০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মের নামে ভোট চাওয়ায় বিধিভঙ্গ? প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে আবেদন হাইকোর্টে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার
  • / 27

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ৬ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করা হোক। এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী আনন্দ  এস জনধালে। পিলভিটে নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, রামমন্দির তিনি তৈরি করেছেন।  বত্তৃতায় শিখদের গুরুদোয়ারা ও গ্রন্থসাহেবের প্রসঙ্গ   উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে মুসলিমদের তোয়াজ করার জন্য বিরোদীদের সমালোচনা করেন। পিলভিটে এই সভা হয় ৯ এপ্রিল। আর্জিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারে কখনই মন্দির-মসজিদ-গির্জা বা  কোনও ধর্মীয় স্থানের প্রসঙ্গ ব্যবহার করা যায় না। ধর্মীয় ভাবাবেগ উসকে দিয়ে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির খেলাপ। প্রধানমন্ত্রী হিন্দু ও শিখদের  কাছে ধর্মীয় স্থানের প্রসঙ্গ টেনে ভোট চাইলেন। এই ধরনের বত্তৃতার মাধ্যমে একটি ধর্মকে উজাগর বা প্রমোট করা হয়, আর অন্য ধর্মকে ছোট হেয় করে দেখানোর শামিল। এরফলে একশ্রেণির মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেজন্য আবেদনকারী নির্বাচন কমিশনের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, সেজন্য দিল্লি হাইকোর্টে এসেছেন তিনি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধর্মের নামে ভোট চাওয়ায় বিধিভঙ্গ? প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে আবেদন হাইকোর্টে

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ৬ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করা হোক। এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী আনন্দ  এস জনধালে। পিলভিটে নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, রামমন্দির তিনি তৈরি করেছেন।  বত্তৃতায় শিখদের গুরুদোয়ারা ও গ্রন্থসাহেবের প্রসঙ্গ   উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে মুসলিমদের তোয়াজ করার জন্য বিরোদীদের সমালোচনা করেন। পিলভিটে এই সভা হয় ৯ এপ্রিল। আর্জিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারে কখনই মন্দির-মসজিদ-গির্জা বা  কোনও ধর্মীয় স্থানের প্রসঙ্গ ব্যবহার করা যায় না। ধর্মীয় ভাবাবেগ উসকে দিয়ে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির খেলাপ। প্রধানমন্ত্রী হিন্দু ও শিখদের  কাছে ধর্মীয় স্থানের প্রসঙ্গ টেনে ভোট চাইলেন। এই ধরনের বত্তৃতার মাধ্যমে একটি ধর্মকে উজাগর বা প্রমোট করা হয়, আর অন্য ধর্মকে ছোট হেয় করে দেখানোর শামিল। এরফলে একশ্রেণির মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেজন্য আবেদনকারী নির্বাচন কমিশনের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, সেজন্য দিল্লি হাইকোর্টে এসেছেন তিনি।