পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিসের বাসভবনের সামনে থেকে সরানো হল ব্যারিকেড। এছাড়াও ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। বুধবার,দিল্লির চানক্যপুরীর শান্তিপথ এবং রাজারি মার্গ এই দুই জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
ঘটনাপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্রিটিশ হাই কমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও একই রকম আছে। নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল তাই ব্যারিকেড সরানো হয়েছে। তবে, নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা কমানো হয়নি। এবং এতে নিরাপত্তার কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।’’
প্রসঙ্গত, রবিবারে লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং-এর সমর্থকরা। ভারতীয় দূতাবাসে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে কড়া পদক্ষেপের আশা করেছিল ভারত। তবে এই বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি ব্রিটিশ সরকার।
ওয়াকিফাল মহলের ধারণা, ঘটনার পালটা জবাব দিতেই নিরাপত্তা সরিয়ে নিল ভারত। যে ভাবে বিনা বাধায় খলিস্তানপন্থীরা লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা সত্যি নিন্দনীয়। শুধু তায় নয়, তাণ্ডব চলাকালীন অমৃতপালের সমর্থকেরা দূতাবাসে টাঙানো ভারতের জাতীয় পতাকা খুলে নেয়। সেখানে লাগিয়ে দেয় হলুদ পতাকা। ভারত বিরোধী স্লোগানও শোনা যায় খলিস্তানিদের মুখে।
এই ঘটনার পরেই তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত। মধ্যরাতে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটেনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রদূতকে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তলব করা হয়। যদিও ব্রিটিশ হাই কমিশনার ট্যুইট করে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন। ব্রিটিশ সাংসদদের তরফেও দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয়। তারপরেও এই ঘটনায় কোনও বিশেষ পদক্ষেপ নেয়নি ব্রিটিশ সরকার বলেই সূত্রের খবর। তার পালটা জবাব দিতেই কি নিরাপত্তা সরিয়ে নিল ভারত, এমনটাই উঠছে প্রশ্ন?