পারিজাত মোল্লা: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বড়সড় ধাক্কা খেল বিরোধী প্রার্থীদের একাংশ। সিপিএম প্রার্থীদের পর এবার ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীরাও ধাক্কা খেলেন ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, -‘এখনই নতুন করে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে না’। চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। ভাঙড় উত্তপ্ত হয় বেশি, কয়েক জনের প্রাণহানি ঘটে পর্যন্ত। আইএসএফ অভিযোগ তোলে, -‘তাদের অনেক প্রার্থীই অশান্তির কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি’।
গত ১৫ জুন হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের নির্দেশ দেন, – ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের পুলিশি এসকর্ট করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দিতে হবে’। আইএসএফ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানায়, -‘আদালত নির্দেশ দিয়েছিল তাদের প্রার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার। অনেকে পৌঁছেছিলেন, অনেকে বাধার কারণে পারেননি। যাঁরা পৌঁছেছিলেন, তাঁদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়’।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা আইএসএফ মামলায় নির্দেশ দেন, -‘ যে ৮২ জন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে ২৮ জুনের মধ্যে কমিশনকে যা করার করতে হবে’।সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -‘ ৮২ জন আইএসএফ কর্মীরা এখনই নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না। ১৫ দিন পর এই মামলার শুনানি রয়েছে’।
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ ঘিরে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। ১৫ দিন পর আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু ততদিনে মিটে যাবে পঞ্চায়েত ভোট পর্ব এমনকী ফলাফলও বেরিয়ে যাবে। সেই সময় যদি নতুন করে আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে কী কোনও লাভ হবে? এই প্রশ্ন অনেকেরই।কয়েকদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে।