পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : নির্বাচনী বণ্ডের নামে তোলাবাজি চক্র চালাচ্ছিল কেন্দ্র সরকার। সোমবার ইলেক্টরাল বণ্ড কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একচোট আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। নির্বাচনী বণ্ড’কে ‘হাফতা ভাসুলি যোজনা’ তকমা দেয় তারা । এদিন এক্স হ্যান্ডেলে জয়রাম রমেশ জানান, নির্বাচনী বন্ড! নাকি বিজেপির টাকার মেশিন, বোঝাই যাচ্ছে না। বন্ড মারফত বিজেপির ঝুলিতে অনুদানের বহর জনসাধারণকে রীতিমতো চমকে দিচ্ছে। অনেকে আবার বলছে, ‘ইয়ে তো স্রেফ ট্রেলার হেইন’। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজি চক্র হল এই নির্বাচনী বণ্ড। ইডি, নির্বাচন কমিশন বা সিবিআই দেশের যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন, এখন তারা দেশের নয়, বিজেপি ও আরএসএসের অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা না হলে এই দিন আসত না। খুব স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, দুই পদ্ধতিতে টাকা তোলা হয়েছে, এক, ইডি,সিবিআই পাঠিয়ে, ভয় পাইয়ে তোলাবাজি করে টাকা শুষে নেওয়া হয়েছে। দুই, টাকা তুলে সরকারি বরাত পাওয়া গেছে।ওরা এখন ‘চাঁদা দাও’, ‘চাঁদা নাও’ পলিশি ব্যবহার করছে।
With each passing day, more examples emerge on the true depths of the #ElectoralBondScam. Today, we zoom in on the Pradhan Mantri Hafta Vasuli Yojana, the second of the four channels of corruption in the Electoral Bond Scam:
1.Chanda Do, Dhandha Lo
2.Hafta Vasulia.On 10… https://t.co/Ts6KkjsYmF
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) March 18, 2024
গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে নির্বাচনী বন্ড। কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে কত টাকা ঘরে তুলেছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে। সম্পূর্ণ তথ্য এখনও জমা করেনি এসবিআই। যার জন্য সোমবার নতুন করে শীর্ষ আদালতের রোষানলের মুখে পড়েছে এসবিআই।
এদিন জয়রাম রমেশ আরও বলেন, ২০২২-এর ১০ নভেম্বর দিল্লি সরকারের মদ দুর্নীতি কাণ্ডে অরবিন্দ ফার্মার পরিচালক পি শরৎ চন্দ্র রেড্ডিকে গ্রেফতার করে ইডি। ঘটনার ঠিক ৫ দিন পরে অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর ৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বণ্ড ক্রয় করেছে তাঁর সংস্থা। একইভাবে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আয়কর বিভাগের তল্লাশির মুখে পড়েছিল “নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড । ঘটনার ৬ মাস পর অর্থাৎ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ৩০ কোটি টাকার নির্বাচনী বণ্ড কেনে। ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর রুংটা সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের তিনটি ইউনিটে অভিযান চালায় আয়কর বিভাগ। ঘটনার ১ মাস পর অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ১ কোটি টাকার মূল্যে ৫০ টি নির্বাচনী বণ্ড ক্রয় করে সংস্থা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালু হওয়ার পর বিভিন্ন সংস্থায় ইডি, সিবিআই ও আয়কর হানার বহর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। রিপোর্ট বলছে, সেই সঙ্গেই কেন্দ্রের শাসক দলের ক্যাশবাক্সও ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করে। ইডি-আয়কর দফতরকে ব্যবহার করে ফের একবার ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’র প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর দলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ বিশ্লেষকদের।