পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের বেশকিছু এলাকায় এখনও ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হলেও এরই মধ্যে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
বুধবার পার্লামেন্টে একে পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এরদোগান বলেন, ‘আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন। যা প্রয়োজন তা করবে তুরস্ক। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’ গত মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে নানা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল। কেউ কেউ বলছিলেন এ বছরের শেষদিকে নির্বাচন হতে পারে।
আবার কেউ কেউ জানিয়েছিলেন, নির্বাচন হতে পারে ১৮ জুন। ভূমিকম্পের আগেই জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও লিরার দাম পড়ে যাওয়ায় জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল এরদোগানের। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোগান আবারও নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে যান। ছুটির দিন এড়াতে জুনের পরিবর্তে নির্বাচন মে মাসে এগিয়ে আনতে চাইছেন এরদোগান। জনমত সমীক্ষা অনুসারে, এটি হবে এরদোগানের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের বসবাস। এসব অঞ্চলে সফলভাবে নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ভূমিকম্পের এক দিন পর তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে ৩ মাসের রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। তবে এরদোগান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না সরকার। অন্তত ৩০ লক্ষ নয়া ভবন নির্মাণ করার কথা জানিয়েছে এরদোগান সরকার।