২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৬ দিন পর জামিনে মুক্ত আরিয়ান খান, কোন যুক্তিতে জামিন, দেখে নিন এক নজরে

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 33

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান।মঙ্গল- বুধ দু’দিন আরিয়ান খানেরজামিনের শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি নিতিন সাম্বর। বুধবারই কোর্টের কাছে ১ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন এনসিবির আইনজীবী অনিল সিং। বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে ফের শুরু হয় আরিয়ানের শুনানি। বুধবার আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার আইনজীবীর কথা শোনার পরই তিন অভিযুক্তের জামিনের শুনানি ফের স্থগিত রাখেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার শুনানিতে দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। আরিয়ান ছাড়াও এদিন জামিন পান মুনমুন ও আরবাজও।

এদিন এনসিবির আইনজীবী বম্বে হাইকোর্টে বলেন, আরিয়ানের কাছ থেকে মাদক পাওয়া না গেলেও আরবাজের কাছে থেকে পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া আরিয়ানই তাঁদের বলেছে যে মাদক পার্টিতে আরবাজের কাছ থেকে যে মাদক পাওয়া গেছে, পার্টিতে সেই মাদক সেবনের পরিকল্পনা তাঁদের ছিল। এমনকি আরিয়ানের চ্যাট থেকে কমারশিয়াল কোয়ান্টিটি মাদক কেনার সূত্র পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তিনি। এনসিবির দাবি আরিয়ানের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।

আরও পড়ুন: ভাইজানের নিরাপত্তায় আরও কড়াকড়ি, গ্যালাক্সিতে বলি তারকাদেরও পরিচয়পত্র আবশ্যিক

অন্যদিকে আরিয়ানের অন্যতম আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, আরিয়ানের সঙ্গে আটক হওয়া যে পাঁচজনের থেকে মাদক পাওয়া গিয়েছে তার দায় আরিয়ানের নয়। তাঁর উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি জানতেনই না, তাঁর সঙ্গে যাঁরা ঐ পার্টিতে আছেন তাঁদের কাছে মাদক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন অচিতের থেকে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে। একজন মাদকপাচারকারীর কাছে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক থাকা কি যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল।

আরও পড়ুন: কেউ বাঁচাতে পারবে না- ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা বিবেকের

জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি বম্বে হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন যে, আরিয়ান খানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। সে শুধুমাত্র মাদকদ্রব্য সেবনই করে না, তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য কেনা বেচারও অভিযোগ এনেছে এনসিবি। আরিয়ান জামিন পেলে সে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। রবিবারই মাদক মামলার সাক্ষী তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছে। এনসিবির তরফ থেকে দাবি করা হয় যে আরিয়ান তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। তথ্য লোপাটেরও আশংকা প্রকাশ করেছে এনসিবি। এমনকি শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির বিরুদ্ধেও সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে এনসিবি।

আরও পড়ুন: ভয়কে উপেক্ষা করে কাশ্মীরে যাচ্ছেন অনেক পর্যটক, তাঁদের সকলের বক্তব্য সন্ত্রাসকে জিততে দেওয়া যাবে না

মুকুল রোহাতগি আরিয়ানের সপক্ষে বলেন, ‘ পার্টি শুরু করার আগেই আটক করা হয় তাঁদের। সেদিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও রকমের মাদক পায়নি এনসিবি। তাই আরিয়ানকে গ্রেফতার করার কোনও কারণই ছিল না এনসিবির কাছে। তারপরও ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর স্টেটমেন্ট। তাছাড়া আরিয়ান খানের কোনওরকম মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়নি। মেডিক্যাল টেস্ট ছাড়া কীভাবে মাদক মামলা ফাইল করা সম্ভব! আরবাজের জুতো থেকে ছয় গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে তার জন্য আরিয়ানকে দায়ী করা সঠিক নয়। কারণ আরবাজ আরিয়ানের চাকর নয় যে সে কী করবে তা আরিয়ান নিয়নত্রণ করবে।

এফআইআর-এ মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কোনও উল্লেখই নে। অথচ আটক করার পরই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরিয়ানের। মাদক নয়, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।’

রহতগি আরও বলেন , ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোথাও মাদকপার্টির উল্লেখ নেই, এমনকি মোবাইল চ্যাটের সঙ্গে মাদক পার্টির কোনও সম্পর্কও নেই। যে যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা বলা হচ্ছে তা ২০১৮ এবং ২০১৯-এর। এনসিবিরি দাবি অনুযায়ী অচিত ও আরবাজের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও মাদক পার্টিতে অচিত উপস্থিতই ছিল না। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ি থেকে। অচিত ও আরিয়ান চ্যাটে শুধুমাত্র অনলাইন গেম নিয়ে আলোচনা করেছিল। এর থেকে বেশি কোনও বিষয়ে কথা বলেননি তাঁরা।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২৬ দিন পর জামিনে মুক্ত আরিয়ান খান, কোন যুক্তিতে জামিন, দেখে নিন এক নজরে

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান।মঙ্গল- বুধ দু’দিন আরিয়ান খানেরজামিনের শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি নিতিন সাম্বর। বুধবারই কোর্টের কাছে ১ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন এনসিবির আইনজীবী অনিল সিং। বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে ফের শুরু হয় আরিয়ানের শুনানি। বুধবার আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার আইনজীবীর কথা শোনার পরই তিন অভিযুক্তের জামিনের শুনানি ফের স্থগিত রাখেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার শুনানিতে দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর অবশেষে জামিন পেলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। আরিয়ান ছাড়াও এদিন জামিন পান মুনমুন ও আরবাজও।

এদিন এনসিবির আইনজীবী বম্বে হাইকোর্টে বলেন, আরিয়ানের কাছ থেকে মাদক পাওয়া না গেলেও আরবাজের কাছে থেকে পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া আরিয়ানই তাঁদের বলেছে যে মাদক পার্টিতে আরবাজের কাছ থেকে যে মাদক পাওয়া গেছে, পার্টিতে সেই মাদক সেবনের পরিকল্পনা তাঁদের ছিল। এমনকি আরিয়ানের চ্যাট থেকে কমারশিয়াল কোয়ান্টিটি মাদক কেনার সূত্র পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তিনি। এনসিবির দাবি আরিয়ানের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।

আরও পড়ুন: ভাইজানের নিরাপত্তায় আরও কড়াকড়ি, গ্যালাক্সিতে বলি তারকাদেরও পরিচয়পত্র আবশ্যিক

অন্যদিকে আরিয়ানের অন্যতম আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, আরিয়ানের সঙ্গে আটক হওয়া যে পাঁচজনের থেকে মাদক পাওয়া গিয়েছে তার দায় আরিয়ানের নয়। তাঁর উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি জানতেনই না, তাঁর সঙ্গে যাঁরা ঐ পার্টিতে আছেন তাঁদের কাছে মাদক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন অচিতের থেকে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে। একজন মাদকপাচারকারীর কাছে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক থাকা কি যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল।

আরও পড়ুন: কেউ বাঁচাতে পারবে না- ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা বিবেকের

জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি বম্বে হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন যে, আরিয়ান খানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। সে শুধুমাত্র মাদকদ্রব্য সেবনই করে না, তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য কেনা বেচারও অভিযোগ এনেছে এনসিবি। আরিয়ান জামিন পেলে সে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। রবিবারই মাদক মামলার সাক্ষী তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছে। এনসিবির তরফ থেকে দাবি করা হয় যে আরিয়ান তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। তথ্য লোপাটেরও আশংকা প্রকাশ করেছে এনসিবি। এমনকি শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির বিরুদ্ধেও সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে এনসিবি।

আরও পড়ুন: ভয়কে উপেক্ষা করে কাশ্মীরে যাচ্ছেন অনেক পর্যটক, তাঁদের সকলের বক্তব্য সন্ত্রাসকে জিততে দেওয়া যাবে না

মুকুল রোহাতগি আরিয়ানের সপক্ষে বলেন, ‘ পার্টি শুরু করার আগেই আটক করা হয় তাঁদের। সেদিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও রকমের মাদক পায়নি এনসিবি। তাই আরিয়ানকে গ্রেফতার করার কোনও কারণই ছিল না এনসিবির কাছে। তারপরও ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর স্টেটমেন্ট। তাছাড়া আরিয়ান খানের কোনওরকম মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়নি। মেডিক্যাল টেস্ট ছাড়া কীভাবে মাদক মামলা ফাইল করা সম্ভব! আরবাজের জুতো থেকে ছয় গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে তার জন্য আরিয়ানকে দায়ী করা সঠিক নয়। কারণ আরবাজ আরিয়ানের চাকর নয় যে সে কী করবে তা আরিয়ান নিয়নত্রণ করবে।

এফআইআর-এ মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কোনও উল্লেখই নে। অথচ আটক করার পরই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরিয়ানের। মাদক নয়, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।’

রহতগি আরও বলেন , ‘হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোথাও মাদকপার্টির উল্লেখ নেই, এমনকি মোবাইল চ্যাটের সঙ্গে মাদক পার্টির কোনও সম্পর্কও নেই। যে যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা বলা হচ্ছে তা ২০১৮ এবং ২০১৯-এর। এনসিবিরি দাবি অনুযায়ী অচিত ও আরবাজের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও মাদক পার্টিতে অচিত উপস্থিতই ছিল না। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ি থেকে। অচিত ও আরিয়ান চ্যাটে শুধুমাত্র অনলাইন গেম নিয়ে আলোচনা করেছিল। এর থেকে বেশি কোনও বিষয়ে কথা বলেননি তাঁরা।’