০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নামাযে মন বসছে না? মেনে চলুন এই ৫ উপায়

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 117

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নামায এমন একটি ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়। এ ইবাদত আল্লাহর সঙ্গে মানসিক সংযোগ স্থাপনের অনন্য একটি মাধ্যম। মুমিন জীবনের অন্যতম একটি ইবাদত হলো সালাত বা নামায। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ সালাত(নামায) এবং কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম করা হবে নামায নিয়ে।

রাসূল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব হবে। (তিরমিজি)

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ

দৈনন্দিন জীবনে নামায (সালাত) আদায়ের ক্ষেত্রে নানা বিঘ্ন,ও আলস্য আসে। নানা ধরনের চিন্তা নামাযের সময় মাথায় ঘুরতে থাকে।  এর প্রধান কারণ হল নামাযে বেশিরভাগ সময় আমাদের একনিষ্ঠতা, মনোযোগ না থাকে না।

আরও পড়ুন: গরু পাচার সন্দেহে দুই মুসলিম চালককে মারধর, কাঠগড়ায় বজরং দল

পাঁচটি উপায়ে নামাযে মনযোগ বাড়ানো যেতে পারে

আরও পড়ুন: মুসলিমরা খারাপ, ওদের মধ্যে হিন্দুরা নিরাপদ নয়, বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ

প্রথম উপায় : অন্তরের মধ্যে এই অনুভব করতে হবে যে  এটা শেষ নামায । মৃত্যু এমন একটি বিষয়ের যা কখনও বলে কয়ে আসে না।

 নামাযে (সালাতে) যখন দাঁড়াবে তখন এটা অনুভব করতে হবে এটাই বিদায়ী নামাজ। রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন তুমি সালাতে দাঁড়াও তখন তুমি বিদায়ী সালাত পড়। (মুসনাদে আহমদ)। হতে পারে এটি জীবনের শেষ নামায ।

দ্বিতীয় উপায় :  এমন  অনুভব করা যেতে পারে যে, নামায হল  আল্লাহর সঙ্গে বান্দার  কথোপকথনের মাধ্যম।

আল্লাহতায়ালা বলেন, বান্দা যখন নামাজ পড়ে তখন তা আমি আধা-আধি ভাগ করি এবং তার কথার উত্তর দিয়ে থাকি। (বুখারী)  

তৃতীয় উপায়: হলো, ধীরস্থির হয়ে সালাত আদায় করা। সালাত মুমিন জীবনে সবরের (ধৈর্য) শিক্ষা দেয়। সালাত নম্র-ভদ্র হয়ে বিনয়ের সাথে আদায় করতে হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, মুমিনরা তাদের সালাতে বিনয়ী অবলম্বন করে। (সুরা মুমিনুন-০২)

চতুর্থ উপায় : মনে মধ্যে এই অনুভূতি রাখতে হবে যে আমি আল্লাহর সঙ্গে দেখা করছি। আল্লাহতায়ালা সার্বক্ষণিক আমাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন কিন্তু দুনিয়ার কোনো চর্মচক্ষু দ্বারা তাকে প্রত্যক্ষ করা সম্ভব না।

সালাতের ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। (বুখারি, মুসলিম) 

পঞ্চম উপায় : রাসূল (সা.)  যেভাবে নামাজ পড়তেন, সাহাবায়ে কেরাম নিজ চোখে যা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তাদের থেকে ধারাবাহিকভাবে আলেমরা শিক্ষা লাভ করেছেন, তাঁদের এই শিক্ষার আলোকে দৈনন্দিন জীবনে অনুসরণ করতে পারলে বিনয়ীভাব ও পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ  লাভ সম্ভব হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নামাযে মন বসছে না? মেনে চলুন এই ৫ উপায়

আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ নামায এমন একটি ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়। এ ইবাদত আল্লাহর সঙ্গে মানসিক সংযোগ স্থাপনের অনন্য একটি মাধ্যম। মুমিন জীবনের অন্যতম একটি ইবাদত হলো সালাত বা নামায। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ সালাত(নামায) এবং কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম করা হবে নামায নিয়ে।

রাসূল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব হবে। (তিরমিজি)

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ

দৈনন্দিন জীবনে নামায (সালাত) আদায়ের ক্ষেত্রে নানা বিঘ্ন,ও আলস্য আসে। নানা ধরনের চিন্তা নামাযের সময় মাথায় ঘুরতে থাকে।  এর প্রধান কারণ হল নামাযে বেশিরভাগ সময় আমাদের একনিষ্ঠতা, মনোযোগ না থাকে না।

আরও পড়ুন: গরু পাচার সন্দেহে দুই মুসলিম চালককে মারধর, কাঠগড়ায় বজরং দল

পাঁচটি উপায়ে নামাযে মনযোগ বাড়ানো যেতে পারে

আরও পড়ুন: মুসলিমরা খারাপ, ওদের মধ্যে হিন্দুরা নিরাপদ নয়, বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ

প্রথম উপায় : অন্তরের মধ্যে এই অনুভব করতে হবে যে  এটা শেষ নামায । মৃত্যু এমন একটি বিষয়ের যা কখনও বলে কয়ে আসে না।

 নামাযে (সালাতে) যখন দাঁড়াবে তখন এটা অনুভব করতে হবে এটাই বিদায়ী নামাজ। রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন তুমি সালাতে দাঁড়াও তখন তুমি বিদায়ী সালাত পড়। (মুসনাদে আহমদ)। হতে পারে এটি জীবনের শেষ নামায ।

দ্বিতীয় উপায় :  এমন  অনুভব করা যেতে পারে যে, নামায হল  আল্লাহর সঙ্গে বান্দার  কথোপকথনের মাধ্যম।

আল্লাহতায়ালা বলেন, বান্দা যখন নামাজ পড়ে তখন তা আমি আধা-আধি ভাগ করি এবং তার কথার উত্তর দিয়ে থাকি। (বুখারী)  

তৃতীয় উপায়: হলো, ধীরস্থির হয়ে সালাত আদায় করা। সালাত মুমিন জীবনে সবরের (ধৈর্য) শিক্ষা দেয়। সালাত নম্র-ভদ্র হয়ে বিনয়ের সাথে আদায় করতে হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, মুমিনরা তাদের সালাতে বিনয়ী অবলম্বন করে। (সুরা মুমিনুন-০২)

চতুর্থ উপায় : মনে মধ্যে এই অনুভূতি রাখতে হবে যে আমি আল্লাহর সঙ্গে দেখা করছি। আল্লাহতায়ালা সার্বক্ষণিক আমাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন কিন্তু দুনিয়ার কোনো চর্মচক্ষু দ্বারা তাকে প্রত্যক্ষ করা সম্ভব না।

সালাতের ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। (বুখারি, মুসলিম) 

পঞ্চম উপায় : রাসূল (সা.)  যেভাবে নামাজ পড়তেন, সাহাবায়ে কেরাম নিজ চোখে যা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তাদের থেকে ধারাবাহিকভাবে আলেমরা শিক্ষা লাভ করেছেন, তাঁদের এই শিক্ষার আলোকে দৈনন্দিন জীবনে অনুসরণ করতে পারলে বিনয়ীভাব ও পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ  লাভ সম্ভব হবে।