০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বন দফতরের উদ্যোগে বনবস্তিতে স্বাস্থ্য শিবির

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 23

 

 

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সুন্দরবন, জানাল বনদফতর

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে লোকালয়ে বার বার বাঘের ‘অনুপ্রবেশ’, চিন্তিত বন দফতর

শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: -বনবস্তীতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হল রবিবার। করোনার পর আর সে ভাবে কোথাও স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন হয় নি।  আর জঙ্গলের ভেতরে থাকা বন বস্তিবাসীরা সব সময় চিকিৎসার জন্য ছুটে যেতে পারেন না স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কারণ জঙ্গল লাগোয়া বন বস্তি থেকে অনেকটা দূরেই হাসপাতাল।

আরও পড়ুন: HC নির্দেশ: বাঘের কামড়ে মৃত দুই পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরন তুলে দিল বন দফতর

 

তাই পরিবেশ প্রেমী সংগঠন সোসাইটি ফর নেচার এডুকেশন হেলথ অ্যাওয়ারনেস “স্নেহা” ও বনদপ্তরের সহযোগিতায় বনবস্তি এলাকায় বিনামূল্যে এক দিবসীয় স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হয়। রবিবার মোরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত খট্টিমারি জঙ্গল এলাকায় এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। খট্টিমারি এফ ভি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিতবনবস্তীবাসীদের এই শিবিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ দিনের শিবির বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজন করা হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল, ঘোড়াঘাট রেঞ্জের এ সি এফ সায়ক দত্ত সহ অন্যান্যরা। এদিনের শিবিরে শিশু বিশেষজ্ঞ, গাইনোকোলজি, দন্ত বিশেষজ্ঞরা যত্ম সহকারে শিবিরে আসা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে শিবিরে আসা মানুষদের বিনামূল্যে ঔষধপত্র দেওয়া হয়।

 

পরিবেশপ্রেমী সংগঠন স্নেহার কর্মকর্তারা সূর্য কমল বনিক জানান , বনকর্মী, বনবস্তি এলাকার মানুষরা ভালো থাকলে বন এবং বন্য পশুরা ভালো থাকবে । বন ও প্রকৃতিকে সুস্থ রাখাই তাদের উদ্দেশ্য। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মূলত বনবস্তি এলাকায় এই ধরনের শিবির করা হয়। বনবস্তি এলাকায় এই ধরনের শিবির হওয়ায় খুশি বস্তিবাসীরা।

 

তপন কুমার চক্রবর্তী আয়োজক জানান, জঙ্গল লাগোয়া বনো বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনো অপ্রতুল। লোকের মধ্যে সচেতনার অভাব রয়েছে সামান্য অসুস্থ হলে তারা হাসপাতালে যান না। এই কারণেই বনবস্তি এলাকায় এই স্বাস্থ্য সুবীরের আয়োজন করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় শহরী এলাকায় স্বাস্থ্য মেলা হয়ে থাকে কিন্তু বনবস্তি এলাকায় রেয়ার তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বন দফতরের উদ্যোগে বনবস্তিতে স্বাস্থ্য শিবির

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

 

 

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সুন্দরবন, জানাল বনদফতর

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে লোকালয়ে বার বার বাঘের ‘অনুপ্রবেশ’, চিন্তিত বন দফতর

শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: -বনবস্তীতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হল রবিবার। করোনার পর আর সে ভাবে কোথাও স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন হয় নি।  আর জঙ্গলের ভেতরে থাকা বন বস্তিবাসীরা সব সময় চিকিৎসার জন্য ছুটে যেতে পারেন না স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কারণ জঙ্গল লাগোয়া বন বস্তি থেকে অনেকটা দূরেই হাসপাতাল।

আরও পড়ুন: HC নির্দেশ: বাঘের কামড়ে মৃত দুই পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরন তুলে দিল বন দফতর

 

তাই পরিবেশ প্রেমী সংগঠন সোসাইটি ফর নেচার এডুকেশন হেলথ অ্যাওয়ারনেস “স্নেহা” ও বনদপ্তরের সহযোগিতায় বনবস্তি এলাকায় বিনামূল্যে এক দিবসীয় স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হয়। রবিবার মোরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত খট্টিমারি জঙ্গল এলাকায় এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। খট্টিমারি এফ ভি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিতবনবস্তীবাসীদের এই শিবিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ দিনের শিবির বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজন করা হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল, ঘোড়াঘাট রেঞ্জের এ সি এফ সায়ক দত্ত সহ অন্যান্যরা। এদিনের শিবিরে শিশু বিশেষজ্ঞ, গাইনোকোলজি, দন্ত বিশেষজ্ঞরা যত্ম সহকারে শিবিরে আসা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে শিবিরে আসা মানুষদের বিনামূল্যে ঔষধপত্র দেওয়া হয়।

 

পরিবেশপ্রেমী সংগঠন স্নেহার কর্মকর্তারা সূর্য কমল বনিক জানান , বনকর্মী, বনবস্তি এলাকার মানুষরা ভালো থাকলে বন এবং বন্য পশুরা ভালো থাকবে । বন ও প্রকৃতিকে সুস্থ রাখাই তাদের উদ্দেশ্য। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মূলত বনবস্তি এলাকায় এই ধরনের শিবির করা হয়। বনবস্তি এলাকায় এই ধরনের শিবির হওয়ায় খুশি বস্তিবাসীরা।

 

তপন কুমার চক্রবর্তী আয়োজক জানান, জঙ্গল লাগোয়া বনো বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনো অপ্রতুল। লোকের মধ্যে সচেতনার অভাব রয়েছে সামান্য অসুস্থ হলে তারা হাসপাতালে যান না। এই কারণেই বনবস্তি এলাকায় এই স্বাস্থ্য সুবীরের আয়োজন করা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় শহরী এলাকায় স্বাস্থ্য মেলা হয়ে থাকে কিন্তু বনবস্তি এলাকায় রেয়ার তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।