০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে বিচারপতি ও ট্রাইবুনালে চেয়ারপার্সনের পদ খালি, কেন্দ্রকে বিঁধলেন চিদাম্বরম

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২১, রবিবার
  • / 21

নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হাইকোর্টে বিচারপতির ঘাটতি রয়েছে। এতে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ছে। হাজার হাজার মামলা পড়ে রয়েছে যার কোনও শুনানি হচ্ছে না। বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শুধু হাইকোর্টগুলিতে নয়, নানা ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সনের পদ খালি পড়ে আছে। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম শনিবার অভিযোগ করেছেন যে, সরকার এই পদ পূরণ করতে অক্ষম। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, সরকারের ‘পশ্চাদপদ’ আদর্শ ও দর্শনের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এমন ব্যক্তি পাওয়া যাচ্ছে না বলে খালি পড়ে রয়েছে আসনগুলি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হাইকোর্টে ১০৮০টি বিচারপতি পদের মধ্যে ৪১৬টিই খালি। ট্রাইবুনালেও রয়েছে বিপুল পরিমাণে ঘাটতি। ডিআরটি, এনসিএলএটি, টিডিএসএটি প্রভৃতির মতো ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন করার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছে না সরকার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই পদগুলি পূরণে মোদি সরকারের এত অনাগ্রহ কেন? অথচ এই আসনে বসার জন্য দেশে যোগ্য আইনজীবী ও বিচারপতির অভাব নেই। একাধিক টুইটে তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আদর্শ ও দর্শনকে বিঁধেছেন। প্রকারান্তরে তিনি বলতে চেয়েছেন, বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া নিরপেক্ষ কাউকে এই পদে বসাতে নারাজ মোদি সরকার। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাইকোর্টে বিচারপতি ও ট্রাইবুনালে চেয়ারপার্সনের পদ খালি, কেন্দ্রকে বিঁধলেন চিদাম্বরম

আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২১, রবিবার

নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হাইকোর্টে বিচারপতির ঘাটতি রয়েছে। এতে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়ছে। হাজার হাজার মামলা পড়ে রয়েছে যার কোনও শুনানি হচ্ছে না। বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শুধু হাইকোর্টগুলিতে নয়, নানা ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সনের পদ খালি পড়ে আছে। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম শনিবার অভিযোগ করেছেন যে, সরকার এই পদ পূরণ করতে অক্ষম। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, সরকারের ‘পশ্চাদপদ’ আদর্শ ও দর্শনের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এমন ব্যক্তি পাওয়া যাচ্ছে না বলে খালি পড়ে রয়েছে আসনগুলি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হাইকোর্টে ১০৮০টি বিচারপতি পদের মধ্যে ৪১৬টিই খালি। ট্রাইবুনালেও রয়েছে বিপুল পরিমাণে ঘাটতি। ডিআরটি, এনসিএলএটি, টিডিএসএটি প্রভৃতির মতো ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন করার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছে না সরকার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই পদগুলি পূরণে মোদি সরকারের এত অনাগ্রহ কেন? অথচ এই আসনে বসার জন্য দেশে যোগ্য আইনজীবী ও বিচারপতির অভাব নেই। একাধিক টুইটে তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আদর্শ ও দর্শনকে বিঁধেছেন। প্রকারান্তরে তিনি বলতে চেয়েছেন, বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া নিরপেক্ষ কাউকে এই পদে বসাতে নারাজ মোদি সরকার। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।