অসম ও কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় সাংবাদিকের বিরূদ্ধে এফআইআর

- আপডেট : ২২ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 222
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: অসম সরকারের সমালোচনা করায় এবার খ্যাতনামা সাংবাদিক ও ইউটিউবারের বিরূদ্ধে এফআইআর। জানা গেছে, বর্ষীয়ান সাংবাদিক অভিসার শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে গুয়াহাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও কেন্দ্র সরকারকে উপহাস করার আরোপ লেগেছে বলেই খবর।
আসামের স্থানীয় এক ব্যক্তি অলোক বড়ুয়া (২৩) বৃহস্পতিবার অভিসার শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, অভিসার শর্মা ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন যেখানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগকারী আরও জানিয়েছেন, নিজের ভিডিয়োর মাধ্যমে দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভেদ লাগানোর চেষ্টা করছেন ওই সাংবাদিক। এছাড়া আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচারের অভিযোগ করেছেন। ফলস্বরূপ
রাজ্য তথা দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে। এছাড়া রাম রাজ্যের নীতিকে উপহাস করেছেন অভিসার শর্মা বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি তাঁর ভিডিয়োতে দাবি করেছেন, সরকার কেবল হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণের রাজনীতির ওপর নির্ভরশীল। এই মন্তব্যগুলি কেন্দ্র এবং আসাম সরকারকে অসম্মান করার উদ্দেশ্যে করেছেন তিনি। যার ফলে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বিপন্ন হচ্ছে।
এদিকে অভিসার শর্মার বিরুদ্ধে আনা এফআইআর ভিত্তিহীন বলে দাবি সাংবাদিকের। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টে এফআইআর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আইনগতভাবে এর জবাব দেওয়া হবে। আমি… মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উপর তথ্য তুলে ধরেছিলাম – তাঁর নিজস্ব বক্তব্যের ভিত্তিতে।
মূলত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার একটি ভিডিয়োকে তুলে ধরেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট ভাবে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের চিত্র ফুটে উঠেছে।
অভিযোগকারী এদিন দাবি করেছেন যে, অভিসার শর্মা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধসমূহ ভারতীয় দণ্ডবিধি সংহিতা (BNS)-এর ১৫২ ধারা (যা দেশদ্রোহ আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে এমন কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে), ১৯৬ ধারা (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা, জাত বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচারের অপরাধ) এবং ১৯৭ ধারা (জাতীয় সংহতির পরিপন্থী অভিযোগ ও মন্তব্য সম্পর্কিত অপরাধ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।