০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভে উসকানি: ইরানে আটক ২ ফরাসি গোয়েন্দা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 71

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সাম্প্রতিক বিক্ষোভে উসকানি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে দুই ফরাসি নাগরিককে আটক করেছে ইরান।

 

আরও পড়ুন: Block Everything, সরকার বদলের দাবিতে এবার উত্তাল ফ্রান্স

আটক ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি ইরানের। তবে পুরো প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্স বলেছে; বিষয়টি ‘আপত্তিকর ও অগ্রহযোগ্য’।

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন, বন্দী বিনিময়ের তীব্র দাবি 

 

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি দক্ষিন বারাশত ও রায়দীঘিতে

তেহরানের অভিযোগ; কিছুদিন আগে ইরানে নারী পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের এক তরুী অসুস্থ হয়ে মারা যায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।

 

বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি মিডিয়াও এতে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের বিক্ষোভকে দাঙ্গায় রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা দুই ফরাসি নাগরিক। এক পর্যায়ে তেহরান পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তারা এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।

 

তেহরান দাবি করে; আটক হওয়া সিসিলি কোহলার এবং তার সঙ্গী জ্যাক ফ্রান্সের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এ স্বীকারোক্তির ভিডিয়ো প্রচার হয়েছে।

 

ভিডিয়োতে দেখা গেছে; আটক হওয়া ফরাসি নারী বলছেন; ‘আমি সিসিলি কোহলার ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর এক্সটার্নাল সিকিউরিটির একজন গোয়েন্দা ও অপারেশন এজেন্ট।’ আরও জানান; ইরানের বর্তমান শাসকদের উৎখাতের জন্যই ইরানে এসেছেন। ধর্মঘট ও বিক্ষোভে উসকানির জন্য সঙ্গে প্রচুর অর্থও এনেছেন। আটক অন্য ব্যক্তি জ্যাক প্যারিস বলেন; ইরান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

 

এ দিকে ইরানের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রক। তারা অবিলম্বে আটকদের মুক্তি দাবি করেছে। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অ্যান-ক্লেয়ার লেজেন্ড্রে বলেছেন; ‘তাদের কথিত স্বীকারোক্তির ভিডিয়ো আপত্তিকর; আতঙ্কজনক; অগ্রহযোগ্য ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তাদের এই কার্যকলাপ অবমাননাকর।

 

ব্যাপক চাপের মুখে তাদের কাছ থেকে এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই।’ তেহরানের অভিযোগ; গত মে মাসেও এই দম্পতি পর্যটক হিসেবে ইরানে এসেছিল। সে-সময়ও তারা সরকার-বিরোধী বিভিন্ন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল এবং শিক্ষক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে উন্নত মজুরি এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলেছিল। ইরান অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছে; অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে আমেরিকা; ইসরাইল-সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিক্ষোভে উসকানি: ইরানে আটক ২ ফরাসি গোয়েন্দা

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সাম্প্রতিক বিক্ষোভে উসকানি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে দুই ফরাসি নাগরিককে আটক করেছে ইরান।

 

আরও পড়ুন: Block Everything, সরকার বদলের দাবিতে এবার উত্তাল ফ্রান্স

আটক ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি ইরানের। তবে পুরো প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্স বলেছে; বিষয়টি ‘আপত্তিকর ও অগ্রহযোগ্য’।

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন, বন্দী বিনিময়ের তীব্র দাবি 

 

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি দক্ষিন বারাশত ও রায়দীঘিতে

তেহরানের অভিযোগ; কিছুদিন আগে ইরানে নারী পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের এক তরুী অসুস্থ হয়ে মারা যায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।

 

বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি মিডিয়াও এতে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের বিক্ষোভকে দাঙ্গায় রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা দুই ফরাসি নাগরিক। এক পর্যায়ে তেহরান পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তারা এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।

 

তেহরান দাবি করে; আটক হওয়া সিসিলি কোহলার এবং তার সঙ্গী জ্যাক ফ্রান্সের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এ স্বীকারোক্তির ভিডিয়ো প্রচার হয়েছে।

 

ভিডিয়োতে দেখা গেছে; আটক হওয়া ফরাসি নারী বলছেন; ‘আমি সিসিলি কোহলার ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর এক্সটার্নাল সিকিউরিটির একজন গোয়েন্দা ও অপারেশন এজেন্ট।’ আরও জানান; ইরানের বর্তমান শাসকদের উৎখাতের জন্যই ইরানে এসেছেন। ধর্মঘট ও বিক্ষোভে উসকানির জন্য সঙ্গে প্রচুর অর্থও এনেছেন। আটক অন্য ব্যক্তি জ্যাক প্যারিস বলেন; ইরান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

 

এ দিকে ইরানের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রক। তারা অবিলম্বে আটকদের মুক্তি দাবি করেছে। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অ্যান-ক্লেয়ার লেজেন্ড্রে বলেছেন; ‘তাদের কথিত স্বীকারোক্তির ভিডিয়ো আপত্তিকর; আতঙ্কজনক; অগ্রহযোগ্য ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তাদের এই কার্যকলাপ অবমাননাকর।

 

ব্যাপক চাপের মুখে তাদের কাছ থেকে এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই।’ তেহরানের অভিযোগ; গত মে মাসেও এই দম্পতি পর্যটক হিসেবে ইরানে এসেছিল। সে-সময়ও তারা সরকার-বিরোধী বিভিন্ন বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল এবং শিক্ষক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে উন্নত মজুরি এবং কাজের পরিবেশ উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলেছিল। ইরান অনেক আগে থেকেই দাবি করে আসছে; অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে আমেরিকা; ইসরাইল-সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ।