অতিরিক্ত বন্যা ও খরার জন্য দায়ী ‘এল নিনো’! বিশ্বে এর প্রভাব কি জানুন

- আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩, শনিবার
- / 12
বিশেষ প্রতিবেদন: ৭ বছর আগে ২০১৫ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে এসেছিল ‘এল নিনো’। তারপর ২০২৩ সালে আবার তার প্রত্যাবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু ঠিক কী এই এল নিনো? জীবজগতে এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ? বিজ্ঞানীরা বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার চেয়ে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর বেশি উষ্ণ হয়ে আছে। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালে এ ধরনের এল নিনো পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। গড়ে ২ থেকে ৭ বছর পর পর এল নিনো পরিস্থিতি হয়। স্প্যানিশ শব্দ ‘এল নিনো’র অর্থ হল ‘লিটল বয়’ বা ‘ছোট ছেলে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ থাকে, তখন তাকে এল নিনো বলা হয়। এর বিপরীত অবস্থার নাম ‘লা নিনা’ যার অর্থ ‘লিটল গার্ল’ বা ‘ছোট মেয়ে’।
পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তখন তাকে লা নিনা বলা হয়। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে- পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে পেরু, ইকুয়েডর বরাবর কোনও কোনও বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ এক প্রকার উষ্ণ দক্ষিণমুখী স্রোতের সৃষ্টি হয়। এরই নাম ‘এল নিনো’।
পেরু, ইকুয়েডর উপকূলেই মাঝেমাঝে এল নিনোর বিপরীত একটি শীতল স্রোত সৃষ্টি হয়। তার নাম ‘লা নিনা’। দুই স্রোতের প্রভাব পড়ে বিশ্বের আবহাওয়ায়। দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে এল নিনো নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। যার ফলে ওই এলাকায় অসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তবে এই উষ্ণ স্রোতের প্রভাব কেবল পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরেই সীমাবদ্ধ থাকে না। নিরক্ষরেখা বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরের পানি এল নিনোর প্রভাবে ধারাবাহিক ভাবে উষ্ণ হতে শুরু করে। এর ফলে কোথাও অতিবৃষ্টিতে বন্যা ও কোথাও অনাবৃষ্টিতে খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০০০ সাল থেকে এই নিয়ে পঞ্চম বার উষ্ণ স্রোতটির আবির্ভাব হল।