জম্মু-কাশ্মীর: পূর্ণ রাজ্যের পর্যাদা চেয়ে শ্রীনগরে কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল

- আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার
- / 10
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে! বারবার এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জনসভাতে একই প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়।
ইতিমধ্যে ওমর আবদুল্লাহর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে। তারপরেও প্রতিশ্রুতি পালনে কোনও গরজ দেখাচ্ছে না মোদি সরকার। এই আবহে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবিতে শনিবার শ্রীনগরে প্রতিবাদ মিছলের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস।
জানা গেছে , আসন্ন সংসদ অধিবেশনের আগে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতেই এই মিছিল । এদিন শ্রীনগরের কংগ্রেস দলের সদর দফতর থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। এদিনের সভা থেকে ২২ জুলাই ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছে দলটি।
বলা বাহুল্য, আগামী ২১ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে বিল আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে দাবি করে আসছে। এই দাবি বৈধ এবং তাঁদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে জড়িত।’ তাছাড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখকেও সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে আনারও দাবি করেছেন দু’জনে। যদিও এই চিঠির কোনও উত্তর মেলেনি বলেই জানা গেছে। তবে আসন্ন অধিবেশনের আগেই বিরোধীদের উত্থাপিত একের পর এক ইস্যুতে বেজায় চাপে রয়েছে কেন্দ্র সরকার , তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করে মোদি সরকার। এক, জম্মু ও কাশ্মীর দুই ,লাদাখ। তারপর ৩৭০ ধারার বিধান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের পর জম্মু ও কাশ্মীর তার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায় এবং এটি কেন্দ্রের অধীনে আসে। সেই সময় মোদি বলেছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে।’ তারপর কেটে গেছে বহু বছর । তবে মেলেনি পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা।