০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনপ্রতি আয়ে এগোনো চ্যালেঞ্জ ভারতের কাছে

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 193

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গত কয়েক দশকে ভারত জিডিপির নিরিখে অন্য দেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু জনপ্রতি আয়ের বিচারে ভারত অন্য অনেক ছোট দেশেরও পিছনে পড়ে রয়েছে। লিয়ামা রিসার্চ সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবার ভারতকে এমনভাবে বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করতে হবে যাতে জনপ্রতি আয় বৃদ্ধির দিকটি প্রধান গুরুত্ব পায়।

‘ ভারতের বৃদ্ধি : আয়তন থেকে শক্তিবৃদ্ধির সফর ‘ শীর্ষক এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের এই যে জনপ্রতি আয় কম, এটা দোষের পরিবর্তে সম্ভাব্য বৃদ্ধির পক্ষে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই দেশ এখন এক মোড় ঘোরানোর মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে যেখানে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ভারতে সরকারি বিনিয়োগ যথেষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে আয় বাড়ছে, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে জনপ্রতি আয় বাড়বে।

ভারত নিছক র‌্যাঙ্কে উন্নীত হচ্ছে তা নয়, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ভিতও মজবুত হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতে ডিজিটাল ক্ষেত্রে, উৎপাদনী ক্ষেত্রে, বৃহত্তর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুস্থিতি, জনসমষ্টির শক্তি এবং দৃঢ় সরকারি নীতির সুবাদে সার্বিক বৃদ্ধির এক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। জিডিপির ক্ষেত্রে পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে উন্নীত হওয়া সত্ত্বেও এবং এ বছরই জাপানকে বৃদ্ধির নিরিখে টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এটা ঘটনা যে, উন্নত দেশগুলির জনপ্রতি আয়ের তুল্যমূল্য বিচারে প্রথম দশ উন্নত দেশের একেবারে নিচে ভারতের স্থান এখন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অস্ত্রের সফল ব্যবহার করেছে ভারত: নেতানিয়াহু

২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন সফল করতে সামনের দু-দশকে ভারতকে বছরে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে হবে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্বের জিডিপির হারের ক্ষেত্রে ভারতের স্থান ছিল ১১তম। সে সময় মর্গান স্টানলি-র মতো বিশেষজ্ঞ সংস্থা বলেছিল, বিশ্বের ৫ ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশের অন্যতম ভারত। ২০২১ সালে সেই ভারতে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ছিল ৭.২ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৯.২ শতাংশ। এ বছর এখনও পর্যন্ত এই হার ৬.৫ শতাংশ। আই সি আর এ বলছে, ২০২৬ সালে বৃদ্ধির হার কমে ৬.২ শতাংশ হতে পারে।

আরও পড়ুন: ভারতের উপর ৫০% শুল্ক: সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহ নেই আমেরিকার

গ্রামের চাহিদা বাড়ছে। ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্য কমছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ রয়েছে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক গতি কেমন এর থেকে আন্দাজ করা যায়। পাশাপাশি পরিষেবা রফতানি, দেশীয় ক্ষেত্রে কেনাকাটা বৃদ্ধি এবং সরকারি খরচ বৃদ্ধি ইতিবাচক অবস্থা তৈরি করতে পারে। মোটমাট ভারতকে শুধু অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করলেই হবে না, একইসঙ্গে এই বৃদ্ধির ফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, বিশেষত নিম্নবিত্তদের কাছে। তবেই সুফল মিলবে।

আরও পড়ুন: ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর অপেক্ষায় পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জনপ্রতি আয়ে এগোনো চ্যালেঞ্জ ভারতের কাছে

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গত কয়েক দশকে ভারত জিডিপির নিরিখে অন্য দেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু জনপ্রতি আয়ের বিচারে ভারত অন্য অনেক ছোট দেশেরও পিছনে পড়ে রয়েছে। লিয়ামা রিসার্চ সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবার ভারতকে এমনভাবে বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করতে হবে যাতে জনপ্রতি আয় বৃদ্ধির দিকটি প্রধান গুরুত্ব পায়।

‘ ভারতের বৃদ্ধি : আয়তন থেকে শক্তিবৃদ্ধির সফর ‘ শীর্ষক এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের এই যে জনপ্রতি আয় কম, এটা দোষের পরিবর্তে সম্ভাব্য বৃদ্ধির পক্ষে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই দেশ এখন এক মোড় ঘোরানোর মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে যেখানে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ভারতে সরকারি বিনিয়োগ যথেষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে আয় বাড়ছে, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে জনপ্রতি আয় বাড়বে।

ভারত নিছক র‌্যাঙ্কে উন্নীত হচ্ছে তা নয়, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ভিতও মজবুত হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতে ডিজিটাল ক্ষেত্রে, উৎপাদনী ক্ষেত্রে, বৃহত্তর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুস্থিতি, জনসমষ্টির শক্তি এবং দৃঢ় সরকারি নীতির সুবাদে সার্বিক বৃদ্ধির এক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। জিডিপির ক্ষেত্রে পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে উন্নীত হওয়া সত্ত্বেও এবং এ বছরই জাপানকে বৃদ্ধির নিরিখে টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এটা ঘটনা যে, উন্নত দেশগুলির জনপ্রতি আয়ের তুল্যমূল্য বিচারে প্রথম দশ উন্নত দেশের একেবারে নিচে ভারতের স্থান এখন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অস্ত্রের সফল ব্যবহার করেছে ভারত: নেতানিয়াহু

২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন সফল করতে সামনের দু-দশকে ভারতকে বছরে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে হবে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্বের জিডিপির হারের ক্ষেত্রে ভারতের স্থান ছিল ১১তম। সে সময় মর্গান স্টানলি-র মতো বিশেষজ্ঞ সংস্থা বলেছিল, বিশ্বের ৫ ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশের অন্যতম ভারত। ২০২১ সালে সেই ভারতে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ছিল ৭.২ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ৯.২ শতাংশ। এ বছর এখনও পর্যন্ত এই হার ৬.৫ শতাংশ। আই সি আর এ বলছে, ২০২৬ সালে বৃদ্ধির হার কমে ৬.২ শতাংশ হতে পারে।

আরও পড়ুন: ভারতের উপর ৫০% শুল্ক: সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহ নেই আমেরিকার

গ্রামের চাহিদা বাড়ছে। ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্য কমছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ রয়েছে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক গতি কেমন এর থেকে আন্দাজ করা যায়। পাশাপাশি পরিষেবা রফতানি, দেশীয় ক্ষেত্রে কেনাকাটা বৃদ্ধি এবং সরকারি খরচ বৃদ্ধি ইতিবাচক অবস্থা তৈরি করতে পারে। মোটমাট ভারতকে শুধু অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করলেই হবে না, একইসঙ্গে এই বৃদ্ধির ফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, বিশেষত নিম্নবিত্তদের কাছে। তবেই সুফল মিলবে।

আরও পড়ুন: ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর অপেক্ষায় পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা