০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ বছর ধরে হাজীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত বাবা এবং মেয়ে  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 9

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে  সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেন সউদি আরবের এক বাবা ও মেয়ে। মক্কা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনার প্রান্তরে উভয়ে একসঙ্গে শত শত হাজীকে  চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাশেম নায়াজ ও তাঁর মেয়ে ডা. আফনান একসঙ্গে মিনায় ডিফেন্স মিনিস্ট্রি হাসপাতালে কাজ করেন। গত ১৫ বছর ধরে হজযাত্রীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাশেম।

 মেয়ের চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে সম্প্রতি হাশেম বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার মেয়ে হাসপাতালে যোগ দিতে আবেদন করে। প্রথমে তা গ্রহণ করা না হলেও পরে তা গৃহীত হয়। তখন আমার মেয়ে খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল।

বিশেষত আমার সঙ্গে হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তার আনন্দের সীমা ছিল না।’ বাবার সঙ্গে থেকে হাজীদের সেবা দেওয়ার সুযোগ সত্যিই স্মরণীয় বলে জানান চিকিৎসক আফনান।

 তিনি বলেন, ‘একজন তরুণ চিকিৎসক হিসেবে বাবার পাশে বসে কাজ অনেক কিছু শেখার সুযোগ করে দেয়। সাধারণত নবীন চিকিৎসকদের মধ্যে যে ধরনের ভয় ও জড়তা কাজ করে, আমার মধ্যে তা হয়নি।

 হজ চলাকালীন নানা রকম রোগের চিকিৎসা করে নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্লিনিকে রোগী দেখা আর হাজীদের চিকিৎসা দেওয়া উভয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

কেননা এখানে বিশ্বের নানা দেশের হাজীদের খুবই ধৈর্য্যের সঙ্গে সেবা দিতে হয়। তাই ভাষাগত জটিলতা ছাড়াও অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। তার পরও আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়েছি।’

দীর্ঘ তিন বছরের করোনা বিধি-নিষেধ শেষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবছর। এতে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে ১৮ লক্ষেরও বেশি লোক অংশ নেন। তাঁরা গত ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাত্রিযাপন, মিনায় তিন দিন পাথর নিক্ষেপ, পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানোসহ হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। যাঁরা হজের আগে মদিনায় যাননি, তাঁরা এখন মদিনায় গিয়ে নবী সা.র রওজা শরিফ জিয়ারত করছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৫ বছর ধরে হাজীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত বাবা এবং মেয়ে  

আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে  সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেন সউদি আরবের এক বাবা ও মেয়ে। মক্কা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনার প্রান্তরে উভয়ে একসঙ্গে শত শত হাজীকে  চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাশেম নায়াজ ও তাঁর মেয়ে ডা. আফনান একসঙ্গে মিনায় ডিফেন্স মিনিস্ট্রি হাসপাতালে কাজ করেন। গত ১৫ বছর ধরে হজযাত্রীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাশেম।

 মেয়ের চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে সম্প্রতি হাশেম বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার মেয়ে হাসপাতালে যোগ দিতে আবেদন করে। প্রথমে তা গ্রহণ করা না হলেও পরে তা গৃহীত হয়। তখন আমার মেয়ে খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল।

বিশেষত আমার সঙ্গে হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তার আনন্দের সীমা ছিল না।’ বাবার সঙ্গে থেকে হাজীদের সেবা দেওয়ার সুযোগ সত্যিই স্মরণীয় বলে জানান চিকিৎসক আফনান।

 তিনি বলেন, ‘একজন তরুণ চিকিৎসক হিসেবে বাবার পাশে বসে কাজ অনেক কিছু শেখার সুযোগ করে দেয়। সাধারণত নবীন চিকিৎসকদের মধ্যে যে ধরনের ভয় ও জড়তা কাজ করে, আমার মধ্যে তা হয়নি।

 হজ চলাকালীন নানা রকম রোগের চিকিৎসা করে নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্লিনিকে রোগী দেখা আর হাজীদের চিকিৎসা দেওয়া উভয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

কেননা এখানে বিশ্বের নানা দেশের হাজীদের খুবই ধৈর্য্যের সঙ্গে সেবা দিতে হয়। তাই ভাষাগত জটিলতা ছাড়াও অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। তার পরও আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়েছি।’

দীর্ঘ তিন বছরের করোনা বিধি-নিষেধ শেষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবছর। এতে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশ থেকে ১৮ লক্ষেরও বেশি লোক অংশ নেন। তাঁরা গত ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাত্রিযাপন, মিনায় তিন দিন পাথর নিক্ষেপ, পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানোসহ হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। যাঁরা হজের আগে মদিনায় যাননি, তাঁরা এখন মদিনায় গিয়ে নবী সা.র রওজা শরিফ জিয়ারত করছেন।