২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিশেষ গুরুত্ব পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পকে

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার
  • / 29

আবদুল ওদুদ: রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তম দুয়ারে সরকার। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচী। এবারের কর্মসূচীতে ৩৫টিরও বেশি রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধে পাবে জনগন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচী চালু করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মস্তিস্ক প্রসূত এই কর্মসূচী শুধু পশ্চিমবাংলা নয়, দেশজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে। চলতি দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করেছেন সেই প্রকল্পের সুবিধে যাতে রাজ্যের প্রতিটি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা পান তার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক প্রকল্প-২০২৩’নামে লিফলেট বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মানুষের কাছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে কীভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করবে কিংবা ক্যাম্পে গেলে কি কি নথি লাগবে সে বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’-এর ৫২ হাজার শিবিরে উপকৃত ৪০ লক্ষ মানুষ

পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে পরিযায়ী শ্রমিকের বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের যে সমস্ত নথি লাগবে তার মধ্যে আধার কার্ডের জেরক্স, পাসপোর্ট সাইজ ছবি এক কপি, ব্যাঙ্ক পাশবুকেরû প্রথম পাতার জেরক্স, স্বসাক্ষরিত শংসাপত্র, বৈধ পাসপোর্টের জেরক্স কপি, যদি বিদেশে যেতে ইচ্ছে করে সেক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্টের স্বপ্রত্যায়িত কপি, রেশন কার্ডের জেরক্স, আবেদনকারী ও মনোনীত ব্যক্তির আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর লাগবে। আবেদনকারীর আবেদন পত্র সঠিক থাকলে একটি অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন। তবে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী রেজিস্টেশন নম্বর পাওয়ার জন্য বিষদ তথ্য জমা বা পোর্টালে আপলোট করে আবেদন প্রক্রিয়া পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে অবশ্যই সম্পুর্ণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার: ক্যাম্পে-ক্যাম্পে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ

 

আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে মিলবে না দুই পরিষেবা

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর যে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাবেন। তারপর পুরোপুরি পরিযায়ী শ্রমিক সরকারি সুবিধাগুলি পাবেন। সরকারি সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তাঁর নমিনিকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করবে রাজ্য শ্রম দফতর। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে নমিনি পাবে ২ লাখ টাকা, দুর্ঘটনায় আহত হলে (৮০ শতাংশ) নমিনি ৫০ হাজার টাকা। ৮০ শতাংশ অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে নমিনিকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত দেহ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা এবং লাশ সৎকার করার জন্য আরও ৩ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

 

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শ্রম দফতরের বার্তা, প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক যাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করে তালিকায় অবশ্যই যেন অন্তর্ভুক্ত করে নেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যে উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা বলেছে, সেগুলি সুবিধা গ্রহণের জন্য নাম লিপিবদ্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মী ভাণ্ডার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিশেষ গুরুত্ব পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পকে

আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার

আবদুল ওদুদ: রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সপ্তম দুয়ারে সরকার। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচী। এবারের কর্মসূচীতে ৩৫টিরও বেশি রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধে পাবে জনগন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচী চালু করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মস্তিস্ক প্রসূত এই কর্মসূচী শুধু পশ্চিমবাংলা নয়, দেশজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে। চলতি দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করেছেন সেই প্রকল্পের সুবিধে যাতে রাজ্যের প্রতিটি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা পান তার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক প্রকল্প-২০২৩’নামে লিফলেট বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মানুষের কাছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে কীভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করবে কিংবা ক্যাম্পে গেলে কি কি নথি লাগবে সে বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’-এর ৫২ হাজার শিবিরে উপকৃত ৪০ লক্ষ মানুষ

পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে পরিযায়ী শ্রমিকের বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের যে সমস্ত নথি লাগবে তার মধ্যে আধার কার্ডের জেরক্স, পাসপোর্ট সাইজ ছবি এক কপি, ব্যাঙ্ক পাশবুকেরû প্রথম পাতার জেরক্স, স্বসাক্ষরিত শংসাপত্র, বৈধ পাসপোর্টের জেরক্স কপি, যদি বিদেশে যেতে ইচ্ছে করে সেক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্টের স্বপ্রত্যায়িত কপি, রেশন কার্ডের জেরক্স, আবেদনকারী ও মনোনীত ব্যক্তির আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর লাগবে। আবেদনকারীর আবেদন পত্র সঠিক থাকলে একটি অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন। তবে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী রেজিস্টেশন নম্বর পাওয়ার জন্য বিষদ তথ্য জমা বা পোর্টালে আপলোট করে আবেদন প্রক্রিয়া পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে অবশ্যই সম্পুর্ণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার: ক্যাম্পে-ক্যাম্পে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ

 

আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে মিলবে না দুই পরিষেবা

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর যে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাবেন। তারপর পুরোপুরি পরিযায়ী শ্রমিক সরকারি সুবিধাগুলি পাবেন। সরকারি সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তাঁর নমিনিকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করবে রাজ্য শ্রম দফতর। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে নমিনি পাবে ২ লাখ টাকা, দুর্ঘটনায় আহত হলে (৮০ শতাংশ) নমিনি ৫০ হাজার টাকা। ৮০ শতাংশ অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে নমিনিকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত দেহ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা এবং লাশ সৎকার করার জন্য আরও ৩ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

 

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে শ্রম দফতরের বার্তা, প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিক যাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করে তালিকায় অবশ্যই যেন অন্তর্ভুক্ত করে নেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যে উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা বলেছে, সেগুলি সুবিধা গ্রহণের জন্য নাম লিপিবদ্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মী ভাণ্ডার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।