২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিজোরামে ভ্রমণে যাবেন না,অসম সরকারের সতর্ক পরামর্শ

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দুই রাজ্যের সীমান্তে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ কর্মী ও এক সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর মিজোরাম ভ্রমণে যেতে আপাতত না করেছে অসম সরকার।সহিংসতার ঘটনায় মিজোরামে গেলে অসমের লোকজনের ওপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্যটি এক সতর্ক-পরামর্শ জারি করেছে।

মিজোরাম বলেছে, অসমের পুলিশ যে এই সহিংসতা চালিয়েছে সেটা প্রমাণিত। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য দুটির সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সফল বৈঠকের দুদিনের মাথায় এমন ঘটনা কীভাবে ঘটাতে পারল।অসম পুলিশের ৫ সদস্য ও এক রাজ্যবাসী গত সোমবার দুই রাজ্যের পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হন। ঘটনায় আরও ৪৫ জন আহত হন।

আরও পড়ুন: অসমে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকে ঘিরে ব্যাপক হিংসা, মৃত ২, জারি কার্ফু-বন্ধ ইন্টারনেট

ওই পরামর্শে অসম সরকার  জানায়, ‘ওই ঘটনার পর মিজো বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষার্থী ও তরুণদের সংগঠনগুলো ক্রমাগত অসম সরকার ও রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে এমনকি অনেকেই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে আক্রমণ করছে।সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ওই অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে বলে জানায় অসম  সরকার।মিজোরাম ভ্রমণ ছাড়াও যারা বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে মিজোরামে রয়েছেন, তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: কলকাতা ও মিজোরাম রেলপথ দ্বারা খুব শীঘ্রই সংযোগ হতে চলেছে

বিষয়টি নিয়ে সেই শুরু থেকেই দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ চলছেই। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা দাবি করেন, ‘আমার কাছে প্রমাণ আছে প্রথম গুলি অসমের পুলিশ চালিয়েছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অসম যা করেছে সেটা অনভিপ্রেত।অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তার ভাল বন্ধু বলে দাবিও করেন জোরামথাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘হেমন্ত আমার ভাল বন্ধু। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার মনে হয় কেউ অসম সরকারকে ভুল বোঝাচ্ছে।’

আরও পড়ুন: আসামে জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সফর, নজরদারিতে পুলিশ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

মিজোরামের তিনটি জেলা আইজআওল, কোলাসিব ও মামিতের মোট ১৬৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে অসমের কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

অসমে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকে ঘিরে ব্যাপক হিংসা, মৃত ২, জারি কার্ফু-বন্ধ ইন্টারনেট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিজোরামে ভ্রমণে যাবেন না,অসম সরকারের সতর্ক পরামর্শ

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দুই রাজ্যের সীমান্তে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ কর্মী ও এক সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর মিজোরাম ভ্রমণে যেতে আপাতত না করেছে অসম সরকার।সহিংসতার ঘটনায় মিজোরামে গেলে অসমের লোকজনের ওপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্যটি এক সতর্ক-পরামর্শ জারি করেছে।

মিজোরাম বলেছে, অসমের পুলিশ যে এই সহিংসতা চালিয়েছে সেটা প্রমাণিত। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য দুটির সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সফল বৈঠকের দুদিনের মাথায় এমন ঘটনা কীভাবে ঘটাতে পারল।অসম পুলিশের ৫ সদস্য ও এক রাজ্যবাসী গত সোমবার দুই রাজ্যের পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হন। ঘটনায় আরও ৪৫ জন আহত হন।

আরও পড়ুন: অসমে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকে ঘিরে ব্যাপক হিংসা, মৃত ২, জারি কার্ফু-বন্ধ ইন্টারনেট

ওই পরামর্শে অসম সরকার  জানায়, ‘ওই ঘটনার পর মিজো বুদ্ধিজীবী সমাজ, শিক্ষার্থী ও তরুণদের সংগঠনগুলো ক্রমাগত অসম সরকার ও রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে এমনকি অনেকেই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে আক্রমণ করছে।সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ওই অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে বলে জানায় অসম  সরকার।মিজোরাম ভ্রমণ ছাড়াও যারা বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে মিজোরামে রয়েছেন, তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: কলকাতা ও মিজোরাম রেলপথ দ্বারা খুব শীঘ্রই সংযোগ হতে চলেছে

বিষয়টি নিয়ে সেই শুরু থেকেই দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ চলছেই। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা দাবি করেন, ‘আমার কাছে প্রমাণ আছে প্রথম গুলি অসমের পুলিশ চালিয়েছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অসম যা করেছে সেটা অনভিপ্রেত।অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা তার ভাল বন্ধু বলে দাবিও করেন জোরামথাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘হেমন্ত আমার ভাল বন্ধু। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার মনে হয় কেউ অসম সরকারকে ভুল বোঝাচ্ছে।’

আরও পড়ুন: আসামে জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সফর, নজরদারিতে পুলিশ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

মিজোরামের তিনটি জেলা আইজআওল, কোলাসিব ও মামিতের মোট ১৬৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে অসমের কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার।