙ্খলায় অবনতির কথা তুললে তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বেশিরভাগ অপরাধের জন্য দায়ী বজরং দল এবং আর এস এস। আবেদনকারী আবেদনে বলেন, আর এস এসের মতো এক পবিত্র সংগঠনকে অপরাধী সংগঠন বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এই সংগঠনের সদস্যদের অপরাধী বলে অভিহিত করেছেন।

আরও পড়ুন: দেশে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চান রাহুল , বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত’র

বিচারক বলেছেন, এই বক্তব্যে আর এস এসের মর্যাদা এবং খ্যাতি বিঘ্নিত হবে বলে তিনি মনে করেন না। তাছাড়া অভিযোগকারী যে অভিযোগ করেছেন তা ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ২৯৯, ৩৫২ বা ৩৫৬(২) ধারার সঙ্গে সাযুজ্য মেনে করা হয়নি। বিচারক বলেছেন, আর এস এসকে ধর্মীয় সংগঠন বলে কেউ জানে না। আর এস এস তাদের ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্ম বলে কোথাও উল্লেখও করে না।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যা বলেছেন তা ভারতীয় সংবিধানের ১৯৪(২) ধারা অনুযায়ী তাঁর অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তাছাড়া আর এস এস যদি মনে করে তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে তাহলে আর এস এসকে আবেদন করতে হবে। সংগঠনের কোনও সমর্থক মামলা করলে তা গ্রাহ্য হবে না।

বিচারক বলেন, বিরোধী নেতা আর অশোক পর্যন্ত স্বীকার করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কোনও অবমাননাকর কথা বলেননি। এই প্রতিবেদন তিনি হিন্দু কাগজে পড়েছেন। গত ১৭ মার্চ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিতর্কের সময়ে বলেন, রাজ্যে বেশিরভাগ অপরাধ আর এস এস এবং বজরং দল করছে।