১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল ইউনিফর্ম না থাকায়,দলিত ছাত্রীকে বেধড়ক মেরে ক্লাস থেকে ধাক্কা  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পরনে ছিল না  স্কুলের পোশাক। সেই ‘অপরাধে’  অষ্টম শ্রেণির এক দলিত ছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করার পর শ্রেণিকক্ষ থেকে  ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল।

 

আরও পড়ুন: আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ভাদোই এলাকায়। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শুধুমাত্র দলিত বলেই তাঁর মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হল। উচ্চ বর্ণের অনেক ছার-ছাত্রী মাঝেমধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে আসে  না। কিন্তু, তাদের সঙ্গে এই ধরনের নির্মম ব্যবহার করা হয় না। এর আগেও  তাঁর মেয়ের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। তবে, সবথেকে বড় কথা হল ওই দলিত ছাত্রীর সঙ্গে স্কুলের কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা এই ব্যবহার করেননি।

আরও পড়ুন: আমিরাতের স্কুলপাঠ্যে কেজি থেকেই চালু হচ্ছে ‘এআই’

 

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

গ্রামের এক প্রাক্তন প্রধান এই আচরণ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই প্রাক্তন প্রধান স্কুলের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন। না তিনি স্কুলের শিক্ষক, না তিনি স্কুলের অভিভাবক সমিতি বা স্কুলের অন্য কোনও কমিটির পদে রয়েছেন।

 

তা সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন স্কুলে আসেন এবং শিক্ষক ও পড়ুয়াদরে সঙ্গে  দুর্ব্যহার করেন বলে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। তাহলে এতদিন ব্যবস্থা নেননি  কেন? পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের ওই প্রাক্তন মোড়লের নাম মনোজ কুমার দুবে। চৌরি থানার অফিসার গিরিজা শংকর যাদব জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে, দোষীকে বৈষম্য বিরোধী আইনে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কুল ইউনিফর্ম না থাকায়,দলিত ছাত্রীকে বেধড়ক মেরে ক্লাস থেকে ধাক্কা  

আপডেট : ২৩ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পরনে ছিল না  স্কুলের পোশাক। সেই ‘অপরাধে’  অষ্টম শ্রেণির এক দলিত ছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করার পর শ্রেণিকক্ষ থেকে  ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল।

 

আরও পড়ুন: আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ভাদোই এলাকায়। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শুধুমাত্র দলিত বলেই তাঁর মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হল। উচ্চ বর্ণের অনেক ছার-ছাত্রী মাঝেমধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে আসে  না। কিন্তু, তাদের সঙ্গে এই ধরনের নির্মম ব্যবহার করা হয় না। এর আগেও  তাঁর মেয়ের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। তবে, সবথেকে বড় কথা হল ওই দলিত ছাত্রীর সঙ্গে স্কুলের কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা এই ব্যবহার করেননি।

আরও পড়ুন: আমিরাতের স্কুলপাঠ্যে কেজি থেকেই চালু হচ্ছে ‘এআই’

 

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

গ্রামের এক প্রাক্তন প্রধান এই আচরণ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই প্রাক্তন প্রধান স্কুলের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন। না তিনি স্কুলের শিক্ষক, না তিনি স্কুলের অভিভাবক সমিতি বা স্কুলের অন্য কোনও কমিটির পদে রয়েছেন।

 

তা সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন স্কুলে আসেন এবং শিক্ষক ও পড়ুয়াদরে সঙ্গে  দুর্ব্যহার করেন বলে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। তাহলে এতদিন ব্যবস্থা নেননি  কেন? পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের ওই প্রাক্তন মোড়লের নাম মনোজ কুমার দুবে। চৌরি থানার অফিসার গিরিজা শংকর যাদব জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে, দোষীকে বৈষম্য বিরোধী আইনে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।