এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে কড়া কেন্দ্র, আইন বদল করতে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক

- আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 53
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার বেড়ে চলেছে দেশে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে তাঁর মুখে আপত্তিকর কথা দিয়ে প্রচার বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ভাঁড়ামি এত বেড়ে গিয়েছে যে, কেন্দ্র এবার এইসব নিয়ন্ত্রণে আইন বদল করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে কড়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ঠিক করেছে, এবার থেকে কেউ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও কন্টেন্ট সমাজমাধ্যমে দিলে তাকে নিচে লিখতে হবে, যে ওই কনটেন্ট কৃত্রিমভাবে তৈরি। এছাড়া কনটেন্টের সঙ্গে মেটাডেটা এবং শনাক্তকরণ ব্যবস্থা যুক্ত করা আবশ্যিক করা হবে খবর। যাতে আসল কনটেন্ট এবং কৃত্রিম কনটেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য শনাক্ত করা সহজ হয়।
জানা গিয়েছে, যে সব কনটেন্ট দৃশ্যমান, তার ১০ শতাংশ এলাকা জুড়ে লেবেল থাকতে হবে যাতে বোঝা যাবে কে বা কারা এই কনটেন্ট করেছে। এই লেবেল জলছবির মতো ভিডিয়োর সঙ্গে প্রদর্শিত হবে। অডিও কনটেন্টের ক্ষেত্রেও একইভাবে গোড়াতেই শোনাতে হবে কে এটা করেছে। সমাজমাধ্যম মঞ্চগুলির দায়িত্ব থাকবে, এই নিয়ম মানছে কিনা তা দেখা। সমাজমাধ্যম মঞ্চ বলতে ইউটিউব, ইনস্ট্রাগ্রাম, এক্স হ্যাণ্ডেল ইত্যাদি বিভিন্ন মঞ্চের কথা বলা হয়েছে।
ডিজিটাল মিডিয়ায় এথিক্স বিধির সংশোধন কীভাবে হবে তার খসড়া প্রকাশ করেছে মন্ত্রক। সম্প্রতি অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে কুমার শানু পর্যন্ত এই এআই-এর উপদ্রবে আদালতের শরণাপন্ন হন। তথ্য বলছে, ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৯৫ কোটি ৪৪ লক্ষ মানুষ। এখন ৯৫.১৫ শতাংশ গ্রামে সেচ না থাক, স্কুল না থাক, ইন্টারনেট চলে গিয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকা এবং ব্রিটেনেও এমন আইন হয়েছে।