২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্যবোধ দেখালে আমি আরও খুশি হতাম’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 62

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গেরুয়া শিবিরের কাছে যে সৌজন্যবোধের গুরুত্ব নেই, সেটাই বোঝা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত  মজুমদারের কথায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজের স্বভাবমতো সৌজন্য দেখিয়ে সুকান্ত মজুমদারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। সুকান্তর জন্য ফল ও অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠিয়েও দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।  কোনও প্রয়োজনেই তাঁকে জানাতে বলেন। এর পরেই সুকান্ত মজুমদারের পালটা মন্তব্য, নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। আমি এই জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। উনি আমার প্রতি যে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছেন তা ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখালে আমি আরও খুশি হতাম।”

‘ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্যবোধ দেখালে আমি আরও খুশি হতাম’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তের

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

 

আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সুকান্তর এই পোস্টকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।   রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও সৌজন্যের রাজনীতি বাংলায় নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রায়শই এই সৌজন্যতা প্রকাশ পেয়েছে।

আরও পড়ুন: আদিবাসী ভাই-বোনেদের করম পুজোর শুভেচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, যখন অসুস্থ ছিলেন তখনও তাঁকে ফোন করে শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যতই মত বিরোধ থাকুন না কেন, কোনওদিনই সৌজন্যবোধ দেখাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যত রাজনৈতিক বিরোধিতা থাক, রাজনীতির আঙিনায় তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্ব্বাদ নিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে এক বিজেপির নেতার কোভিড পজিটিভের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে ‘Get Well Soon’ জানিয়ে ফলভর্তি ঝুড়ি পৌঁছে গেছে তার বাড়িতে। সৌজন্যবোধের গায়ে কোনওদিনই আঁচড় লাগতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্যবোধ দেখালে আমি আরও খুশি হতাম’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তের

আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গেরুয়া শিবিরের কাছে যে সৌজন্যবোধের গুরুত্ব নেই, সেটাই বোঝা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত  মজুমদারের কথায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজের স্বভাবমতো সৌজন্য দেখিয়ে সুকান্ত মজুমদারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। সুকান্তর জন্য ফল ও অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠিয়েও দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।  কোনও প্রয়োজনেই তাঁকে জানাতে বলেন। এর পরেই সুকান্ত মজুমদারের পালটা মন্তব্য, নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। আমি এই জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। উনি আমার প্রতি যে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছেন তা ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখালে আমি আরও খুশি হতাম।”

‘ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্যবোধ দেখালে আমি আরও খুশি হতাম’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তের

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

 

আরও পড়ুন: অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সুকান্তর এই পোস্টকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।   রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও সৌজন্যের রাজনীতি বাংলায় নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রায়শই এই সৌজন্যতা প্রকাশ পেয়েছে।

আরও পড়ুন: আদিবাসী ভাই-বোনেদের করম পুজোর শুভেচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, যখন অসুস্থ ছিলেন তখনও তাঁকে ফোন করে শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যতই মত বিরোধ থাকুন না কেন, কোনওদিনই সৌজন্যবোধ দেখাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যত রাজনৈতিক বিরোধিতা থাক, রাজনীতির আঙিনায় তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্ব্বাদ নিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে এক বিজেপির নেতার কোভিড পজিটিভের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে ‘Get Well Soon’ জানিয়ে ফলভর্তি ঝুড়ি পৌঁছে গেছে তার বাড়িতে। সৌজন্যবোধের গায়ে কোনওদিনই আঁচড় লাগতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।