০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘লু’ লেগে অসুস্থ হলেই পুলিশকে জানান, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাহায্য করবে পুরসভা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 26

পুবের কলম প্রতিবেদক: ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই দিনের বেলায় বাইরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই অবস্থায় তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সময় হাতের কাছে পাওয়া যায়না অ্যাম্বুলেন্স। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার থানায় থানায় অ্যাম্বুলেন্স সাপ্লাই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য শহরে প্রতিটি থানার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফোন নম্বর। রাস্তায় বেড়িয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, কলকাতা পুলিশকে অবগত করলেই সমস্যা সমাধান হবে। পুলিশের অনুরোধ পাওয়া মাত্রই নির্দিষ্ঠ স্থানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেবে পুরসভা। বুধবার পুর সেক্রেটারির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কী করা উচিত আর  কী করা উচিত নয়, সেবিষয়েও একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সতর্কতা নিয়ে পুর সেক্রেটারির তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে ১০ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে পুরসভার বার্তা,  ‘’এই সময় চড়া রোদে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকবেন না। বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টে অবধি সময়টা রাস্তায় না থাকার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কারণ এ সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায়। চড়া রোদে দুপুরের দিকে রাস্তায় না বেরনোই ভাল। যদি বেরোতে হয় তাহলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। পা ঢাকা জুতো হলে ভাল হয়। হাল্কা, ঢিলাঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিন্থেটিক কিছু পরবেন না। শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস খান। বাড়িতে সরবত, ফলের রস, লস্যি বানিয়ে খান। লেবুর জল খেতে পারেন। শরীর সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। গর্ভবতী মহিলা, বয়স্করা রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যাঁদের অন্যান্য অসুখ রয়েছে তাঁরা এই সময় বাইরে বের হবেন না।’’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘’হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা জলে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন। বিপদ অনেক কেটে যাবে। এই গরমে হিট ক্র্যাম্প হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে রক্ত ঘন হতে থাকে। মাথায় রক্তচাপ বাড়ে। শরীরের স্বাভাবিত তাপমাত্রা আর রক্তচাপের মধ্যেও সামঞ্জস্য থাকে না। যার কারণেই স্ট্রোক হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। যাদের হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে বিপদের ঝুঁকি বেশি।’’

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহ নিয়ে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতায় একটানা চারদিন তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বৃহস্পতিবারই ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। যা স্বাভাবিকের থেকে  চার ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া দফতর। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। কার্যত পুড়বে দক্ষিণবঙ্গ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘লু’ লেগে অসুস্থ হলেই পুলিশকে জানান, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাহায্য করবে পুরসভা

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই দিনের বেলায় বাইরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই অবস্থায় তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সময় হাতের কাছে পাওয়া যায়না অ্যাম্বুলেন্স। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার থানায় থানায় অ্যাম্বুলেন্স সাপ্লাই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য শহরে প্রতিটি থানার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফোন নম্বর। রাস্তায় বেড়িয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, কলকাতা পুলিশকে অবগত করলেই সমস্যা সমাধান হবে। পুলিশের অনুরোধ পাওয়া মাত্রই নির্দিষ্ঠ স্থানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেবে পুরসভা। বুধবার পুর সেক্রেটারির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কী করা উচিত আর  কী করা উচিত নয়, সেবিষয়েও একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সতর্কতা নিয়ে পুর সেক্রেটারির তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে ১০ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে পুরসভার বার্তা,  ‘’এই সময় চড়া রোদে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকবেন না। বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টে অবধি সময়টা রাস্তায় না থাকার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কারণ এ সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায়। চড়া রোদে দুপুরের দিকে রাস্তায় না বেরনোই ভাল। যদি বেরোতে হয় তাহলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। পা ঢাকা জুতো হলে ভাল হয়। হাল্কা, ঢিলাঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিন্থেটিক কিছু পরবেন না। শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস খান। বাড়িতে সরবত, ফলের রস, লস্যি বানিয়ে খান। লেবুর জল খেতে পারেন। শরীর সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। গর্ভবতী মহিলা, বয়স্করা রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। যাঁদের অন্যান্য অসুখ রয়েছে তাঁরা এই সময় বাইরে বের হবেন না।’’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘’হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা জলে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন। বিপদ অনেক কেটে যাবে। এই গরমে হিট ক্র্যাম্প হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে রক্ত ঘন হতে থাকে। মাথায় রক্তচাপ বাড়ে। শরীরের স্বাভাবিত তাপমাত্রা আর রক্তচাপের মধ্যেও সামঞ্জস্য থাকে না। যার কারণেই স্ট্রোক হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। যাদের হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে বিপদের ঝুঁকি বেশি।’’

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহ নিয়ে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতায় একটানা চারদিন তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বৃহস্পতিবারই ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। যা স্বাভাবিকের থেকে  চার ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় এবং উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া দফতর। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। কার্যত পুড়বে দক্ষিণবঙ্গ।