'ন্যায়বিচারের লড়াই' বলে পূর্ণ সমর্থন মুসলিম সংগঠনের
কর্নাটক সরকারের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কৃষকরা

- আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 20
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেবনাহাল্লিতে জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী কৃষকদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করল কর্নাটক মুসলিম ইউনাইটেড মাহাজ (কেএমইউএম)। সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদ আবদুল কাদির ফ্রিডম পার্কে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। যেখানে অবস্থান ধর্মঘট একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। কৃষকদের সংগ্রামকে বৈধ, গণতান্ত্রিক এবং সমস্ত ন্যায়বিচার-প্রিয় নাগরিকদের জন্য নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলক বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
কর্ণাটক সরকার ১,৭৭৭ একর উর্বর কৃষিজমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন কৃষকরা। সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতাও করেছেন তারা। নির্বাচনী আশ্বাস সত্ত্বেও কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকার সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মাসুদ আবদুল কাদির বলেন, “এই ভূমি শুধু মাটি নয়, এটা জীবিকা, ইতিহাস ও মর্যাদা। যখন ৮০ শতাংশ কৃষক এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তখন সরকারের এগিয়ে যাওয়ার কোনও নৈতিক বা আইনগত অধিকার নেই। এই ন্যায্য লড়াইয়ে কেএমইউএম আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।” বরগলপুরের নগেন্দ্র, বাসবরাজাপ্পা, বীর সাংখ্য এবং দলিত নেতা নাগরাজ সহ কৃষক নেতারা মুসলিম পণ্ডিত এবং সম্প্রদায়ের প্রধানদের সাথে হাত মিলিয়ে জমি দখলের সম্মিলিত বিরোধিতা করেছেন।
জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ কর্নাটকের সেক্রেটারি এবং কেএমইউএম-এর সহ-আহ্বায়ক মুহাম্মদ ইউসুফ কানি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই প্রকল্পের কী গণতান্ত্রিক বৈধতা রয়েছে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক এর বিরোধিতা করেন? এটা শাসন নয়, এটা জবরদস্তি। সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে।”
জমিয়ত উলামা কর্নাটকের সভাপতি মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ হুসেন কাসেমি আসন্ন ৪ জুলাই প্রতিবাদ সমাবেশে মুসলমানদের বিপুল সংখ্যায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “এটা নৈতিক দায়িত্ব। এখনই কৃষকদের পাশে দাঁড়ান, কাল আমরাও সরকারের রোষানলে পড়তে পারি।” সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রউফ তালুকদার, মাওলানা আব্দুর রউফ তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ। মাওলানা আব্দুর জনশক্তির সমাজকর্মী নূর শ্রীধর ঐক্যের বার্তা দিয়ে বলেছেন, “আমরা আমাদের মুসলিম ভাইদের সাথে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামে তাদের সাথে হাঁটব, যেমনটি তারা আজ আমাদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে।” অন্যদিকে মুহাম্মদ ইউসুফ কানির কথায়, “এই লড়াই জমির চেয়েও বেশি ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং গণতন্ত্রের। নিপীড়িত সম্প্রদায়গুলো যখন ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন তারা এক অটুট শক্তিতে পরিণত হয়।”