ঈদের নামায চলাকালীন বৃদ্ধের গলায় চাকুর কোপ: হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক

- আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 44
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের মারাডাঙ্গি গ্রামে ঈদের দিন ঘটে গেল এক রক্তাক্ত ঘটনা। কুরবানীর ঈদের সকালে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় এক বৃদ্ধের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গ্রামজুড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধ বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত বৃদ্ধের নাম জলেল সেখ (৬৫)। তিনি মারাডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত যুবক বাবুল আলি (৩০) একই গ্রামের বাসিন্দা এবং জলেল সেখের প্রতিবেশী।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রায় ছয় মাস আগে জলেল সেখের বাড়িতে পাথর ছোঁড়া নিয়ে বাবুল আলির পরিবারের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই এই নৃশংস হামলা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
ঈদের দিন সকালে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় জলেল সেখের পাশে বসেই নামাজে অংশ নেন বাবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। দ্বিতীয় সিজদার সময় আচমকা বাবুল তার কাছে থাকা ধারালো চাকু বের করে জলেল সেখের গলায় সজোরে কোপ মারেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জলেল। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে হুলস্থুল পড়ে যায়। স্থানীয়রা বাবুলকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
প্রথমে জলেল সেখকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে স্থানান্তর করেন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আহতের স্ত্রী হাজেরা বিবি বলেন, “আমার স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেই মসজিদে এসেছিল বাবুল। তার পরিবারও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। কেন এই খুনের চেষ্টা, কারা কারা এর সঙ্গে যুক্ত — সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী অফিসার।
ঈদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এমন মর্মান্তিক ঘটনা গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।