০২ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মণিপুরের ছায়া মালদায়, ২ মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর… ভাইরাল ভিডিয়ো

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার
  • / 96

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  মণিপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা। মণিপুরে দুই কুকি মহিলাকে গণধর্ষণের পর রাস্তায় বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় লজ্জায় মুখ ঢেকেছিল গোটা দেশ। ফের সেই ঘটনায় পুনরাবৃত্তি ঘটল মালদায়। দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে তাদের বিবস্ত্র করা হল। তার পরেও তার চুলের মুটি ধরে জুতো-চটি দিয়ে চলল বেধড়ক মারধর চালালো প্রমীলা বাহিনী। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মালদা জেলার পাকুয়াহাট এলাকায় প্রতি মঙ্গলবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও-এ দেখা যায়  জনসাধারণ বাজারে পকেটমার সন্দেহে দুই  নারীকে আটকে রেখে তাদের জামা কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে তাদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হচ্ছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি পুবের কলম ডিজিটাল। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, দুই মহিলা হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: মণিপুরে চলমান সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিরিয়াস নন, ‘শুধুই শিলান্যাস করতে গিয়েছিলেন’, অভিযোগ কংগ্রেসের

 

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

জানা যাচ্ছে,  হামলাকারী দুই নারী মানিকচকের বাসিন্দা। তবে এখন পর্যন্ত  থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন: মণিপুরে চারজনকে গুলি করে খুন! পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি দাবি পুলিশের

এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের ট্যুইটে জানান, গত ১৯ জুলাই মালদহের  পাকুয়াহাটে দুই আদিবাসী মহিলাকে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতার। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, সেই প্রশ্নও করেন অমিত মালব্য।

উল্লেখ্য এর আগে মণিপুরে,  যেখানে ২ জন উপজাতীয় মহিলাকে উলঙ্গ করে মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ঘটনাটি দেশকে ব্যাপক ধাক্কা দেয়। এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। দেশজুড়ে এর তীব্র বিরোধিতা চলছে।



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মণিপুরের ছায়া মালদায়, ২ মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর… ভাইরাল ভিডিয়ো

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  মণিপুরের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা। মণিপুরে দুই কুকি মহিলাকে গণধর্ষণের পর রাস্তায় বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় লজ্জায় মুখ ঢেকেছিল গোটা দেশ। ফের সেই ঘটনায় পুনরাবৃত্তি ঘটল মালদায়। দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে তাদের বিবস্ত্র করা হল। তার পরেও তার চুলের মুটি ধরে জুতো-চটি দিয়ে চলল বেধড়ক মারধর চালালো প্রমীলা বাহিনী। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মালদা জেলার পাকুয়াহাট এলাকায় প্রতি মঙ্গলবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও-এ দেখা যায়  জনসাধারণ বাজারে পকেটমার সন্দেহে দুই  নারীকে আটকে রেখে তাদের জামা কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে তাদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হচ্ছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি পুবের কলম ডিজিটাল। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, দুই মহিলা হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: মণিপুরে চলমান সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিরিয়াস নন, ‘শুধুই শিলান্যাস করতে গিয়েছিলেন’, অভিযোগ কংগ্রেসের

 

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগ, মণিপুর থেকে গ্রেফতার ৫ নিষিদ্ধ-সংগঠনের সদস্য

জানা যাচ্ছে,  হামলাকারী দুই নারী মানিকচকের বাসিন্দা। তবে এখন পর্যন্ত  থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন: মণিপুরে চারজনকে গুলি করে খুন! পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি দাবি পুলিশের

এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের ট্যুইটে জানান, গত ১৯ জুলাই মালদহের  পাকুয়াহাটে দুই আদিবাসী মহিলাকে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতার। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, সেই প্রশ্নও করেন অমিত মালব্য।

উল্লেখ্য এর আগে মণিপুরে,  যেখানে ২ জন উপজাতীয় মহিলাকে উলঙ্গ করে মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ঘটনাটি দেশকে ব্যাপক ধাক্কা দেয়। এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। দেশজুড়ে এর তীব্র বিরোধিতা চলছে।