০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭০ বছর বয়সে কুরআনে হাফেজ হলেন ফিলিস্তিনি মহিলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 30

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কুরআনে হাফেজ হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। মাদ্রাসায় যতজন ভর্তি হন সকলে হাফেজ হতে পারেন না। শৈশবে ও কৈশরে পড়ুয়াদের স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। তাই কম বয়সেই হাফেজ হন বেশিরভাগ পড়ুয়া।  বয়স বেড়ে গেলে স্মৃতি প্রতারণা করে। তখন জরুরী কথাও মানুষ ভুলতে শুরু করে। তবে ৭০ বছরে হাফেজ হয়ে নজির গড়লেন ফিলিস্তিনি মহিলা বেগম আয়েশা। বয়স তাঁর শরীরে দাগ রেখেছে ঠিকই, কিন্তু মনে প্রভাব ফেলতে পারেনি। আয়েশা বলেন, এই বয়সে এসে মনে কেমন যেন একটা শূন্যতা অনুভব করতাম। কেবল মনে হত কুরআনে হাফেজ হতে পারলে বেশ হত। কিন্তু তা কি সহজ কথা? শেষ পর্যন্ত আয়েশা শুরু করেন কুরআন মুখস্ত করতে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে শুরু করেন লাগাতার পড়াশুনা। এক মাস যায়। দুই মাস যায়। পার হয় বছর। তবুও শেষ হয় না কুরআন মুখস্থ। প্রথম হতাশা পেয়ে বসে তাঁকে। মনে হত আর হবে না। এবার বুঝি হাল ছাড়তে হবে।

এমন সময় তাঁর স্বামী এগিয়ে আসেন। পাশে দাড়ান।  উৎসাহ দেন। বলেন, ‘হাফেজ হতে হলে দমা যাবে না।’ নয়া উদ্দমে ফের শুরু করেন পড়াশুনা। ফের এগিয়ে চলেন তিনি। ফের ঘিরে ধরে হতাশা। মনে হয় আর বুঝি হবে না। হাফেজ হওয়ার ইচ্ছাকে বোধহয় দাফন করতে হবে মনের ভিতরেই। তখন মনে ভিতরে শক্তি যোগান আল্লাহ। সামনে চলার গতি অব্যাহত রাখেন আয়েশা । এভাবেই বয়স আর হতাশাকে জয় করেন তিনি। দেখতে দেখতে কেটে যায়  আরও পাঁচ পাঁচটি বছর।

কম বয়সে হাফেজ হওয়ায় ইচ্ছা ছিল। সে ইচ্ছা সফল না হলেও বার্ধক্যে তিনি গড়গড়িয়ে বলে দিতে পারেন পবিত্র কুরআনের যেকোন সূরা। যেকোনো সময়। এই ৭০ বছর বয়সে তিনি এখন হাফেজ। আগে হাফেজ হওয়া হয়নি তো কি  হয়েছে, আল্লাহর রহমতে এই বয়সে তো হয়েছে।  তিনি চান মুসলিম শিশুরা শৈশবেই কুরআন আঁকড়ে ধরুক। এখন তিনি নাতির থেকেও বয়সে ছোট শিশুদের কুরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। আয়েশা বলেন, এই এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কুরআনের আলো বিলিয়ে এইভাবেই জীবনের বাকি দিনগুলি কাটিয়ে দিতে চান আয়েশা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৭০ বছর বয়সে কুরআনে হাফেজ হলেন ফিলিস্তিনি মহিলা

আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কুরআনে হাফেজ হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। মাদ্রাসায় যতজন ভর্তি হন সকলে হাফেজ হতে পারেন না। শৈশবে ও কৈশরে পড়ুয়াদের স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। তাই কম বয়সেই হাফেজ হন বেশিরভাগ পড়ুয়া।  বয়স বেড়ে গেলে স্মৃতি প্রতারণা করে। তখন জরুরী কথাও মানুষ ভুলতে শুরু করে। তবে ৭০ বছরে হাফেজ হয়ে নজির গড়লেন ফিলিস্তিনি মহিলা বেগম আয়েশা। বয়স তাঁর শরীরে দাগ রেখেছে ঠিকই, কিন্তু মনে প্রভাব ফেলতে পারেনি। আয়েশা বলেন, এই বয়সে এসে মনে কেমন যেন একটা শূন্যতা অনুভব করতাম। কেবল মনে হত কুরআনে হাফেজ হতে পারলে বেশ হত। কিন্তু তা কি সহজ কথা? শেষ পর্যন্ত আয়েশা শুরু করেন কুরআন মুখস্ত করতে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে শুরু করেন লাগাতার পড়াশুনা। এক মাস যায়। দুই মাস যায়। পার হয় বছর। তবুও শেষ হয় না কুরআন মুখস্থ। প্রথম হতাশা পেয়ে বসে তাঁকে। মনে হত আর হবে না। এবার বুঝি হাল ছাড়তে হবে।

এমন সময় তাঁর স্বামী এগিয়ে আসেন। পাশে দাড়ান।  উৎসাহ দেন। বলেন, ‘হাফেজ হতে হলে দমা যাবে না।’ নয়া উদ্দমে ফের শুরু করেন পড়াশুনা। ফের এগিয়ে চলেন তিনি। ফের ঘিরে ধরে হতাশা। মনে হয় আর বুঝি হবে না। হাফেজ হওয়ার ইচ্ছাকে বোধহয় দাফন করতে হবে মনের ভিতরেই। তখন মনে ভিতরে শক্তি যোগান আল্লাহ। সামনে চলার গতি অব্যাহত রাখেন আয়েশা । এভাবেই বয়স আর হতাশাকে জয় করেন তিনি। দেখতে দেখতে কেটে যায়  আরও পাঁচ পাঁচটি বছর।

কম বয়সে হাফেজ হওয়ায় ইচ্ছা ছিল। সে ইচ্ছা সফল না হলেও বার্ধক্যে তিনি গড়গড়িয়ে বলে দিতে পারেন পবিত্র কুরআনের যেকোন সূরা। যেকোনো সময়। এই ৭০ বছর বয়সে তিনি এখন হাফেজ। আগে হাফেজ হওয়া হয়নি তো কি  হয়েছে, আল্লাহর রহমতে এই বয়সে তো হয়েছে।  তিনি চান মুসলিম শিশুরা শৈশবেই কুরআন আঁকড়ে ধরুক। এখন তিনি নাতির থেকেও বয়সে ছোট শিশুদের কুরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। আয়েশা বলেন, এই এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কুরআনের আলো বিলিয়ে এইভাবেই জীবনের বাকি দিনগুলি কাটিয়ে দিতে চান আয়েশা।