১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
যোগীরাজ্যে মসজিদেই নৃশংস হত্যাকান্ড

ইমামের স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে গলা কেটে খুন

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
  • / 182

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যোগীরাজ্যের এক মসজিদেই নৃশংসভাবে খুন জরা হল ইমামের স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে। নিহতরা হলেন ইসরানা (৩০) এবং তাদের মেয়ে সোফিয়া (৫) এবং সুমাইয়া (২)। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত এলাকায় গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে।

ইতিমধ্যে মসজিদে ইমামের দুই শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মসজিদেরই দুই নাবালক ছাত্রকে। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু কী কারণে খুন? পুলিশ জানিয়েছে, দুই নাবালক ঠিকমতো পড়াশোনা না করায় ইমাম মারধর ও বকাবকি করেন। আক্রোশে তাঁর অনুউপস্থিতিতে মসজিদেরই একটি ঘরে থাকা ইমামের কন্যা ও স্ত্রীকে খুন করে ১৪ ও ১৫ বছরের দুই নাবালক।

আরও পড়ুন: হাড়হিম করা খুন হায়দরাবাদে, লিভ সঙ্গিনীর দেহ ৬ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে কাটা মাথা ফেলা হল নদীতে

পুলিশ সূত্রে খবর, মুজফফরনগরের সুন্না গ্রামের বাসিন্দা ওই ইমাম ইব্রাহিম গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়াতেন। সেখানেই মসজিদে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ইসরানা, দুই কন্যা সোফিয়া ও সুমইয়্যা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫ এবং ২ বছর। এদিন মসজিদের দ্বিতীয় তলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ইমামের স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যা। ঘুমন্ত অবস্থা তাদের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্তরা। তিনজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলা কাটে দুই নাবালক। দুই শিশুকন্যার দেহ বিছানায় পড়েছিল। মেঝেয় পড়েছিল মহিলার দেহ।

আরও পড়ুন: নৃশংস হত্যার পর দেহ ৩২ টুকরো! বাবাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার ছেলে

মসজিদে প্রতিদিন পড়তে আসা কিছু বালক ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা পুলিশ সুপার সুরজ কুমার রাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার চৌহান এবং সার্কেল অফিসার বিজয় কুমার। তারা দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। অভিযুক্তরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসপি সুরজ রাই বলেন, “তদন্তভার নেওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করেছে পুলিশ। ধৃত দুই নাবালকই মসজিদে পড়াশোনা করত। ইমাম বারবার মারধর করায় তারা এই অপরাধ করেছে। দু’জন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত চলছে।”

আরও পড়ুন: রাজস্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তরবারির এক কোপে বোনের মুণ্ডু ধড় থেকে আলাদা করে দিল দিদি!

এদিকে নৃশংস হত্যাকান্ডের পর মিরাট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল কলানিধি নৈথানি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গভীর তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ, ডাকাতি বা শত্রুতা যাই হোক না কেন, আমরা সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছি। পাঁচটি ডেডিকেটেড টিম গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে গিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যোগীরাজ্যে মসজিদেই নৃশংস হত্যাকান্ড

ইমামের স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে গলা কেটে খুন

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যোগীরাজ্যের এক মসজিদেই নৃশংসভাবে খুন জরা হল ইমামের স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে। নিহতরা হলেন ইসরানা (৩০) এবং তাদের মেয়ে সোফিয়া (৫) এবং সুমাইয়া (২)। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত এলাকায় গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে।

ইতিমধ্যে মসজিদে ইমামের দুই শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মসজিদেরই দুই নাবালক ছাত্রকে। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু কী কারণে খুন? পুলিশ জানিয়েছে, দুই নাবালক ঠিকমতো পড়াশোনা না করায় ইমাম মারধর ও বকাবকি করেন। আক্রোশে তাঁর অনুউপস্থিতিতে মসজিদেরই একটি ঘরে থাকা ইমামের কন্যা ও স্ত্রীকে খুন করে ১৪ ও ১৫ বছরের দুই নাবালক।

আরও পড়ুন: হাড়হিম করা খুন হায়দরাবাদে, লিভ সঙ্গিনীর দেহ ৬ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে কাটা মাথা ফেলা হল নদীতে

পুলিশ সূত্রে খবর, মুজফফরনগরের সুন্না গ্রামের বাসিন্দা ওই ইমাম ইব্রাহিম গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়াতেন। সেখানেই মসজিদে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ইসরানা, দুই কন্যা সোফিয়া ও সুমইয়্যা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫ এবং ২ বছর। এদিন মসজিদের দ্বিতীয় তলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ইমামের স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যা। ঘুমন্ত অবস্থা তাদের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্তরা। তিনজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলা কাটে দুই নাবালক। দুই শিশুকন্যার দেহ বিছানায় পড়েছিল। মেঝেয় পড়েছিল মহিলার দেহ।

আরও পড়ুন: নৃশংস হত্যার পর দেহ ৩২ টুকরো! বাবাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার ছেলে

মসজিদে প্রতিদিন পড়তে আসা কিছু বালক ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা পুলিশ সুপার সুরজ কুমার রাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার চৌহান এবং সার্কেল অফিসার বিজয় কুমার। তারা দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। অভিযুক্তরা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসপি সুরজ রাই বলেন, “তদন্তভার নেওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করেছে পুলিশ। ধৃত দুই নাবালকই মসজিদে পড়াশোনা করত। ইমাম বারবার মারধর করায় তারা এই অপরাধ করেছে। দু’জন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তদন্ত চলছে।”

আরও পড়ুন: রাজস্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, তরবারির এক কোপে বোনের মুণ্ডু ধড় থেকে আলাদা করে দিল দিদি!

এদিকে নৃশংস হত্যাকান্ডের পর মিরাট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল কলানিধি নৈথানি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গভীর তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ, ডাকাতি বা শত্রুতা যাই হোক না কেন, আমরা সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছি। পাঁচটি ডেডিকেটেড টিম গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে গিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।