পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ব্যাঙ্গালুরু-মহীশূর এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিন ঘন্টা থেকে কমে মাত্র ৭৫ মিনিটেই ব্যাঙ্গালুরু-মহীশূরের দূরত্ব কভার করা সম্ভব হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের ফলে। প্রধানমন্ত্রী মোদি রবিবার কর্ণাটকের জনগণকে ১৬হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পও উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্গালুরু এবং মহীশূরের মধ্যে ৮,৪৮০ কোটি টাকার এক্সপ্রেসওয়ে। এই নিয়ে চলতি বছরে এটা মোদির ষষ্ঠ কর্ণাটক সফর। আর এই সফরকালে ব্যাঙ্গালুরু-মহীশূর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন । এর পাশাপাশি ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থরও স্থাপন করলেন তিনি।একই সঙ্গে তিনি এদিন ধারওয়াদ ৮৫০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত আইআইটি জনগণকে উৎসর্গ করলেন ।
আগামী ২-৩ মাস পরই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেলাগাভিতে শিবমোগা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী হুবলি-ধারওয়াড় স্মার্ট সিটির বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এতে ব্যয় হবে ৫২০ কোটি টাকা। পাশাপাশি জয়দেব হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শ্রী সিদ্ধারুধা স্বামীজি হুবলি স্টেশনে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এটি গিনেস বুক অফ রেকর্ডসেও রেকর্ড করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ১৫০৭ মিটার দীর্ঘ এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। পাশাপাশি এদিন ব্যাঙ্গালুরু-মহীশূর এক্সপ্রেসওয়ে উৎসর্গ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী চার লেনের মহীশূর-খুশালনগর মহাসড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় ৯২ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই মহাসড়ক। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে প্রায় ৪,১৩০ কোটি টাকা।
এদিকে কর্ণাটকে ভোট ঘোষণার ঠিক আগে কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে বড় তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনে এসে কটাক্ষের সুরে মোদি বললেন, ” যখন কংগ্রেস আবার কবর খুঁড়তে ব্যস্ত থাকছে, তখন আমি ব্যস্ত বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে করে গরীব মানুষের জীবন উন্নতি করতে।”
কর্ণাটকে একেবারে কোণঠাসা বিজেপি সরকার। কংগ্রেস সেখানে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। ভোটের দিন ঘোষণার সম্ভবত শেষ কর্ণাটক সফরে তাই কংগ্রেসকে নিয়ে বিস্ফোরক মোদি।
মোদি এদিন বলেন, ” কংগ্রেস স্বপ্ন দেখে আমার কবর নিয়ে কিন্তু জানে না মা, বোন এবং মানুষের আশীর্বাদ আমার রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।” কংগ্রেস আমলে গরীবরা সুবিধা পেতে হন্যে হয়ে ছুটতে হত, সেখানে বিজেপি সরকার এসে সব সুবিধা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছে।” আধুনিক পরিকাঠামো নিয়ে দেশে কাজ হচ্ছে। কর্ণাটক বদলাচ্ছে, ভারত বদলাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন। এরপর তিনি বলেন কর্ণাটকে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জন্য রাজ্যের কৃষকরা দ্বিগুণ সুবিধা পাচ্ছে।
দেশের গরীব মানুষদের ধ্বংস করতে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলের কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি। কংগ্রেস গরীবদের লুঠ করছে বলেও মোদি দাবি করেন। বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রসেওয়ে তরুণ প্রজন্মকে গর্বিত করেছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।