বিহার ভোটার তালিকা: সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মিডিয়ার ভুল ব্যাখ্যা, আক্রমণ বিরোধীদের
- আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
- / 246
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা এবং তার মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ভোটার যাচাই প্রক্রিয়ায় আধার, ভোটার আইডি (EPIC) এবং রেশন কার্ড—এই তিনটি বহুল প্রচলিত নথি বিবেচনা করার পরামর্শ দেয়। পরে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, এই নথিগুলি ইতিমধ্যেই যাচাই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত, তবে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নয়।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই নির্দেশ লক্ষ লক্ষ ভোটারকে বঞ্চিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।”
তিনি স্পষ্ট করেন, পিটিশনকারীদের কেউই তালিকা স্থগিত রাখার আবেদন করেননি, অথচ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট এমনভাবে শিরোনাম করেছে যেন আদালত নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রায় দিয়েছে।
তিনি টুইটে লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে EPIC, আধার ও রেশন কার্ড বিবেচনা করতে হবে। এতে বহু মানুষ বঞ্চিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।”
মীম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন,
“নির্বাচন কমিশনের ‘সোর্স’ সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে।”
তিনি বলেন,“সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কারভাবে বলেছে যে নির্বাচন কমিশনের ১১টি নথির পাশাপাশি আধার, EPIC ও রেশন কার্ড বিবেচনা করতে হবে। এগুলো কেবল আনুষ্ঠানিকতা বা রেকর্ড রাখার জন্য নয়—বরং ভোটার যাচাইয়ের সময় নাগরিকত্ব প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ।”
“আমরা আশা করি ১৯৯৫ সালের বাবু লাল হুসেইন মামলার রায়ের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা হবে।”
বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেছিলেন, “আমরা বলছি না যে আপনাদের এগুলো মানতেই হবে, শুধু বলছি যে এগুলো বিবেচনার উপযুক্ত। যদি বাদ দেন, যুক্তিসহ বাদ দিন।”
আদালত আরও প্রশ্ন তোলে, কেন এই তালিকা সংশোধন বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই শুরু হলো?
আদালত নির্বাচন কমিশনকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে কাউন্টার অ্যাফিডেভিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং সেই দিনেই পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ না করতে বলেছে আদালত।



















































