০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ শুরু বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু দফতরের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 7

ছবি-তথাগত চক্রবর্তী

কৌশিক সালুই, বীরভূম:  অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু দফতরের। খ্রিস্টান,  জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি ধর্মালম্বীদের চিহ্নিত করে তাদের দাবি দাওয়া সামাজিক অবস্থান নিয়ে সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে এবং সেই ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গৃহীত হবে। তাদের ধর্মীয় ও উপাসনা স্থলকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ শুরু বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু দফতরের

 

বীরভূম জেলা প্রশাসন সুত্র জানা গিয়েছে জেলার অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে রাজ্য সরকারের কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষদের অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

 

এলাকার পরিকাঠামগত উন্নয়নের অবস্থা কেমন, তাদের সামাজিক স্থিতি, ধর্মীয় উপস্থাপনাস্থল প্রভৃতি বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ,  উচ্চ শিক্ষার জন্য লোন ব্যবসায়িক লোন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা আছে তার তথ্যতলাশ ও সরাসরি তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো একটি বিষয় নজর দেওয়া হচ্ছে সেটি হল তাদের ধর্মীয় এবং উপাসনাস্থল গুলিকে চিহ্নিত করে যদি কোন পর্যটন সার্কিটের সম্ভাবনা থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

রাজ্য তথা দেশের পর্যটন মানচিত্রে বীরভূম জেলার ভূমিকাও সামনের সারিতে। জেলাতে পাঁচটি সতিপীঠ, তারাপীঠ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তথা শান্তিনিকেতন, পাথরচাপুরীর দাতাবাবা মেহবুব শাহের পবিত্র মাজার শরীফ, কবি জয়দেব পদ্মাবতীর জয়দেব প্রভৃতি স্থানের জন্য সারা বছর ধরে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ ও বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এই জেলাতে ঘুরতে আসেন। তার সঙ্গে এই পর্যটন মানচিত্রে ওই সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের নতুন কিছু জায়গা যোগ হলে এলাকারও আর্থসামাজ উন্নয়ন হবে বলে আশা জেলা প্রশাসনের।

পশ্চিমবঙ্গে ২০২০ সাল পর্যন্ত অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে খ্রিষ্টান-৬৫৮৬১৮, বৌদ্ধ -২৮২৮৯৮, শিখ-৬৩৫২৩, জৈন- ৬০১৪১ এবং পার্সি দুই হাজার জন। এই সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বীরভূমের সংখ্যা আনুমানিক ১৫ হাজার।

 

বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন আধিকারিক পিয়ালী মন্ডল, মোঃ ইমরান আলি এডুকেশন সুপারভাইজার, আইটি পার্সোনাল আমির খান সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন। মুরারয়, মহম্মদ বাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সেই কাজ হয়ে গিয়েছে।

 

অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘অমুসলিম সংখ্যালঘুরা যাতে রাজ্য সরকারের কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাঁধ না করে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে পাশাপাশি ওই ওই সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ঘিরে যদি কোন পর্যটন সার্কিট করা যায়, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে”।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ শুরু বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু দফতরের

আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম:  অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু দফতরের। খ্রিস্টান,  জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি ধর্মালম্বীদের চিহ্নিত করে তাদের দাবি দাওয়া সামাজিক অবস্থান নিয়ে সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে এবং সেই ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গৃহীত হবে। তাদের ধর্মীয় ও উপাসনা স্থলকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ শুরু বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু দফতরের

 

বীরভূম জেলা প্রশাসন সুত্র জানা গিয়েছে জেলার অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে রাজ্য সরকারের কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষদের অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

 

এলাকার পরিকাঠামগত উন্নয়নের অবস্থা কেমন, তাদের সামাজিক স্থিতি, ধর্মীয় উপস্থাপনাস্থল প্রভৃতি বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ,  উচ্চ শিক্ষার জন্য লোন ব্যবসায়িক লোন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা আছে তার তথ্যতলাশ ও সরাসরি তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো একটি বিষয় নজর দেওয়া হচ্ছে সেটি হল তাদের ধর্মীয় এবং উপাসনাস্থল গুলিকে চিহ্নিত করে যদি কোন পর্যটন সার্কিটের সম্ভাবনা থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

রাজ্য তথা দেশের পর্যটন মানচিত্রে বীরভূম জেলার ভূমিকাও সামনের সারিতে। জেলাতে পাঁচটি সতিপীঠ, তারাপীঠ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তথা শান্তিনিকেতন, পাথরচাপুরীর দাতাবাবা মেহবুব শাহের পবিত্র মাজার শরীফ, কবি জয়দেব পদ্মাবতীর জয়দেব প্রভৃতি স্থানের জন্য সারা বছর ধরে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ ও বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এই জেলাতে ঘুরতে আসেন। তার সঙ্গে এই পর্যটন মানচিত্রে ওই সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের নতুন কিছু জায়গা যোগ হলে এলাকারও আর্থসামাজ উন্নয়ন হবে বলে আশা জেলা প্রশাসনের।

পশ্চিমবঙ্গে ২০২০ সাল পর্যন্ত অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে খ্রিষ্টান-৬৫৮৬১৮, বৌদ্ধ -২৮২৮৯৮, শিখ-৬৩৫২৩, জৈন- ৬০১৪১ এবং পার্সি দুই হাজার জন। এই সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বীরভূমের সংখ্যা আনুমানিক ১৫ হাজার।

 

বীরভূম জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন আধিকারিক পিয়ালী মন্ডল, মোঃ ইমরান আলি এডুকেশন সুপারভাইজার, আইটি পার্সোনাল আমির খান সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন। মুরারয়, মহম্মদ বাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সেই কাজ হয়ে গিয়েছে।

 

অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘অমুসলিম সংখ্যালঘুরা যাতে রাজ্য সরকারের কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাঁধ না করে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে পাশাপাশি ওই ওই সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ঘিরে যদি কোন পর্যটন সার্কিট করা যায়, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে”।