১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানব পাচার প্রতিরোধে  তথ্য ভিত্তিক সমীক্ষার দাবি

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 32

 

পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: শিশু ও নারী পাচার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠনগুলির সমন্বয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অতিসম্প্রতি। তেঘরিয়া ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল মুভমেন্টের (TISM )উদ্যোগে এই কর্মশালা থেকে   বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বসিরহাট ১ ব্লক ও সুন্দরবন অধ্যুষিত প্রত্যন্ত সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকসহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়  মানব পাচার একটি জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মানব পাচার প্রতিরোধে সমাজসেবী সংগঠনগুলি ও সরকার  বিভিন্ন ভাবে সচেতনতার বার্তা দিলেও সমাজের এই ব্যাধি কোনভাবে নির্মূল হচ্ছে না। ফলস্বরূপ  সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে কলকাতা সংযোগ এর দ্বারা পরিকল্পনা ও পদ্ধতিগত সহায়তা নিয়ে (PAT)নেটওয়ার্ক পার্টনার  মানবাধিকার সংগঠন তেঘরিয়া ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল মুভমেন্ট (TISM)  সংগঠন, উত্থান,বন্ধন মুক্তি, আইকন ও  বিজয়নী, কালেকটিভের সমাজকর্মীরা যৌথভাবে, মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে সমীক্ষার কাজ করেন। সর্বোপরি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ , পরগনা দুই জেলাতে এই সর্ব প্রথম  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্বারা কমিউনিটি বেস  রিসার্চারদের নিয়ে সমীক্ষার  তথ্য থেকে পাওয়া মানব পাচার প্রতিরোধে আজও পর্যন্ত সরকারের কোন পলিসি না থাকায়  সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে মানব পাচারের শিকার হন। যেমন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, অধিক সংখ্যক পুরুষ লেবার ট্রাফিকিং এর শিকার হয়,  মাইনরিটি  অতিরক্ষণশীল কমিউনিটির মধ্যে পাচারের প্রবণতা , সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি , যেমন তপশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যেও মানব পাচারের বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। কোথাও তাদের পাচার মুক্ত কমিউনিটি কোথা আবার মানব পাচারের বৃদ্ধির সরকারের বর্তমান আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতা উঠে আসে। যেমন জেলা আন্টি হিউম্যান ট্রাফিককিং ইউনিট গুলি এখনো সক্রিয়  হয়ে না ওঠা, নানাবিধ এই সমীক্ষায় লক্ষ্যণীয় ও সদর্থক কৌশল উঠে আসে ।মানব পাচার প্রতিরোধে  সরকারের দপ্তর ভিত্তিক করণীয় পঞ্চায়েত স্তর থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত। এমনটাই মনে করেন সমাজকর্মী বিকাশ দাস, টিআই এসএম কর্মী টুম্পা খাতুন, সুফিয়া খাতুনরা। সরকার যাতে মানব পাচার প্রতিরোধে   নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও পদ্ধতির মাধ্যমে পলিসি তৈরি করেন  ও যথাযথ বাস্তবায়ন এর লক্ষ্য নিয়ে সমাজসেবী সংগঠন সারভাইভার কালেক্টি কমিউনিটি লেভেল থেকে জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে সমীক্ষার তথ্য ভিত্তিক গঠনমূলক  আলোচনা ও অধিকার ভৃত্তিক দাবিকে মাথায় রেখে মানব পাচার মুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসে সেই লক্ষ্যে অবিচল তারা।

আরও পড়ুন: শিন্ডের জায়গা নেবেন অজিত! দাবি উদ্ধব শিবিরের

 

আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের জের, জলের চাহিদা বাড়ছে শহরে

আরও পড়ুন: বৈধ রেজিস্ট্রেশনের দাবি টোটোচালকদের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মানব পাচার প্রতিরোধে  তথ্য ভিত্তিক সমীক্ষার দাবি

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার

 

পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: শিশু ও নারী পাচার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠনগুলির সমন্বয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অতিসম্প্রতি। তেঘরিয়া ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল মুভমেন্টের (TISM )উদ্যোগে এই কর্মশালা থেকে   বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বসিরহাট ১ ব্লক ও সুন্দরবন অধ্যুষিত প্রত্যন্ত সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকসহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়  মানব পাচার একটি জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মানব পাচার প্রতিরোধে সমাজসেবী সংগঠনগুলি ও সরকার  বিভিন্ন ভাবে সচেতনতার বার্তা দিলেও সমাজের এই ব্যাধি কোনভাবে নির্মূল হচ্ছে না। ফলস্বরূপ  সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে কলকাতা সংযোগ এর দ্বারা পরিকল্পনা ও পদ্ধতিগত সহায়তা নিয়ে (PAT)নেটওয়ার্ক পার্টনার  মানবাধিকার সংগঠন তেঘরিয়া ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল মুভমেন্ট (TISM)  সংগঠন, উত্থান,বন্ধন মুক্তি, আইকন ও  বিজয়নী, কালেকটিভের সমাজকর্মীরা যৌথভাবে, মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে সমীক্ষার কাজ করেন। সর্বোপরি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ , পরগনা দুই জেলাতে এই সর্ব প্রথম  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্বারা কমিউনিটি বেস  রিসার্চারদের নিয়ে সমীক্ষার  তথ্য থেকে পাওয়া মানব পাচার প্রতিরোধে আজও পর্যন্ত সরকারের কোন পলিসি না থাকায়  সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে মানব পাচারের শিকার হন। যেমন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, অধিক সংখ্যক পুরুষ লেবার ট্রাফিকিং এর শিকার হয়,  মাইনরিটি  অতিরক্ষণশীল কমিউনিটির মধ্যে পাচারের প্রবণতা , সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি , যেমন তপশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যেও মানব পাচারের বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। কোথাও তাদের পাচার মুক্ত কমিউনিটি কোথা আবার মানব পাচারের বৃদ্ধির সরকারের বর্তমান আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতা উঠে আসে। যেমন জেলা আন্টি হিউম্যান ট্রাফিককিং ইউনিট গুলি এখনো সক্রিয়  হয়ে না ওঠা, নানাবিধ এই সমীক্ষায় লক্ষ্যণীয় ও সদর্থক কৌশল উঠে আসে ।মানব পাচার প্রতিরোধে  সরকারের দপ্তর ভিত্তিক করণীয় পঞ্চায়েত স্তর থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত। এমনটাই মনে করেন সমাজকর্মী বিকাশ দাস, টিআই এসএম কর্মী টুম্পা খাতুন, সুফিয়া খাতুনরা। সরকার যাতে মানব পাচার প্রতিরোধে   নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও পদ্ধতির মাধ্যমে পলিসি তৈরি করেন  ও যথাযথ বাস্তবায়ন এর লক্ষ্য নিয়ে সমাজসেবী সংগঠন সারভাইভার কালেক্টি কমিউনিটি লেভেল থেকে জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে সমীক্ষার তথ্য ভিত্তিক গঠনমূলক  আলোচনা ও অধিকার ভৃত্তিক দাবিকে মাথায় রেখে মানব পাচার মুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসে সেই লক্ষ্যে অবিচল তারা।

আরও পড়ুন: শিন্ডের জায়গা নেবেন অজিত! দাবি উদ্ধব শিবিরের

 

আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের জের, জলের চাহিদা বাড়ছে শহরে

আরও পড়ুন: বৈধ রেজিস্ট্রেশনের দাবি টোটোচালকদের