০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লোবা প্রকল্প থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা ডিভিসির, স্থানীয়দের আরজি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হোক কয়লা প্রকল্প

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার
  • / 7

কৌশিক সালুই বীরভূম: অবশেষে লোবা জয়দেব খাগড়াঘাট প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্প থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকারের সংস্থা ডিভিসি। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিভিসি আধিকারিক। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রকল্প হোক দাবি স্থানীয়দের।

লোবার প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়ে নিলো ডিভিসি। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তারা। প্রস্তাবিত এলাকার মানুষজন কিছুটা হতাশ হলেও এখনো পর্যন্ত আশাবাদী রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। বিগত ১ দশক ধরে এই প্রকল্প ঘিরে নানা জটিলতা চলে আসছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে প্যাকেজ নিয়ে অসন্তুষ্টি স্থানীয়দের তা থেকেই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয় এই প্রকল্প কে ঘিরে।

 

আর তারপরেই ডিভিসির প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা। যদিও লোবা এলাকার বাসিন্দারা পুরোপুরি আশাবাদী এই প্রকল্প কে ঘিরে। সম্প্রতি জেলার ডেউচা পাঁচামী পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম কয়লা খনির কাজ চলছে জোর গতিতে। পুনর্বাসন প্যাকেজে জমি কিনে তার বিনিময়ে টাকা এবং চাকরি দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পটি কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে।

 

সেই মতো লোবা এলাকার বাসিন্দাদের আরজি ডেউচা পাচামি প্রকল্পের মত প্যাকেজ ও পুনর্বাসন দিয়ে রাজ্য সরকার করুক এই প্রকল্পটি। ২০১০ সালে বাম আমলে ওই ওই লোবা প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় চার লক্ষ, টাকা ৬ লক্ষ টাকা এবং ৮ লক্ষ টাকা একর প্রতি জমির দাম নির্ধারণ করা হয়। ৬৮৪ একর জমি স্থানীয়দের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। তখন প্রকল্পটি ডিভিসি এবং বেঙ্গল এমটা যৌথ দায়িত্ব ছিল।

 

পরবর্তী সময়ে শুধু মাত্র ডিভিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর প্রকল্পের প্যাকেজ নিয়ে নানা আন্দোলন হতে থাকে। ইতিমধ্যেই ডেউচা পাচামী প্রকল্পের ঘোষণা হয়। তারপরে জানা যায় একর প্রতি ৩৫ লক্ষ টাকা, যাদের চাষের জমি যাবে তাদের ২৫ বছর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে এবং শুধুমাত্র বসতবাড়ি যাদের যাবে তাদের ওই ২৫ বছর মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে প্যাকেজ হিসাবে। তার মধ্যেই প্রকল্প থেকে সরে আসার ঘোষণা ডিভিসির।

 

লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন,”তৎকালীন বাম সরকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কোন আলাপ-আলোচনা না করেই জমির মূল্য নির্ধারণ করেছিল তা কার্যত জলের দরের নামান্তর। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ডেউচা পাঁচামি প্রকল্পের প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। আমরা দাবি করছি শুধুমাত্র রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে এ প্রকল্পটি করুক। তাহলেই প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা উপযুক্ত প্যাকেজ ও পুনর্বাসন পাবে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লোবা প্রকল্প থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা ডিভিসির, স্থানীয়দের আরজি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হোক কয়লা প্রকল্প

আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার

কৌশিক সালুই বীরভূম: অবশেষে লোবা জয়দেব খাগড়াঘাট প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্প থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকারের সংস্থা ডিভিসি। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিভিসি আধিকারিক। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রকল্প হোক দাবি স্থানীয়দের।

লোবার প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়ে নিলো ডিভিসি। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তারা। প্রস্তাবিত এলাকার মানুষজন কিছুটা হতাশ হলেও এখনো পর্যন্ত আশাবাদী রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। বিগত ১ দশক ধরে এই প্রকল্প ঘিরে নানা জটিলতা চলে আসছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে প্যাকেজ নিয়ে অসন্তুষ্টি স্থানীয়দের তা থেকেই দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয় এই প্রকল্প কে ঘিরে।

 

আর তারপরেই ডিভিসির প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা। যদিও লোবা এলাকার বাসিন্দারা পুরোপুরি আশাবাদী এই প্রকল্প কে ঘিরে। সম্প্রতি জেলার ডেউচা পাঁচামী পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম কয়লা খনির কাজ চলছে জোর গতিতে। পুনর্বাসন প্যাকেজে জমি কিনে তার বিনিময়ে টাকা এবং চাকরি দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পটি কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে।

 

সেই মতো লোবা এলাকার বাসিন্দাদের আরজি ডেউচা পাচামি প্রকল্পের মত প্যাকেজ ও পুনর্বাসন দিয়ে রাজ্য সরকার করুক এই প্রকল্পটি। ২০১০ সালে বাম আমলে ওই ওই লোবা প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় চার লক্ষ, টাকা ৬ লক্ষ টাকা এবং ৮ লক্ষ টাকা একর প্রতি জমির দাম নির্ধারণ করা হয়। ৬৮৪ একর জমি স্থানীয়দের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। তখন প্রকল্পটি ডিভিসি এবং বেঙ্গল এমটা যৌথ দায়িত্ব ছিল।

 

পরবর্তী সময়ে শুধু মাত্র ডিভিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর প্রকল্পের প্যাকেজ নিয়ে নানা আন্দোলন হতে থাকে। ইতিমধ্যেই ডেউচা পাচামী প্রকল্পের ঘোষণা হয়। তারপরে জানা যায় একর প্রতি ৩৫ লক্ষ টাকা, যাদের চাষের জমি যাবে তাদের ২৫ বছর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে এবং শুধুমাত্র বসতবাড়ি যাদের যাবে তাদের ওই ২৫ বছর মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে প্যাকেজ হিসাবে। তার মধ্যেই প্রকল্প থেকে সরে আসার ঘোষণা ডিভিসির।

 

লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন,”তৎকালীন বাম সরকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কোন আলাপ-আলোচনা না করেই জমির মূল্য নির্ধারণ করেছিল তা কার্যত জলের দরের নামান্তর। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে ডেউচা পাঁচামি প্রকল্পের প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। আমরা দাবি করছি শুধুমাত্র রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে এ প্রকল্পটি করুক। তাহলেই প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা উপযুক্ত প্যাকেজ ও পুনর্বাসন পাবে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে”