০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি: ‘ইরানকে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে প্রস্তুত একাধিক দেশ’

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 388

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরগাছি যখন মস্কো সফরে যাচ্ছেন, ঠিক তার আগেই এই রুশ নিরাপত্তা কর্তা জানান, “বিশ্বের একাধিক দেশ ইরানকে পরমাণু অস্ত্র সরবরাহে আগ্রহী এবং ভবিষ্যতেও ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন থামানো যাবে না।”

এই মন্তব্য এমন সময় সামনে এল, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে। রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। ফরডো, নাতানজ় এবং ইসফাহান—এই তিন কেন্দ্রে মার্কিন সেনার B-2 স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে অত্যাধুনিক বাঙ্কার ব্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র GBU-57 ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এত সুরক্ষিত স্থানে ইসরাইলের একার পক্ষে এই হামলা চালানো সম্ভব ছিল না বলেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত ফরডো কেন্দ্র, যা মাটির গভীরে অবস্থিত, তা কয়েক মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে রাশিয়া। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সংঘাতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ রাশিয়ার অস্বস্তি বাড়িয়েছে। আর তাই রুশ নিরাপত্তা পরিষদের শীর্ষস্তরের এই মন্তব্য সেই অসন্তোষেরই বহিঃপ্রকাশ।

আরও পড়ুন: ইরানের ওপর ফের রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

তবে দিমিত্রি দাবি করেছেন, মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু পরিকাঠামোর কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাঁর কথায়, “ইরান আগেই তাদের জরুরি ও গোপন প্রযুক্তি সরিয়ে ফেলেছিল। মার্কিন হামলার ফলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি প্রায় কিছুই হয়নি।”

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

এদিকে, হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা প্রতিঘাত হানে। ইসরাইলের তেল আভিভ শহরে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে একাধিক এলাকা, ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। এই হামলায় অন্তত ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

বিশ্ব রাজনীতি এখন কার্যত ফুটন্ত অবস্থায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে শান্তির কথা বললেও তার প্রশাসনের এই সামরিক হস্তক্ষেপ আসলে নতুন এক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলছে আমেরিকাকে। সবমিলিয়ে, ইরান-ইসরাইল সংঘাত ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে, আর এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সরাসরি মন্তব্য জটিলতা আরও বাড়াতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি: ‘ইরানকে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে প্রস্তুত একাধিক দেশ’

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরগাছি যখন মস্কো সফরে যাচ্ছেন, ঠিক তার আগেই এই রুশ নিরাপত্তা কর্তা জানান, “বিশ্বের একাধিক দেশ ইরানকে পরমাণু অস্ত্র সরবরাহে আগ্রহী এবং ভবিষ্যতেও ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন থামানো যাবে না।”

এই মন্তব্য এমন সময় সামনে এল, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে। রবিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। ফরডো, নাতানজ় এবং ইসফাহান—এই তিন কেন্দ্রে মার্কিন সেনার B-2 স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে অত্যাধুনিক বাঙ্কার ব্লাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র GBU-57 ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এত সুরক্ষিত স্থানে ইসরাইলের একার পক্ষে এই হামলা চালানো সম্ভব ছিল না বলেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত ফরডো কেন্দ্র, যা মাটির গভীরে অবস্থিত, তা কয়েক মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে রাশিয়া। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সংঘাতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ রাশিয়ার অস্বস্তি বাড়িয়েছে। আর তাই রুশ নিরাপত্তা পরিষদের শীর্ষস্তরের এই মন্তব্য সেই অসন্তোষেরই বহিঃপ্রকাশ।

আরও পড়ুন: ইরানের ওপর ফের রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর

তবে দিমিত্রি দাবি করেছেন, মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু পরিকাঠামোর কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাঁর কথায়, “ইরান আগেই তাদের জরুরি ও গোপন প্রযুক্তি সরিয়ে ফেলেছিল। মার্কিন হামলার ফলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি প্রায় কিছুই হয়নি।”

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

এদিকে, হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা প্রতিঘাত হানে। ইসরাইলের তেল আভিভ শহরে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে একাধিক এলাকা, ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। এই হামলায় অন্তত ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

বিশ্ব রাজনীতি এখন কার্যত ফুটন্ত অবস্থায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে শান্তির কথা বললেও তার প্রশাসনের এই সামরিক হস্তক্ষেপ আসলে নতুন এক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলছে আমেরিকাকে। সবমিলিয়ে, ইরান-ইসরাইল সংঘাত ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে, আর এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সরাসরি মন্তব্য জটিলতা আরও বাড়াতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।