পরীক্ষার্থীর 'আসল' উত্তরপত্র দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ
২০২৩ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় কারচুপি?

- আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 24
মোল্লা জসিমউদ্দিন : কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি পর্বে গুরত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল আদালত। দশম স্থান হাতছাড়া মাত্র দুই নম্বরের জন্য! মামলাকারী পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, -‘ উত্তরপত্রে ওভাররাইট করে ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে’। হুগলির আরামবাগের আলিপুর সন্তোষ সাধারণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী দিশানী হাজরা দাবি করেছেন, কারচুপি না হলে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি প্রথম দশের মধ্যে থাকতেন।দিশানীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮১। আর মেধাতালিকায় দশম স্থানে থাকা ছাত্রীর নম্বর ৬৮৩।
নিজের উত্তরপত্রের প্রতিলিপি হাতে পেয়েই দিশানীর দাবি, -‘একাধিক প্রশ্নে পরীক্ষক পূর্ণ নম্বর দিলেও পরবর্তীতে তা ওভাররাইট করে কেটে দেওয়া হয়েছে’।এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন দিশানী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন দিশানীর আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সঠিক উত্তর দিয়েও বঞ্চিত হয়েছে দিশানী।
মেধাতালিকায় ঠাঁই না পাওয়ার যন্ত্রণায় ভুগছে সে। এই ধরনের শিক্ষাগত অবিচার মেনে নেওয়া যায় না।’মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়, -‘বোর্ডের তরফে এ ধরনের ‘ওভাররাইট’ কীভাবে ঘটেছে, তা স্পষ্ট জানা সম্ভব নয়’। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, -‘অভিযোগের ভিত্তিতে মূল উত্তরপত্র খতিয়ে দেখা জরুরি।
তাই আগামী ২৫ অগস্টের মধ্যে দিশানীর অরিজিনাল উত্তরপত্র আদালতে জমা দিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে’।আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন যে, -‘ দিশানীর মামলার রায় প্রভাব ফেলতে পারে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতার উপর এবং বহু পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে’।পরবর্তী শুনানিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে কি অবস্থান নেয়? এখন তা দেখার।