০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খারিজি মাদ্রাসা সিলেবাস আধুনিকীকরণের দাবি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, সোমবার
  • / 12

পুবের কলম প্রতিবেদক: রবিবার লালগোলায় খারিজি মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ে আলোচনাসভা হয় ইরফান হক মাদানীর সভাপতিত্বে। ছিলেন সাদ্দাম  হোসেন, আহ্বায়ক মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। তাঁরা নিজামিয়ার পড়াশোনায় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন এবং কীভাবে মূল স্রোতে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

তাঁদের কথায়, পড়াশোনার মাধ্যমে উর্দুর পরিবর্তে বাংলাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। তবে উর্দু ভাষা হিসেবে থাকবে। শিক্ষাবর্ষ রমযান মাসের পরিবর্তে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর করতে হবে। সব মাদ্রাসাতে পৃথকভাবে অ্যাকাডেমিক কমিটি গঠন করতে হবে এবং কমিটিতে বেশি শিক্ষিত  ছেলেকে আনতে হবে।

ব্লকের সমস্ত মাদ্রাসাগুলিকে একটি বোর্ডের অধীনে এনে একই সিলেবাসে পড়াশোনার কথাও উঠে আসে। পঠন-পাঠন হোক মাতৃভাষা বাংলায়, এমনই মতামত পেশ করেন আলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান। তিনি আরও বলেন, বাংলার বর্তমান মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা মূলত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ, কিন্তু এক সময় মাদ্রাসায় দর্শন অর্থনীতি, ভূগোল  রাজনীতি বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা করা হতো।

মাওলানা আলিমুদ্দিন ওমরি বলেন, নিজামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রাখলে হবে না, এখানে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বায়োলজি, গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করাতে হবে। মুহাম্মদ আধুর রউফ সাহেব বলেন, মাদ্রাসায় সীমাবদ্ধতা আছে সত্য, কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থার জেনারেল শিক্ষা দিতে চাইলেও কোনমতেই ধর্মীয় শিক্ষার যাতে ঘাটতি না পরে সে বিষয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খারিজি মাদ্রাসা সিলেবাস আধুনিকীকরণের দাবি

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রবিবার লালগোলায় খারিজি মাদ্রাসার সিলেবাস নিয়ে আলোচনাসভা হয় ইরফান হক মাদানীর সভাপতিত্বে। ছিলেন সাদ্দাম  হোসেন, আহ্বায়ক মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। তাঁরা নিজামিয়ার পড়াশোনায় বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন এবং কীভাবে মূল স্রোতে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

তাঁদের কথায়, পড়াশোনার মাধ্যমে উর্দুর পরিবর্তে বাংলাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। তবে উর্দু ভাষা হিসেবে থাকবে। শিক্ষাবর্ষ রমযান মাসের পরিবর্তে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর করতে হবে। সব মাদ্রাসাতে পৃথকভাবে অ্যাকাডেমিক কমিটি গঠন করতে হবে এবং কমিটিতে বেশি শিক্ষিত  ছেলেকে আনতে হবে।

ব্লকের সমস্ত মাদ্রাসাগুলিকে একটি বোর্ডের অধীনে এনে একই সিলেবাসে পড়াশোনার কথাও উঠে আসে। পঠন-পাঠন হোক মাতৃভাষা বাংলায়, এমনই মতামত পেশ করেন আলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান। তিনি আরও বলেন, বাংলার বর্তমান মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা মূলত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ, কিন্তু এক সময় মাদ্রাসায় দর্শন অর্থনীতি, ভূগোল  রাজনীতি বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা করা হতো।

মাওলানা আলিমুদ্দিন ওমরি বলেন, নিজামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে রাখলে হবে না, এখানে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বায়োলজি, গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করাতে হবে। মুহাম্মদ আধুর রউফ সাহেব বলেন, মাদ্রাসায় সীমাবদ্ধতা আছে সত্য, কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থার জেনারেল শিক্ষা দিতে চাইলেও কোনমতেই ধর্মীয় শিক্ষার যাতে ঘাটতি না পরে সে বিষয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।