০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলার হজ আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০২৬-এ আরও কমে যাচ্ছে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
  • / 306

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্য সরকারের সমস্ত ব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও এ বছর হজযাত্রীদের সংখ্যা লজ্জাজনকভাবে আরও কমতে চলেছে। ২০২৬ সালে হজে যাওয়ার জন্য আবেদনের শেষ সময় হচ্ছে ৩১ জুলাই, ২০২৫। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের অধীন ভারতের হজ কমিটি এই সময়সীমা বেশকিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছে।কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজে যাওয়ার আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০২৫ সালের তুলনায়ও শোচনীয়ভাবে কমে যাবে।

কারণ, বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, হজে যাওয়ার জন্য আবেদন করার সময়সীমা আর মাত্র ৪দিন বাকি আছে। আর এখনও পর্যন্ত আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০০০-ও অতিক্রম করতে পারেনি। অবশ্য জনসংখ্যা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের হজযাত্রীদের কোটা ১৭,৮০০ বা প্রায় ১৮,০০০। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজযাত্রীদের হালত কি।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ‘বাংলাদেশ’ হয়ে গেলে আমরা কোথায় যাব? এসআইআর আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য মিঠুনের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হজযাত্রীদের জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধরনের সহায়তা ও সুবিধার ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও রাজ্য হজ কমিটি যে হজযাত্রীদের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে খুব একটা সফল হননি। তবে তাঁরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের হাতে নাকি হজে যাওয়ার মতো অর্থ নেই। তাই তারা সামর্থবান মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হজে যাওয়া পরিহার করে চলেছেন। হয়তো বা আরও কোনও কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সব মিলিয়ে বিষয়টি যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের সম্পর্কে দেশে একটা ভুল ধারণা তৈরি করবে, তাতে সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারকে ন্যায়বিচার দিতে সবকিছু করব: গণধর্ষণ-কাণ্ডে মুখ খুললেন বোস

অনেকে বলছেন, প্রয়োজন ছিল কি করে সামর্থবান মুসলিমদের ইসলামের এই অবশ্য পালনীয় ইবাদত সম্পর্কে আগ্রহী করা যায়, সে নিয়ে সকলে মিলে একটি নয়া ও কার্যকারী পরিকল্পনা তৈরি করা। কিন্তু তা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে বর্ষা

দ্বিতীয়ত, সমাজের আলেম, উলামা, এনজিও এবং সিভিল সোসাইটির সদস্যরা এ সম্পর্কে মোটেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি। এই দায় কিংবা দোষ অবশ্যই তাদের উপর চাপবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গুজরাত, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এই সব প্রদেশ থেকে তাদের কোটার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হজযাত্রার আবেদনপত্র জমা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মুসলিম সমাজের যে সমস্ত সংগঠন রয়েছে যেমন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ, ফুরফুরার মতো আরও যেসব ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে তাদেরও গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলার হজ আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০২৬-এ আরও কমে যাচ্ছে

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্য সরকারের সমস্ত ব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও এ বছর হজযাত্রীদের সংখ্যা লজ্জাজনকভাবে আরও কমতে চলেছে। ২০২৬ সালে হজে যাওয়ার জন্য আবেদনের শেষ সময় হচ্ছে ৩১ জুলাই, ২০২৫। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু দফতরের অধীন ভারতের হজ কমিটি এই সময়সীমা বেশকিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছে।কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজে যাওয়ার আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০২৫ সালের তুলনায়ও শোচনীয়ভাবে কমে যাবে।

কারণ, বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, হজে যাওয়ার জন্য আবেদন করার সময়সীমা আর মাত্র ৪দিন বাকি আছে। আর এখনও পর্যন্ত আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০০০-ও অতিক্রম করতে পারেনি। অবশ্য জনসংখ্যা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের হজযাত্রীদের কোটা ১৭,৮০০ বা প্রায় ১৮,০০০। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজযাত্রীদের হালত কি।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ ‘বাংলাদেশ’ হয়ে গেলে আমরা কোথায় যাব? এসআইআর আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য মিঠুনের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হজযাত্রীদের জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধরনের সহায়তা ও সুবিধার ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও রাজ্য হজ কমিটি যে হজযাত্রীদের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে খুব একটা সফল হননি। তবে তাঁরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের হাতে নাকি হজে যাওয়ার মতো অর্থ নেই। তাই তারা সামর্থবান মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হজে যাওয়া পরিহার করে চলেছেন। হয়তো বা আরও কোনও কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সব মিলিয়ে বিষয়টি যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের সম্পর্কে দেশে একটা ভুল ধারণা তৈরি করবে, তাতে সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারকে ন্যায়বিচার দিতে সবকিছু করব: গণধর্ষণ-কাণ্ডে মুখ খুললেন বোস

অনেকে বলছেন, প্রয়োজন ছিল কি করে সামর্থবান মুসলিমদের ইসলামের এই অবশ্য পালনীয় ইবাদত সম্পর্কে আগ্রহী করা যায়, সে নিয়ে সকলে মিলে একটি নয়া ও কার্যকারী পরিকল্পনা তৈরি করা। কিন্তু তা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে বর্ষা

দ্বিতীয়ত, সমাজের আলেম, উলামা, এনজিও এবং সিভিল সোসাইটির সদস্যরা এ সম্পর্কে মোটেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি। এই দায় কিংবা দোষ অবশ্যই তাদের উপর চাপবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গুজরাত, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এই সব প্রদেশ থেকে তাদের কোটার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হজযাত্রার আবেদনপত্র জমা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মুসলিম সমাজের যে সমস্ত সংগঠন রয়েছে যেমন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ, ফুরফুরার মতো আরও যেসব ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে তাদেরও গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।